ঢাকা, সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪,
সরকার অনুমোদিত নিবন্ধন নম্বর ১৯১
Reg:C-125478/2015

এএসপি শিপন হত্যা : তদন্ত প্রতিবেদন পেছালো

ডেস্ক রিপোর্ট


প্রকাশ: ১০ সেপ্টেম্বর, ২০২১ ১৪:১৯ অপরাহ্ন | দেখা হয়েছে ৫৬৮ বার


এএসপি শিপন হত্যা : তদন্ত প্রতিবেদন পেছালো

সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার আনিসুল করিম শিপন হত্যা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের তারিখ আবারো পিছিয়েছে। আগামী ১২ এপ্রিল প্রতিবেদন দাখিলের জন্য নতুন দিন ধার্য করেছেন আদালত। বুধবার মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ধার্য ছিল। কিন্তু মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা প্রতিবেদন দাখিল না করায় ঢাকা মহানগর হাকিম মঈনুল ইসলাম নতুন এই দিন ধার্য করেন।

গত বছরের ৯ নভেম্বর রাজধানীর আদাবরে অবস্থিত মাইন্ড এইড সাইকিয়াট্রি অ্যান্ড ডি-অ্যাডিকশন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের নির্যাতনে মারা যান সেখানে ভর্তি হওয়া পুলিশের সিনিয়র এএসপি আনিসুল করিম শিপন। পরদিন ডিএমপির সংবাদ সম্মেলনে ওই মৃত্যুর ঘটনাকে 'সুস্পষ্ট হত্যাকাণ্ড' হিসেবে উল্লেখ করা হয়। ওই ঘটনায় পরের দিন ১০ নভেম্বর আদাবর থানায় আনিসুল করিম শিপনের বাবা বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ ফাইজুদ্দিন আহম্মেদ ১৫ জনকে আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেন। এর মধ্যে দুই আসামি মোঃ সাখাওয়াত হোসেন ও সাজ্জাদ আমিন এখনো পলাতক।

এ মামলার আসামি মাইন্ড এইড হাসপাতালের মার্কেটিং ম্যানেজার আরিফ মাহমুদ জয়, পরিচালক ফাতেমা খাতুন ময়না, মুহাম্মাদ নিয়াজ মার্শেদ, কো-অর্ডিনেটর রেদোয়ান সাব্বির, কিচেন সেফ মো. মাসুদ, ওয়ার্ড বয় জোবায়ের হোসেন, ফার্মাসিস্ট মোঃ তানভীর হাসান, ওয়ার্ড বয় মোঃ তানিম মোল্লা, সজীব চৌধুরী, অসীম চন্দ্র পাল, মোঃ লিটন আহাম্মদ, মোঃ সাইফুল ইসলাম পলাশ বর্তমানে কারাগারে।

মামলায় একমাত্র আসামি জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের রেজিস্ট্রার মোঃ আব্দুল্লাহ আল মামুন জামিনে আছেন। এদিকে এ মামলায় আসামি কিচেন সেফ মাসুদ খান, ওয়ার্ড বয় অসীম চন্দ্র পাল, মার্কেটিং ম্যানেজার আরিফ মাহমুদ জয়, সজিব চৌধুরী, হাসপাতালের ফার্মাসিস্ট মো. তানভীর হাসান ও ওয়ার্ড বয় মোঃ তানিম মোল্লা আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।

মামলার অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, মোঃ আনিসুল করিমকে চিকিৎসার জন্য গত ৯ নভেম্বর দুপুরে আদাবরের মাইন্ড এইড হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে বেলা পৌনে ১২টার দিকে আরিফ মাহমুদ জয় আনিসুলকে ওয়াশরুমে নিয়ে যাওয়ার কথা বলে হাসপাতালের দোতলায় নিয়ে যান। তখন তার বোন কথা বলতে চাইলে আসামি আরিফ মাহমুদ জয় ও রেদোয়ান সাব্বির বাধা দেয় এবং কলাপসিবল গেট আটকে দেন। এরপর এজাহারে উল্লেখিতসহ অজ্ঞাতনামা আরো কয়েকজন মোঃ আনিসুল করিমকে চিকিৎসার নামে দোতলার একটি অবজারভেশন রুমে (বিশেষভাবে তৈরি কক্ষ) নিয়ে যান।

আসামিরা এএসপি আনিসুলকে রুমের ফ্লোরে জোরপূর্বক উপুড় করে শুইয়ে তিন-চারজন হাঁটু দ্বারা পিঠের ওপর চেপে বসেন। এ সময় কয়েকজন তাকে পিঠমোড়া করে ওড়না দিয়ে দুই হাত বাঁধেন। কয়েকজন আসামি কনুই দিয়ে আনিসুলের ঘাড়ের পেছনে ও মাথায় আঘাত করেন। একজন মাথার ওপরে চেপে বসেন এবং আসামিরা সবাই মিলে তার পিঠ, ঘাড়সহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে কিল-ঘুষি মারেন।

এরপর দুপুর ১২টার দিকে আনিসুল নিস্তেজ হয়ে পড়েন, যা হাসপাতালে স্থাপিত সিসিটিভির ভিডিও ফুটেজে দৃশ্যমান। নিস্তেজ হয়ে যাওয়ার পর আসামি আরিফ মাহমুদ জয় নিচে এসে পরিবারের সদস্যদের ইশারায় ওপরে যাওয়ার জন্য ডাক দেন। এরপর তার বাবা, ভাই ও বোন অবজারভেশন রুমে গিয়ে আনিসুলকে ফ্লোরে নিস্তেজ অবস্থায় পড়ে থাকা অবস্থায় দেখতে পান। অতঃপর তাকে জরুরি ভিত্তিতে একটি প্রাইভেট অ্যাম্বুল্যান্সে করে জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক পরীক্ষা করে এএসপি আনিসুলকে মৃত ঘোষণা করেন।

 


   আরও সংবাদ