ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১০ সেপ্টেম্বর, ২০২১ ১৪:১৯ অপরাহ্ন | দেখা হয়েছে ৭০০ বার
টেস্ট সিরিজের আগে ম্যাচ অনুশীলন বলতে দুই দিনের এই ম্যাচটিই। এর মধ্যে একমাত্র ইনিংসে যদি দলের মহাগুরুত্বপূর্ণ ব্যাটসম্যান আউট হন শূন্য রানে, তাহলে তো তাঁর প্রস্তুতিই হয় না। কিন্তু প্রস্তুতি ম্যাচ যেহেতু নিজেদের মধ্যেই, তাই তাঁকে আরেকবার ব্যাটিংয়ের সুযোগ করে দিতেও বাধা নেই কোনো। কাতুনায়েকের সিএমসিসি মাঠে দুই দিনের ম্যাচে বাংলাদেশের টেস্ট অধিনায়ক মমিনুল হক যেমন আউট হয়েও আবার ব্যাটিং ঝালাই করে নিতে পারলেন।
তিনি একা নন, লিটন কুমার দাসও। ভিন্ন দুই পজিশনে ব্যাটিং করলেন তিনি। প্রথমে ওপেনার হিসেবে, পরে সাত নম্বরেও। এভাবেই প্রস্তুতি ম্যাচ শেষ করা সফরকারীরা আজ নেগোম্বো থেকে যাচ্ছে টেস্ট সিরিজের ভেন্যু ক্যান্ডিতে। সেখানকার পাল্লেকেলে স্টেডিয়ামে ২১ এপ্রিল থেকে শুরু হচ্ছে প্রথম টেস্ট। এর আগে আজ-কালের মধ্যেই ২১ জনের প্রাথমিক দল থেকে চূড়ান্ত স্কোয়াড বেছে নেওয়ার কথা নির্বাচক ও টিম ম্যানেজমেন্টের।
স্থানীয় কোনো দল তো বটেই, করোনাভাইরাস মহামারির কারণে এমনকি নেট বোলারও সরবরাহ করা হবে না বলে শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট (এসএলসি) আগেই জানিয়ে দেওয়ায় বড় বহর নিয়ে গেছে বাংলাদেশ। প্রস্তুতি ম্যাচ খেলার স্বার্থেই প্রাথমিক দল নিয়ে যাওয়া। আগের দিন তামিম ইকবালের নেতৃত্বাধীন লাল দল ৮১ ওভারে করেছিল ৩১৪ রান। কাল এর জবাবে মমিনুলের নেতৃত্বাধীন সবুজ দল ৭১ ওভারে তুলেছে ২২৫ রান। লাল দলের তামিম, মুশফিকুর রহিম, নাজমুল হোসেন শান্ত ও সাইফ হাসানরা যেমন ফিফটি করে দারুণ প্রস্তুতি সেরে রেখেছেন, সবুজ দলের সিংহভাগ ব্যাটসম্যানেরই অবশ্য ব্যাটিং প্রস্তুতিটা তেমন হয়নি। চার হাফ সেঞ্চুরিয়ানের মতো লাল দলের নুরুল হাসানও আগের দিন ৪৮ রান করে স্বেচ্ছা অবসরে গিয়েছিলেন। সবুজ দলের হয়ে খেলা টেস্টের নিয়মিত ওপেনার সাদমান ইসলাম আউট হয়েছেন ১৯ রান করে।
মোহাম্মদ মিঠুনও যেতে পারেননি বেশি দূর, করেছেন ২৮ রান। শূন্য রানে আউট হওয়া মমিনুল দ্বিতীয় সুযোগে করেন ৪৭ রান। টেস্টে সাধারণত ছয়-সাত নম্বরে ব্যাটিং করে অভ্যস্ত লিটন কাল শুরুতে ছিলেন ওপেনার। ২৭ রানও করেন। পরে আবার সাতে নেমে স্বেচ্ছা অবসরে যাওয়ার আগে ৬৪ রান করে যান। বল হাতে দারুণ প্রস্তুতি সেরেছেন তামিমের লাল দলের মেহেদী হাসান মিরাজ। এই অফস্পিনার ৪১ রানে নিয়েছেন ৩ উইকেট। বাঁহাতি স্পিনার তাইজুল ইসলাম ও পেসার আবু জায়েদ উইকেট পেয়েছেন একটি করে।