ঢাকা, শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪,
সরকার অনুমোদিত নিবন্ধন নম্বর ১৯১
Reg:C-125478/2015

তামিম-মিঠুনের অর্ধশতকে লড়াকু সংগ্রহ বাংলাদেশের

ডেস্ক রিপোর্ট


প্রকাশ: ১০ সেপ্টেম্বর, ২০২১ ১৪:১৯ অপরাহ্ন | দেখা হয়েছে ৪৯৬ বার


তামিম-মিঠুনের অর্ধশতকে লড়াকু সংগ্রহ বাংলাদেশের

সিরিজে টিকে থাকতে হলে জয়ের কোন বিকল্প নেই, এমন সমীকরণে ক্রাইস্টচার্চে দ্বিতীয় ওয়ানডেতে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরুতে উইকেট হারালেও শেষ পর্যন্ত তামিম ইকবাল, মোহাম্মদ মিঠুনের দুর্দান্ত অর্ধশতকে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ২৭১ রান করেছে বাংলাদেশ। তামিম ৭৮ রান করে ফিরলেও মোহাম্মদ মিঠুন ৭৩ রানে অপরাজিত থাকেন।

ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারে হেনরি নিকোলসের বাউন্সারে স্কয়ার লেগে দাঁড়িয়ে থাকা ইয়ংয়ের হাতে ক্যাচ তুলে দিয়ে ড্রেসিংরুমে ফেরেন লিটন দাস। এরপর ট্রেন্ট বোল্টের তৃতীয় ওভারের শেষ বলে তামিমকে কট বিহান্ডে আউট দেন আম্পায়ার। তবে তামিম আম্পায়ারকে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দেন। রিভিউতে দেখা যায় বলের সাথে তামিমের ব্যাটের কোনো স্পর্শই লাগেনি। তাতেই রক্ষা টাইগার দলপতির।

পরে আরো একটি জীবন পান তামিম। ইনিংসের ১৫তম ওভারের ৫ম বল করেন কাইল জেমিসন, তার বলে শট খেলেন তামিম। সঙ্গে সঙ্গে সামনের দিকে লাফিয়ে ক্যাচ লুফে নেন জেমিসন, আউটের জোরালো আবেদন করেন। তার আবেদনে সাড়া দেন আম্পায়ার, তবে নিশ্চিত হওয়ার জন্য থার্ড আম্পায়ারের স্মরণাপন্নও হন। সেখানেই দেখা মেলে জেমিসন বল ধরার পর তা মাটিতে স্পর্শ করে। তাই তো আম্পায়ার তার সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসেন আর ৩৪ রানে ব্যাট করতে থাকা তামিম দ্বিতীয়বারের মতো জীবন পান।

২১তম ওভারে স্যান্টনারের করা প্রথম বলেই ক্রিজ থেকে বেরিয়ে পূর্বনির্ধারিত শট খেলতে গিয়ে লেগ স্ট্যাম্পের বাইরের বল মিস করেন সৌম্য। আর তাতেই দলীয় ৮৪ রানে স্ট্যাম্পিং হয়ে ফেরেন সৌম্য। তিনটি চার আর একটি ছয়ে ৪৬ বলে ৩২ রানের ইনিংস খেলে প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন সৌম্য।

এরপর ৮৪ বলে অর্ধশতক তুলে নেন তামিম। এটি তামিমের ওয়ানডেতে ৫০তম অর্ধশতক, কিউইদের বিপক্ষে ষষ্ঠ। ৫০ পূর্ণের পর হাত খুলে খেলতে শুরু করেন তামিম। দুর্দান্ত শট খেলে রানের চাকা সচলও রেখেছিলেন। এগোচ্ছিলেন সেঞ্চুরির পথেই। তবে বিধিবাম হয়ে দাঁড়াল রান আউট। ৩১তম ওভারে জেমস নিশামের দ্বিতীয় বলে রান আউট হয়ে ফেরার আগে ১০৮ বলে ১১টি চারে ৭৮ রান করেন তামিম। আর দলীয় স্কোরবোর্ডে রান সংখ্যা তখন ১৩৩ রান।

এরপর মোহাম্মদ মিঠুনকে সঙ্গে নিয়ে ৫১ রানের জুটি গড়েন মুশফিকুর রহিম। তবে ৪১তম ওভারের তৃতীয় বলে স্যান্টনারের বলে হেনরি নিকোলসের হাতে ধরা পড়েন মুশি। দলীয় ১৮৪ রানে ৫৯ বলে ৩৪ রানের ইনিংস খেলে ফেরেন মুশফিক।

এরপর মোহাম্মদ মিঠুনের দুর্দান্ত এক ইনিংস। অর্ধশতক তুলতে মিঠুন খেলেন ৪৩টি বল। এর আগে ২৮টি ওয়ানডে খেলে মিঠুনের অর্ধশতক ছিল ৫টি। যেখানে সর্বোচ্চ রানের ইনিংস ছিল ৬৩ এর। কিউইদের বিপক্ষে এদিন মিঠুন খেলেন অপরাজিত ৭৩ রানের ঝকঝকে এক ইনিংস। আর তাতেই টাইগারদের লড়াকু সংগ্রহ। কিউইদের হয়ে সর্বোচ্চ দুটি উইকেট নেন মিচেল স্যান্টনার। আর একটি করে উইকেট নেন ট্রেন্ট বোল্ট, ম্যাট হেনরি আর কাইল জেমিসন। তাতেই নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশের সংগ্রহ দাঁড়ায় ২৭১ রানের।


   আরও সংবাদ