ঢাকা, সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪,
সরকার অনুমোদিত নিবন্ধন নম্বর ১৯১
Reg:C-125478/2015

ঝিনাইদহ উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তাসহ ৬ জন নারী নির্যাতন মামলায় ঝুলছে!

ডেস্ক রিপোর্ট


প্রকাশ: ১০ সেপ্টেম্বর, ২০২১ ১৪:১৯ অপরাহ্ন | দেখা হয়েছে ৫৫৩ বার


ঝিনাইদহ উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তাসহ ৬ জন নারী নির্যাতন মামলায় ঝুলছে!

স্টাফ রিপোর্টার, ঝিনাইদহ- ঝিনাইদহ সদর উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মশিউর রহমানসহ ৬ কর্মীর বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমনে আইনে মামলা হয়েছে। মামলায় তারা ঝিনাইদহের একটি আদালত থেকে জামিন লাভ করলেও নির্বাচন কমিশন কাউকে এখনো সাময়িক ভাবে বরখাস্ত করেন নি। ফলে বহাল তবিয়তে তারা দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি মামলাটিকে প্রভাবিত করে যাচ্ছেন বলে বাদী অভিযোগ করেন। মামলা সুত্রে জানা গেছে, ২০১৯ সালে জেলার শৈলকুপা গাড়াগঞ্জ মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ে স্পার্টকার্ড বিতরণকালে উমেদপুর ইউনিয়নের নারী ভোটার গাড়াখোলা গ্রামের নুর আলম সিদ্দিকীর স্ত্রী নাজমা পারভিনকে ধাক্কাধাক্কির এক পর্যায়ে কিলঘুষি ও স্পর্শকাতর স্থানে হাত দেন ঝিনাইদহ সদর উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মশিউর রহমানসহ ৬ কর্মচারী। ঘটনার দিন মামলার দুই নাম্বার আসামী আব্দুল্লাহর কাছে ওই নারী ভোটার আইডি কার্ড ও স্লিপ জমাদেন।

এরপর তিনি ৩৭০ টাকা দাবী করেন। এ নিয়ে উচ্চবাচ্য ও তর্কবিতর্কের এক পর্যায়ে আসামী ঝিনাইদহ সদর উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মশিউর রহমান, ডাটা এন্ট্রি অপারেটর আব্দুল্লাহ, নাসরিন আক্তার, মাজেদুল ইসলাম, ইসমাইল হোসেন ও রুবায়েত ইসলাম জোটবদ্ধ হয়ে নাজমাকে মারধর ও শ্লিলতাহানী ঘটায়। পরবর্তীতে বিষয়টি নিয়ে আপোষ মিমাংশা ও বাদীর খোয়া যাওয়া সোনার গহনা ফেরৎ দেবার আশ্বাস দেন আসামীরা। পরবর্তীতে কালক্ষেপন করে ২০১৯ সালের ২০ আগষ্ট কোন আপোষরফা করবেন না বলে জানালে নাজমা পারভিন ঝিনাইদহ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ দেন। যার মামলা নং ২৪৯/১৯। আদালত বিষয়টি তদন্ত করে প্রতিবদেন দাখিলের জন্য গাড়াগঞ্জ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মখলেছুর রহমানকে দায়িত্ব দেন।

২০২০ সালের ১৬ ফেব্রয়ারি প্রধান শিক্ষক তদন্ত প্রতিবেদনে উল্লেখ করনে নির্যাতিত নাজমা পারভিন শৈলকুপা থানা পুলিশের দারস্থ হয়ে ব্যার্থ হয়ে আদালতে অভিযোগ করেন। প্রধান শিক্ষক তদন্ত করার সময় সাক্ষি স্থানীয় ইউপি সদস্য সাইদুর রহমান স্বপন, শৈলকুপার বারইপাড়া গ্রামের আলমের ছেলে মেহেদী, মনজেলের ছেলে আলম, আব্দুল আজিজ মোল্লার ছেলে রিপন ও আবু তালেব জোয়ারদারের স্ত্রী মমতাজ বেগমের সঙ্গে কথা বলে এ ঘটনার সত্যতা পান এবং তাদের লিখিত বক্তব্য আদালতে দাখিল করেন। নির্যাতিত নাজমা পারিভন প্রধান নির্বাচন কমিশনারের কাছে ন্যায় বিচার আশা করেন। বিষয়টি নিয়ে মঙ্গলবার বিকালে ঝিনাইদহ সদর উপজেলা নির্বাচন অফিসার মশিউর রহমানের বক্তব্য জানতে তার মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন করলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

 


   আরও সংবাদ