ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১৮ নভেম্বর, ২০২৪ ১০:২৪ পূর্বাহ্ন | দেখা হয়েছে ১৮ বার
ঢাকা: দৈনিক আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক ড. মাহমুদুর রহমান বলেছেন, ভারতের সঙ্গে ভুটানের একটা ফ্রেন্ডশিপ চুক্তি আছে, যার মাধ্যমে তারা ভুটানের সঙ্গে হেজিমনিক সম্পর্ক তৈরি করেছে। কিন্তু বাংলাদেশের সঙ্গে তারা ফ্রেন্ডশিপ চুক্তি না করলেও একটা উপনিবেশে পরিণত করেছিল।
আমাদের সন্তানতুল্য শিক্ষার্থীদের মাধ্যমে ভারতীয় হেজিমনি পরাজিত করার একটা সুযোগ তৈরি হয়েছে।
রোববার (১৭ নভেম্বর) জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় অডিটোরিয়ামে ‘জাস্টিস ফর জুলাই’ আয়োজিত ‘শাহবাগ ও ফ্যাসিবাদ এবং নয়া বাংলাদেশের গতিপথ’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
মাহমুদুর রহমান বলেন, জুলাই বিপ্লবের মাধ্যমে বাঙালি মুসলমানের রেনেসাঁর সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। রেনেসাঁ হতে গেলে, আমাদের সবকিছুতে পারদর্শী হতে হবে। জুলাই বিপ্লব সফল করতে হলে, বাঙালি মুসলমান আইডেনটিটিকে ধারণ করতে হবে। বাঙালি মুসলমানের আলাদা সংস্কৃতি, ঐতিহ্য আছে।
তিনি বলেন, সরকার দ্রুত দেশকে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ব্যবস্থার দিকে ফিরিয়ে নিয়ে যাবে আশা করি। আমাদের লড়াই চলমান রাখতে হবে। দৈনিক আমার দেশ বাঙালি মুসলমানের আইডেনটিটি তুলে ধরার একটা প্ল্যাটফর্ম হিসেবে কাজ করবে।
আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মো. রইছ উদ্দীন বলেন, স্বাধীনতার পর পার্শ্ববর্তী রাষ্ট্র সাহায্যের আড়ালে আমাদের প্রভু সাজার মানসিকতা ও আধিপত্যবাদী বাংলাদেশ বিরোধী ষড়যন্ত্র হিসেবে আমাদের কাছে এসেছে। চব্বিশের ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আজ অনেককেই মাস্টারমাইন্ড হতে দেখি। চব্বিশের প্রেক্ষাপট কারা তৈরি করেছে? এক সময় দেখতাম সবাই আওয়ামী লীগ হয়ে গেছে, একমাত্র মাহমুদুর রহমান ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে কথা বলেছেন। এই অভ্যুত্থানের অন্যতন কারিগর মাহমুদুর রহমান।
রাষ্ট্রবিজ্ঞান চেয়ারম্যান মো. মেসবাহ-উল-আজম সওদাগর বলেন, শাহবাগের দুইটা ডাইমেনশন আছে, এর মাধ্যমে আইনের শাসনকে ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে। বিচারের নামে অবিচারের সংস্কৃতি শাহবাগের মাধ্যমে হয়েছে। বাঙালি মুসলমানের মধ্যে হিন্দুত্ববাদ ঢুকে দেওয়ার আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হয় শাহবাগে।
ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. নুরুল্লাহ বলেন, ২০০৬ সালে একটি দল অরাজকতা তৈরি করে ক্ষমতায়া আসার জন্য। ওই দল ভারত থেকে প্রেসক্রিপশন নিয়ে আসতো। তাদের কুচিন্তা বাস্তবায়ন করতে তৈরি হয় শাহবাগ।
আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. তাজাম্মুল হক, সহযোগী অধ্যাপক নাসির আহমদসহ অন্যান্যরা।