ঢাকা, সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪,
সরকার অনুমোদিত নিবন্ধন নম্বর ১৯১
Reg:C-125478/2015

ফুরফুরা শরীফের পীর দাদা হুজুর কেবলা (রহঃ) এঁর ওফাত দিবস আজ

নিজস্ব প্রতিবেদক


প্রকাশ: ১০ সেপ্টেম্বর, ২০২১ ১৪:১৯ অপরাহ্ন | দেখা হয়েছে ৬৭৭ বার


ফুরফুরা শরীফের পীর দাদা হুজুর কেবলা (রহঃ) এঁর ওফাত দিবস আজ

জাহিদুর রহমান তারিক, ঝিনাইদহ- উপমহাদেশের প্রখ্যাত পীর মুজাদ্দেদে জামান কুতুবুল আলম আমিরুস শরিয়ত হযরত আবু বকর সিদ্দিকী (রহ.) এঁর ৮২ তম ওফাত দিবস আজ মঙ্গলবার (১৭ মার্চ, ৩রা চৈত্র)। এ উপলক্ষে ঝিনাইদহ শহরের ব্যাপারীপাড়া সায়াদাতিয়া খানকাহ শরীফে এক দোয়া ও মিলদ মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছে। এছাড়া বাংলাদেশের ঢাকা ও খুলনাসহ বিভিন্ন স্থানে দোয়া ও জিকিরের মাহফিল অনুষ্ঠিত হবে। ভারতের ফুরফুরা শরীফের দাদা পীরের ওফাত দিবস উপলক্ষে মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছে। ১৯৩৯ সালের ৩ চৈত্র ইংরেজি ১৭ মার্চ ৯৩ বছর বয়সে উপমহাদেশের বিখ্যাত ইসলাম প্রচারক ও সমাজ সংস্কারক দাদা হুজুর নামে পরিচিত পীর আবু বকর সিদ্দিকী (রহ) পর্দা নেন।

এ দিবস পালনের প্রাক্কালে জমিয়তে জাকেরিণের মুখ্য নির্দেশক ন’হুজুর পীর কেবলা (রহঃ) পৌত্র ও পীর আল্লামা বাকী বিল্লাাহ সিদ্দিকী (রহ:) এঁর একমাত্র সাহেবজাদা পীরজাদা আল্লামা জবিহুল্লাহ সিদ্দিকী (মাদ্দাঃ) দাদা পীরের মত ও পথের ওপর অবিচল থাকার জন্য তাঁর ভক্ত অনুরাগী ও মুরিদানদের প্রতি আহবান জানান। তথ্য নিয়ে জানা গেছে, মুজাদ্দিদে জামান পীর আবু বকর সিদ্দিকী (রহঃ) সিদ্দিকী বংশের উজ্জ্বলতম নক্ষত্র। তিনি ইসলামের প্রথম খলিফা হযরত আবু বকর সিদ্দিকি (রাঃ) সরাসরি বংশধর। মোজাদ্দেদে জামান ও আমিরুস শরিয়ত হিসেবে সমগ্র বিশ্বে তিনি বিশেষ খ্যাতি লাভ করেছিলেন। আরবের বাদশাহকেও তিনি হেদায়েতী পত্র লিখেছিলেন। যার উত্তর আজও সযত্নে রক্ষিত আছে। বাংলা ভারতের প্রত্যন্ত অঞ্চলে ওয়াজ-নসিহত, হাজার হাজার মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠা, পত্রপত্রিকা প্রকাশ ও শিক্ষা বিস্তারে তার অবদান ইসলামী বিশ্বকোষে বর্ণিত হয়েছে। দাদা পীর কৈশর জীবনে ১৭৭২ সালে ফুরফুরা শরীফের নিকটবর্তী প্রাচীন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সিতাপুর মাদ্রাসায় ভর্তি হন।

এখানের পড়াশোনা শেষ করে হুগলি শহরের মুহসিনিয়া মাদ্রাসা থেকে তৎকালীন সর্বোচ্চ জামাতে উলা ক্লাসে প্রথম স্থান অধিকার করেন। অতঃপর কলকাতায় গমন করে সিন্দুরিয়া পট্টি (অধুনা কলুটলা, কলকাতা) মসজিদে জামালুদ্দিন শিক্ষা কেন্দ্রে হাফিজ জামালুদ্দিন মুঙ্গেরী (রহঃ) এর নিকট হাদীস, তফসির ও ফিকাহ শাস্ত্র অধ্যায়ান করেন। হাফেজ জামাল উদ্দিন ছিলেন তরিকায়ে মুহাম্মদিয়া আন্দোলনের প্রবর্তক সৈয়দ আহমদ বেরলভী (রহঃ) এঁর খলিফা। বালাকোট যুদ্ধে তিনি নিজ পীরের সঙ্গী ছিলেন। পীর আবু বকর হেকমত, মান্তিক বা দর্শন শাস্ত্রের জ্ঞান অর্জন করেন ফিরিঙ্গি মহলের নজর শাহ বেলায়েতী (রহঃ) এর কাছে।

তখন তিনি কলকাতার নাখোদা সজিদে অবস্থানরত ছিলেন। প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা শেষ করে ধারাবাহিক ভাবে দীর্ঘ ১৮ বছর ইসলামের বিভিন্ন বিষয়ে গবেষণার মধ্যে অতিবাহিত করেন তিনি। ১৮৯২ সালে তিনি মক্কা ও মদিনা শরীফে গমন করেন। মদীনা শরীফে অবস্থান করে তিনি মদিনার তৎকালীন প্রসিদ্ধ মুহাদ্দিস শাইখুদ্ দালায়েল সৈয়দ মোহাম্মদ আমিন ইবনে আহমাদ ইবনে রেদওয়ান মাদানীর নিকট ৪০ টি হাদিস গ্রন্থের সনদ লাভ করেন।


   আরও সংবাদ