ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১৯ নভেম্বর, ২০২৪ ১০:১৪ পূর্বাহ্ন | দেখা হয়েছে ১৮ বার
ঢাকা: বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর বলেছেন, কোনো প্রতিষ্ঠান বন্ধ হতে দেব না। সেটা এস আলমের হোক কিংবা বেক্সিমকোর হোক।
প্রতিষ্ঠানগুলো জাতীয় সম্পদ। ব্যক্তি থাকুক আর না থাকুক, প্রতিষ্ঠান থাকবে, প্রতিষ্ঠান চলবে। এটাই হলো আমাদের লক্ষ্য।
সোমবার (১৮ নভেম্বর) বাংলাদেশ ব্যাংকে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
গভর্নর বলেন, এসব বড় শিল্প গ্রুপের সঙ্গে বহু মানুষের জীবিকা জড়িত। এসব প্রতিষ্ঠানকে কীভাবে আরও শক্তিশালী করা যায়, সে বিষয়েও সরকার কাজ করছে।
তিনি বলেন, প্রতিষ্ঠানগুলোতে অনেক কর্মচারী কর্মরত। উৎপাদনের সঙ্গে তাদের সম্পর্ক আছে, তাদের সঙ্গে ব্যাংকেরও সম্পর্ক রয়েছে। এগুলো তো বিচ্ছিন্ন করা যাবে না। কাজেই আমাদের একটু ভিন্ন দৃষ্টিকোণ থেকে দেখতে হবে।
তিনি আরও বলেন, ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান কিন্তু আলাদা। যাতে ফান্ড ডাইভারশন না হয়। আমাদের প্রচেষ্টা থাকবে। কিন্তু কোনো প্রতিষ্ঠানকে আমরা মরতে দেব না। প্রতিষ্ঠান মারা খুব সহজ, কিন্তু গড়ে তোলা অনেক কঠিন এবং অনেক সময়ের বিষয়। প্রতিষ্ঠানগুলো থেকে দেশ ও জাতি উপকৃত হয়। আমরা ব্যর্থ হতে চাই না। প্রতিষ্ঠানগুলোকে ব্যর্থ হতে দেব না।
গভর্নর বলেন, তাড়াহুড়া বা ইমোশন অল্প সময়ের জন্য মানুষকে উত্তেজিত করে। কিন্তু ইমোশন দিয়ে দেশ চালালে তা ভালো হয় না। আমাকে বাস্তববাদী হতে হবে। পাশাপাশি সঠিক নীতি প্রণয়ন এবং তা বাস্তবায়নের মাধ্যমে পরিবর্তন আনতে হবে।
আহসান মনসুর বলেন, সবার আমানতের নিরাপত্তার দায়িত্ব কেন্দ্রীয় ব্যাংকের। আমাদের প্রধান লক্ষ্য সবার আমানত ফেরত দেওয়া। এ জন্য বিভিন্ন ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। ব্যাংকগুলোকে সহায়তা করা হবে। সব হিসাব-নিকাশ করে টাকা দেওয়া হবে।
লুটপাট হওয়া টাকা আদায় সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা এরইমধ্যে চারটি আন্তর্জাতিক তদন্ত সংস্থা নিয়োগ করেছি। তাদের কাজ হলো সার্বিক বিষয়ে তথ্য সংগ্রহ করা। তদন্ত শেষ হলে মূলত আমরা অ্যাকশনে যাব। ক্ষতি নিরূপণসহ ব্যাংকের টাকা আদায় প্রক্রিয়াকে তিন ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
আগামী জানুয়ারির মধ্যে প্রথম ভাগ সম্পন্ন হবে বলেও আশ্বাস দেন তিনি। সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন ইসলামী ব্যাংকের চেয়ারম্যান ওবায়েদ উল্লাহ আল মাসুদ।