ঢাকা, শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪,
সরকার অনুমোদিত নিবন্ধন নম্বর ১৯১
Reg:C-125478/2015

হ্যারি-মেগানের জন্য ‘ব্যথিত’ রানি এলিজাবেথ

ডেস্ক রিপোর্ট


প্রকাশ: ১০ সেপ্টেম্বর, ২০২১ ১৪:১৯ অপরাহ্ন | দেখা হয়েছে ৬২৭ বার


হ্যারি-মেগানের জন্য ‘ব্যথিত’ রানি এলিজাবেথ

বিস্ফোরক এক সাক্ষাৎকারে ব্রিটিশ রাজ পরিবারের বর্ণবাদী আচরণের যে অভিযোগ মেগান মার্কল ও প্রিন্স হ্যারি তুলেছেন, দুদিন পর তার প্রতিক্রিয়া জানাল বাকিংহ্যাম প্রাসাদ। রয়টার্স জানিয়েছে, মঙ্গলবার রানির পক্ষে বাকিংহ্যাম প্রাসাদ এক বিবৃতিতে বলেছে, প্রিন্স হ্যারি এবং তার স্ত্রী মেগানের সাম্প্রতিক বছরগুলোতে যে ঝড়ের মধ্য দিয়ে গেছেন, তা জেনে পুরো রাজ পরিবার ব্যথিত।

‘হ্যারি, মেগান এবং তাদের ছেলে অর্চি সবসময়ই রাজপরিবারের ভালবাসা নিয়ে থাকবে,‘ বলা হয়েছে বিবৃতিতে। অর্চির গায়ের রঙ নিয়ে রাজ পরিবারে উদ্বেগ ছিল বলে যে অভিযোগ মেগান তুলেছেন, তাও গুরুত্বের সঙ্গে নিয়েছে বলে জানিয়েছেন রানি। ‘যে বিষয়গুলো তোলা হয়েছে, বিশেষ করে বর্ণ নিয়ে, তা উদ্বেগজনক।‘

এক্ষেত্রে ডিউক অব সাসেক্স হ্যারি ও ডাচেস অব সাসেক্স মেগানের বোঝার ভুলও হয়ে থাকতে পারে বলে মন্তব্য করা হয়েছে বিবৃতিতে। তারপরও এটা গুরুত্বের সঙ্গে নিয়ে দেখার কথা জানিয়ে রানি পারিবারিকভাবেই এটা মিটিয়ে ফেলার কথা বলেছেন। যুক্তরাজ্যের রাজ পরিবারে মিশ্র বর্ণের প্রথম বধূ হয়ে আসা মেগান গত রোববার সিবিএস টেলিভিশনে ওপরা উইনফ্রিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে রাজ পরিবারে গিয়ে তার বিরূপ অভিজ্ঞতার কথা তুলে ধরেছিলেন।

তিনি বলেছিলেন, অর্চি যখন গর্ভে আসে, তখন তার গায়ের রঙ কতটা কালো হতে পারে, তা নিয়ে উদ্বেগে ছিলেন রাজ পরিবারের সদস্যরা। মেগান বলেছিলেন, বিরূপ পরিস্থিতিতে তিনি এতটাই অসহায় বোধ করছিলেন যে আত্মহত্যার কথাও ভাবতে শুরু করেছিলেন। রাজপরিবারের দায়িত্ব ছেড়ে যুক্তরাষ্ট্রে নতুন জীবন শুরু করেছেন মেগান ও হ্যারি।

হ্যারি বলেছেন, তিনি রাজপরিবারের দায়িত্ব ছেড়েছেন বোঝাপড়ার সঙ্কটের কারণে। তাছাড়া তার ভয় ছিল, ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি আবার না ঘটে। ১৯৯৭ সালে নিজের মা প্রিন্সেস ডায়ানার মৃত্যু ঘটার দিকেই ইঙ্গিত ছিল হ্যারির। রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের বড় ছেলে যুবরাজ চার্লসের দুই ছেলের মধ্যে ছোট হলেন হ্যারি। সিংহাসনের উত্তরাধিকারী হিসেবে বড় ভাই উইলিয়াম তার চেয়ে এগিয়ে রয়েছেন। মেগান-হ্যারির ওই সাক্ষাৎকার প্রচারের পর ব্যাপক আলোচনার সৃষ্টি হয়। বলা হচ্ছে, ডায়ানার দুর্ঘটনায় মৃত্যুতে রাজপরিবার যতটা চাপে পড়েছিল, তারপর এত বড় চাপে আর পড়তে হয়নি।

সাক্ষাৎকার প্রচারের পর বাকিংহ্যাম প্রাসাদ কিংবা রাজ পরিবারের কারও এ নিয়ে মুখ না খোলা নিয়ে না জল্পনাও চলছিল ব্রিটিশ গণমাধ্যমে। প্রাসাদের একটি সূত্রের উদ্ধৃতি দিয়ে রয়টার্স জানিয়েছে, রাজ পরিবারের বিষয়টি পারিবারিক ঘটনা হিসেবেই দেখছে এবং তা ঘরোয়াভাবেই মিটিয়ে ফেলতে চাইছে।


   আরও সংবাদ