ঢাকা, শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪,
সরকার অনুমোদিত নিবন্ধন নম্বর ১৯১
Reg:C-125478/2015

মোহাম্মদপুরে ছিনতাই-মারধরের শিকার ফটো সাংবাদিক

ডেস্ক রিপোর্ট


প্রকাশ: ১৪ নভেম্বর, ২০২৪ ০৯:২০ পূর্বাহ্ন | দেখা হয়েছে ১৮ বার


মোহাম্মদপুরে ছিনতাই-মারধরের শিকার ফটো সাংবাদিক

ঢাকা: রাজধানীর মোহাম্মদপুরে ছিনতাই ও মারধরের শিকার হয়েছেন দৈনিক ইত্তেফাকের ফটো সাংবাদিক নাঈমুর রহমান। বুধবার (১৩ নভেম্বর) রাত সাড়ে ৯টার দিকে মোহাম্মদপুরের তিন রাস্তার মোড়ের কাছেই তিনি ছিনতাইয়ের শিকার হন।

 

ভুক্তভোগী নাঈমুর রহমান জানান, অফিসের কাজ শেষে রাত সাড়ে ৯টার দিকে তিনি মোহাম্মদপুরের বসিলায় খালাতো ভাইয়ের বাসায় যাচ্ছিলেন। মোহাম্মদপুর বাস স্ট্যান্ড থেকে তিন রাস্তায় যাওয়ার পথে হঠাৎ পাঁচ-সাতজন তার পথ আটকে একটি গলির ভেতর নিয়ে যান।  

তারপর সেখানে মারধর করে তার কাছে থাকা নিকন ডি-৮৫০ মডেলের একটি ক্যামেরা, স্যামসাং এ ১৩ মডেলের একটি মোবাইল ফোন ও মানিব্যাগ নিয়ে যান তারা। মানিব্যাগে টাকা ছাড়াও ব্যাংকের এটিএম কার্ড ও গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র ছিল।

এ ঘটনার পর ভুক্তভোগী নাঈমুর রহমান মোহাম্মদপুর থানায় যান। তার (নাঈমুর রহমান) মৌখিক অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দল নিয়ে ঘটনাস্থলে যান।  

সেখানে দুইজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়। কিন্তু এ ঘটনায় তারা জড়িত না থাকায় পরে আবার ছেড়ে দেওয়া হয়।

নাঈমুর রহমান বলেন, আটকদের মধ্যে একজন ছিনতাইকারীদের সম্ভাব্য পরিচয় জানান।

ঘটনাস্থলের কাছাকাছি একটি আবাসিক ভবনের সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ সংগ্রহের চেষ্টা করছে পুলিশ। তবে ভবনের কেয়ারটেকার না থাকায় সেটি তাৎক্ষণিক সংগ্রহ করা সম্ভব হয়নি।  

ভবনের বাড়িওয়ালা বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর) সকালে তাদের যেতে বলেছে। এমনটি জানান ভুক্তভোগী ফটো সাংবাদিক।

তবে এ ঘটনায় এখনো কোনো সাধারণ ডায়েরি (জিডি) বা লিখিত অভিযোগ করেননি নাঈমুর রহমান।

এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে মোহাম্মদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলী ইফতেখার হাসান বাংলানিউজকে বলেন, ঘটনা জানার পর আমি নিজেই ঘটনাস্থলে গিয়ে ছিনতাইকারীদের ধরতে ছুটাছুটি করেছি। আমরা বিষয়টি দেখছি।  

তিনি বলেন, ভুক্তভোগী সাংবাদিক আগামীকাল লিখিত অভিযোগ দেবেন। এ ছাড়া আমরা ঘটনাস্থলের সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করার চেষ্টা করছি। আশা করি, বৃহস্পতিবার সকালে আমরা ভিডিও ফুটেজটি পাব।

দুজনকে আটক করে ছেড়ে দেওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ছোট ছেলেসহ দুজনকে আমরা ধরেছিলাম। কিন্তু ভুক্তভোগী সাংবাদিক শনাক্ত করেন, তারা ঘটনায় জড়িত ছিল না। তাই তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। ভিডিও ফুটেজ পেলে আশা করি ছিনতাইকারীদের ধরতে পারব।


   আরও সংবাদ