ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ১৭:৫২ অপরাহ্ন | দেখা হয়েছে ৭৪ বার
দিনের শুরুটা হয়েছিল দুর্দান্ত। হাসান মাহমুদ ফিরিয়ে দেন শুরুর তিন ব্যাটারকে।
ওই চাপ ভারতকে ঠিকঠাক সামলাতে না দিয়েই বাংলাদেশ তুলে নেয় ৬ উইকেট। কিন্তু শেষ সেশনে ঘুরে দাঁড়ায় ভারত। দিনটাও করে নিয়েছে নিজেদের।
চেন্নাইয়ের এম চিদাম্বারাম স্টেডিয়ামে দুই ম্যাচ টেস্ট সিরিজের প্রথমটিতে মুখোমুখি হয়েছে বাংলাদেশ-ভারত। প্রথম দিনশেষে ৬ উইকেট হারিয়ে ৩৩৯ রান করেছে ভারত।
টস জিতে শুরুতে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। ৪২ বছর পর কোনো সফরকারী দলের অধিনায়ক চেন্নাইয়ের মাটিতে টস জিতে আগে বোলিং নিল। চেন্নাইয়ের মেঘে ঢাকা কন্ডিশনের সুবিধা কাজে লাগাতে চেয়েছিলেন তিনি। তার বোলাররা করে দেখিয়েছেন তেমন কিছুই।
তৃতীয় ওভারের দ্বিতীয় বলে রোহিত শর্মা বেঁচে যান আম্পায়ারস কলে। তাসকিনের কাছ থেকে বাঁচলেও হাসান মাহমুদ ঠিকই রোহিতকে তুলে নেন। পঞ্চম ওভারে তার অফ স্টাম্পের সামান্য বাইরে থাকা বল ডিফেন্ড করতে যান রোহিত, তার ব্যাট ছুয়ে বল যায় দ্বিতীয় স্লিপে দাঁড়ানো শান্তর হাতে। ১৯ বলে ৬ রান করে ফেরেন তিনি।
উইকেট মেডেন দেওয়ার পরের ওভারে এসে প্রথম বলেই চার হজম করেন হাসান। কিন্তু ঘুরে দাঁড়াতেও সময় নেননি। তৃতীয় বলে শুভমান গিল ক্যাচ দেন উইকেটের পেছনে। হাসান এরপরও থাকেন উজ্জ্বল।
নিজের টানা তৃতীয় ওভারে উইকেট নেন তিনি। এবার ফেরান বিরাট কোহলিকে। হাসানের বলে ড্রাইভ করতে গিয়ে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দেন তিনি। ৬ বলে ৬ রান করে ফিরতে হয় কোহলিকে।
প্রথম সেশনের শেষ ঘণ্টা ভালো কাটেনি। তবে দ্বিতীয় সেশনের শুরুতেই আবারও দলের জন্য ত্রাতা হন হাসান মাহমুদ। মাত্র তৃতীয় ওভারেই ৫২ বলে ৩৯ রান করা পান্ত উইকেটের পেছনে ক্যাচ দেন তার বলে।
এরপর লোকেশ রাহুলকে সঙ্গে নিয়ে দলকে টেনে নেওয়ার দায়িত্ব নেন জয়সওয়াল। এই ওপেনার তুলে নেন হাফ সেঞ্চুরিও। কিন্তু তাকে ফেরান নাহিদ রানা। ১১৮ বলে ৫৬ রান করে স্লিপে দাঁড়ানো সাদমানের হাতে ক্যাচ দেন বাঁহাতি এই ওপেনার।
পরের ওভার করতে আসেন মেহেদী হাসান মিরাজ। তার বলে শর্ট লেগে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফেরেন লোকেশ রাহুল। ৫৬ বলে ১৬ রান করেছিলেন তিনি। ৬ উইকেট হারিয়ে বিপদে পড়া দলকে উদ্ধারের চেষ্টা করেন রবীন্দ্র জাদেজা ও রবিচন্দ্রন অশ্বিন। ।
শেষ সেশনের পুরোটাই বাংলাদেশকে চাপে রাখে ভারত। দুজন মিলে দলকে টেনে তোলেন। দুজনেই তোলেন হাফ সেঞ্চুরি। তারা জুটির রেকর্ডও গড়েন। বাংলাদেশের বিপক্ষে সপ্তম বা তার নিচের জুটিতে সর্বোচ্চ রান তোলেন তারা। ছাড়িয়ে যান শচীন টেন্ডুলকার ও জহির খানের ১৩৩ রানের জুটির রেকর্ড। ২০০৪ সালে ঢাকায় এই জুটি গড়েছিলেন শচীন ও জহির।
প্রথম দুই সেশনে ৬ উইকেট নেওয়া বাংলাদেশ শেষ সেশনের একটি উইকেটও নিতে পারেনি। সেঞ্চুরি তুলে নেন অশ্বিন। ১১২ বলে ১০২ রান করে অপরাজিত আছেন তিনি। ১১৭ বলে ৮৬ রানে অপরাজিত আছেন জাদেজা।