নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১০ সেপ্টেম্বর, ২০২১ ১৪:১৯ অপরাহ্ন | দেখা হয়েছে ৮৩০ বার
মঙ্গলবার (১৬ মার্চ) সকালে রুপনগর এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতার ঝর্না কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার পরমতলা গ্রামের মুনসুর খাঁনের স্ত্রী। নিহতের পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, জয়পুরহাট শহরের রুপনগর এলাকার মৃত সোলায়মান আলীর স্ত্রী শেফালি বেওয়া দুই মেয়েকে বিয়ে দেয়ার পর নিজ বাড়িতে একা বসবাস করতেন। ওই বৃদ্ধার বাড়িতে বেশ কয়েক বছর থেকে ঝর্না একাই ভাড়াটে হিসেবে বসবাস করে আসছেন। সম্প্রতি ঝর্না জর্ডানে যাওয়ার জন্য বাড়ির মালিক শেফালির কাছে টাকা চান।
গত ১৩ মার্চ একজনের কাছে একটি গরু বিক্রয়ের জন্য বায়না হিসেবে ৬০ হাজার টাকার মধ্যে ৩০ হাজার টাকা নেন সেফালি। ওইদিনই রাত সাড়ে ১০টার দিকে তিনি মারা যান। স্ট্রোক করে তিনি মারা গেছেন বলে পরদিন সকালে ঝর্না বৃদ্ধার পরিবারকে জানান।
এটা একটি স্বাভাবিক মৃত্যু জেনে পারিবারিকভাবে শেফালির মরদেহ ওই দিন দাফন করা হয়। পরে ঝর্নার গতিবিধি ও আচরণ দেখে সন্দেহ হলে স্থানীয় লোকজন ঘটনার বিষয়ে জানতে চান। এক পর্যায়ে ঝর্না ১৫ মার্চ রাতে স্বীকার করেন, বিদেশ যাওয়ার টাকার জন্য ওই ৩০ হাজার টাকা নিতে গেলে বৃদ্ধা শেফালি বাধা দেন। এতে বাধ্য হয়ে নিলা মসলা বাটার শিল দিয়ে মাথা ও মুখে আঘাত করে বৃদ্ধা শেফালিকে হত্যা করেন। এরপর দিন ১৬ মার্চ সকালে স্থানীয়রা ঝর্নাকে আটক করে পুলিশকে খবর দেন। পরে পুলিশ এসে ৩০ হাজার টাকাসহ ঝর্নাকে গ্রেফতার করে।
এ ঘটনায় বাদীর বড় ভাই জালাল শেখ থানায় মামলা করেছেন। তিনি বলেন, ‘বাড়ির ভাড়াটিয়া ঝর্ণা মোবাইলে রিং দিয়ে বলে খালা ঘরের গেট খুলছে না। পরে আমরা এসে গেট খোলা না পাওয়ায় একটি ছোট পকেট গেট ভেঙে ঘরে প্রবেশ করি। ঘরে প্রবেশ করে আমার বোনকে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখি। তার নাক, থুতনি এবং মাথার নিচে তিন জায়গায় জখমের চিহ্ন দেখতে পাই। বোনের পরিবারের কেউ বাদী না হওয়ায় মরদেহ দাফন করা হয়। দাফনের পর থেকে আমার সন্দেহ বেশি হতে থাকলে আমিই তদন্ত করে ঘটনার রহস্য বের করি।’
জয়পুরহাট থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) হাবিবুর রহমান হাবিব বলেন, ‘এ ব্যাপারে শেফালির ভাই জালাল শেখ বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন। আইনগত ব্যবস্থাসহ আদালতের নির্দেশনা মোতাবেক পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’