ঢাকা, শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪,
সরকার অনুমোদিত নিবন্ধন নম্বর ১৯১
Reg:C-125478/2015

আগারগাঁওয়ে সড়ক অবরোধ করলো অভ্যুত্থানে আহত ছাত্র-জনতা

ডেস্ক রিপোর্ট


প্রকাশ: ১৩ নভেম্বর, ২০২৪ ১৬:৩৬ অপরাহ্ন | দেখা হয়েছে ১৭ বার


আগারগাঁওয়ে সড়ক অবরোধ করলো অভ্যুত্থানে আহত ছাত্র-জনতা

ঢাকা: যথাযথ চিকিৎসার দাবিতে জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠানের (নিটোর) সামনে অবরোধ করে বিক্ষোভ করছেন গণঅভ্যুত্থানে আহত ও চিকিৎসাধীন ছাত্র-জনতা।  

বুধবার (১৩ নভেম্বর) দুপুর সোয়া ১টার দিকে আগারগাঁও থেকে শ্যামলীমুখী সড়কে অবস্থান নিয়ে তারা বিক্ষোভ শুরু করেন।

 

সরেজমিনে দেখা যায়, অভ্যুত্থানে আহত ছাত্র-জনতা সড়কে অবস্থান নিয়েছেন। তারা বিভিন্ন দাবিতে স্লোগান দিচ্ছেন। বিক্ষোভকারীরা অ্যাম্বুলেন্স ছাড়া অন্য সব ধরনের যানবাহন চলাচল বন্ধ করে দিয়েছেন।  

আহত আন্দোলনকারীদের কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, তারা যথাযথ চিকিৎসা পাচ্ছেন না। তাদের চিকিৎসায় যে অর্থ বরাদ্দ হয়েছে, সেটিও তারা পাননি।  

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আহত শিক্ষার্থী মো. হাসান বলেন, হাসপাতালের একটি ওয়ার্ডে ৪৮ জন চিকিৎসা নিচ্ছেন। তারা তাদের পছন্দের বিদেশি পাঁচজন সাংবাদিক নিয়ে এসেছেন। দেশের কোনো সাংবাদিককে হাসপাতালের ওয়ার্ডে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। বিদেশিরা দুয়েকজনের সঙ্গে কথা বলে চলে গেছেন। আমাদের সঙ্গে কথা বলেননি।  

হাসান বলেন, আমরা কথা বলতে গেলেও বাধা দেওয়া হয়েছে। আমাদের সামান্য ট্রিটমেন্ট দিয়ে তিন মাস বসিয়ে রাখা হয়েছে। আমার পায়ে নয়টি অপারেশন করা হয়েছে, এখনো সুস্থ হতে পারিনি। আমরা চাই তারা সবাই আমাদের সঙ্গে কথা বলুক। আমাদের জন্য ঘোষণা করা সেই এক লাখ টাকা দিক এবং ভালো মানের চিকিৎসা দিক।  

এর আগে সকালে স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নূরজাহান বেগম ও বাংলাদেশে নিযুক্ত ব্রিটিশ হাইকমিশনার সারাহ কুক জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠান (নিটোর) পরিদর্শন করেন।

কয়েকজনের অভিযোগ, গত ৫ নভেম্বর থেকে নিটোরে যুক্তরাজ্যের দুজন চিকিৎসক অভ্যুত্থানে আহত ছাত্র-জনতাকে চিকিৎসা সেবা দিচ্ছেন। আজ স্বাস্থ্য উপদেষ্টা ও ব্রিটিশ হাইকমিশনার হাসপাতাল পরিদর্শনের পর বেরিয়ে গেলে আন্দোলনকারীরা সবার যথাযথ চিকিৎসা হচ্ছে না বলে জানান। নূরজাহান বেগম ও সারাহ কুক যখন তাদের ওয়ার্ড পরিদর্শন করছিলেন, তখন আহতদের গায়ে হাত তোলা হয় বলেও অভিযোগ দেন কয়েকজন।

বাইরে বিক্ষোভের সময় ছাত্র-জনতা স্বাস্থ্য উপদেষ্টার গাড়ি আটকে দেয়। কেউ আবার উপদেষ্টার গাড়ির ছাদেও উঠে পড়েন। তবে নূরজাহান বেগম আগেই হাসপাতাল থেকে নিরাপদে বরে হয়ে যান।  

এরপর স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে বলা হয়, অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতিতে স্বাস্থ্য উপদেষ্টা সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতে পারেননি। সুবিধামতো সময় তিনি সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলবেন।


   আরও সংবাদ