ঢাকা, বুধবার, ২৩ অক্টোবর ২০২৪,
সরকার অনুমোদিত নিবন্ধন নম্বর ১৯১
Reg:C-125478/2015

মিরাজের ব্যাটে লড়াইয়ের আশা বাংলাদেশের

ডেস্ক রিপোর্ট


প্রকাশ: ২৩ অক্টোবর, ২০২৪ ১৬:৫০ অপরাহ্ন | দেখা হয়েছে ৮ বার


মিরাজের ব্যাটে লড়াইয়ের আশা বাংলাদেশের

সকাল শুরু হলো মেঘে। কখনো আলো এলো, কখনো মেঘে ঢেকে থাকলো আকাশ, কিছুক্ষণ হলো বৃষ্টিও; সবকিছুর মধ্যেই উজ্জ্বল একজন; মেহেদী হাসান মিরাজ।

জাকের আলি অনিক, নাঈম হাসানকে সঙ্গে নিয়ে তিনি জুটি গড়েছেন। ইনিংস পরাজয়ের শঙ্কা থেকে বাঁচিয়ে এখন একটু একটু করে জাগাচ্ছেন জয়ের স্বপ্নও।

 

মিরপুরে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে দুই ম্যাচ টেস্ট সিরিজের প্রথমটিতে মুখোমুখি হয়েছে বাংলাদেশ ও দক্ষিণ আফ্রিকা। প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশ ১০৬ রান করার পর ৩০৮ রানের সংগ্রহ গড়ে সফরকারীরা। পরে নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংসে তৃতীয় দিনশেষে ৭ উইকেট হারিয়ে ২৮৩ রান করেছে বাংলাদেশ। এগিয়ে আছে ৮১ রানে।  

মিরপুরের আকাশে সকাল থেকেই আজ মেঘের ছায়া, বাংলাদেশের দুলতে থাক ম্যাচ ভাগ্যেও যেন অন্ধকারে ঢাকা। মাহমুদুল হাসান জয় ও মুশফিকুর রহিমের জুটিতে ভর করে আগের দিন কিছুটা স্বস্তি নিয়েই শেষ করেছিল বাংলাদেশ। তৃতীয় দিনের শুরুর চার ওভারও বেশ ভালোভাবেই সামলে নেন তারা। কিন্তু হঠাৎই ঘটে ছন্দপতন।  

শেরে বাংলায় ৫ হাজার রানের মাইলফলক গড়ার সুযোগ ছিল মুশফিকের সামনে। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে প্রথম ব্যাটসম্যান হিসেবে এক ভেন্যুতে ৫ হাজার রানের কীর্তিও এটি। এজন্য দুই ইনিংস মিলিয়ে ৪৪ রান করতে হতো তাকে। সেটি তিনি করেছেন। সেই জায়গায় পৌঁছে অবশ্য আর টিকতে পারেননি তিনি। ৩৯ বলে ৩৩ রান করে প্রোটিয়া পেসার কাগিসো রাবাদার বলে বোল্ড হয়ে ফিরেছেন মুশি। আগের ইনিংসে তিনি বিদায় নিয়েছিলেন ব্যক্তিগত ১১ রানে।  

তবে দিনের শুরুটা হয় জয়কে দিয়ে। রাবাদার বলে স্লিপে ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান জয়। ৯২ বলে ৪০ রান তখন তার। মুশফিকের সঙ্গে জুটি ছিল ৯২ বলে ৪০ রানের। সঙ্গীর বিদায়ের পর বেশিক্ষণ উইকেটে থাকতে পারেননি তিনি।  

বাংলাদেশ আরও বেশি বিপদে পড়ে লিটন দাসের আউটে। কেশভ মহারাজের বল ডিফেন্ড করতে যান তিনি। তার ব্যাটের পাশ দিয়ে বল বেরিয়ে যায়। আবেদন করলেও আউট দিতে রাজি হননি আম্পায়ার। রিভিউ নেবেন কি না, এ নিয়েও অনেক্ষণ দ্বিধায় ছিলেন দক্ষিণ আফ্রিকান ক্রিকেটাররা। রিভিউ নেওয়ার সময়ের শেষ সেকেন্ডে গিয়ে তৃতীয় আম্পায়ারের কাছে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন মার্করাম।  

রিভিউতে দেখা যায়, লিটনের ব্যাট ছুঁয়েই বল গেছে উইকেটরক্ষকের গ্লাভসে। আউট হয়ে বেশ হতাশ ছিলেন লিটন, ড্রেসিংরুমে যাওয়ার পথে ব্যাট ছুড়ে মারেন। তার বিদায়ের পর ইনিংস হারের শঙ্কাতেই পড়ে যায় বাংলাদেশ।  

তা থেকে রক্ষা করার মিশনে নামেন জাকের আলি ও মেহেদী হাসান মিরাজ। তারা অনেকটা সফলও হয়েছেন। দলের বিপদে আরও একবার ব্যাট হাতে জ্বলে উঠেছেন মিরাজ, মধ্যাহ্নভোজের বিরতিতে যাওয়ার আগেই হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন তিনি।  

জাকেরের সঙ্গে তার জুটিতে ভর করে স্রেফ এক রান পিছিয়ে ছিল বাংলাদেশ। মধ্যাহ্নভোজের বিরতির পরপরই সেটি টপকে আরও অনেকদূর এগোয় তারা। যাদিও জাকের পুরো যাত্রার সঙ্গী হতে পারেননি। আট বা তার নিচে নেমে চতুর্থ বাংলাদেশি হিসেবে অবশ্য হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন জাকের।  

কিন্তু তিনি ১১১ বলে ৫৮ রান করে এলবিডব্লিউ হয়ে যান মহারাজের বলে। তার বিদায়ের পর মিরাজকে সঙ্গ দেন নাঈম হাসান। তিনিও অবশ্য এলবিডব্লিউ হয়েছিলেন, কিন্তু রিভিউ নিয়ে বেঁচে যান। এর মধ্যেই বৃষ্টিতে খেলা বন্ধ হয়ে যায়, তখনই ঘোষণা করা হয় চা বিরতি।

বৃষ্টি থামার পর খেলা শুরু হলেও বেশিক্ষণ চলতে পারেনি। ৫ ওভার খেলা হওয়ার পর আলোকস্বল্পতার কারণে ম্যাচ বন্ধ হয়ে যায়। এই ৫ ওভারে ১৬ রান করে বাংলাদেশ। নাঈম-মিরাজ জুটি এখন অপরাজিত আছে ৫৯ বলে ৩৩ রানে। ১১৭ বলে ৮৭ রানে মিরাজ ও ২৮ বলে ১৬ রানে অপরাজিত আছেন নাঈম।


   আরও সংবাদ