ঢাকা, শনিবার, ৩০ নভেম্বর ২০২৪,
সরকার অনুমোদিত নিবন্ধন নম্বর ১৯১
Reg:C-125478/2015

করোনার টিকা পাবে শিশু-কিশোরেরাও

ডেস্ক রিপোর্ট


প্রকাশ: ১০ সেপ্টেম্বর, ২০২১ ১৪:১৯ অপরাহ্ন | দেখা হয়েছে ৬২১ বার


করোনার টিকা পাবে শিশু-কিশোরেরাও

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: এখন থেকে করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন নিতে পারবে শিশু-কিশোরেরাও। ১২ থেকে ১৫ বছর বয়সীদের ফাইজারের টিকা প্রয়োগের অনুমোদন দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের খাদ্য ও ওষুধ প্রশাসন (এফডিএ)। খবর আলজাজিরা ও বিবিসির। যুক্তরাষ্ট্রে আগে ১৬ বছর বয়সী ও তদোর্ধ্বদের করোনার টিকা দেওয়ার সুযোগ ছিল। আগামী বৃহস্পতিবার থেকে ১২ থেকে ১৫ বছর বয়সীদেরও টিকা দেওয়া শুরু হবে।

ফাইজারের টিকা বহু দেশে ব্যবহার করছে। কানাডা সম্প্রতি ১২ বছর বয়সীদের এ টিকা দেওয়া শুরু করে। এরপর যুক্তরাষ্ট্র এই টিকা শিশু-কিশোরদের দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিল। দেশটির খাদ্য ও ওষুধ নিয়ন্ত্রক সংস্থা বলছে, মহামারি মোকাবিলায় এটি একটি তাৎপর্যপূর্ণ পদক্ষেপ। সোমবার এফডিএ কমিশনার ডা. জ্যানেট উডকক বলেছেন, এই পদক্ষেপের লক্ষ্য স্বাভাবিক পরিস্থিতির কাছাকাছি যাওয়ার অনুভূতি তৈরি করা এবং মহামারির অবসান। 

যুক্তরাষ্ট্রে এখন পর্যন্ত প্রায় ২৬ কোটি ডোজ টিকা প্রয়োগ করা হয়েছে। তবে সম্প্রতি টিকার চাহিদা কমে গেছে। ফলে বেশি পরিমাণ টিকা প্রয়োগে ১২ থেকে ১৫ বছর বয়সীদের ওপর টিকা প্রয়োগের অনুমোদন দেওয়া হলো। এফডিএ কমিশনার জ্যানেট উডকক জানান, প্রাপ্ত সব ধরনের তথ্য-উপাত্ত ব্যাপকভাবে যাচাই করার পর এই অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

গত সপ্তাহে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এক ঘোষণায় জানান আগামী ৪ জুলাইয়ের মধ্যে অন্তত ৭০ শতাংশ জনগোষ্ঠীকে তিনি অন্তত এক ডোজ টিকা দেওয়ার পরিকল্পনা করছেন। দেশটি জুড়ে মাস্ক ব্যবহারের বাধ্যবাধকতা শিথির করা হয়েছে। বেশিরভাগ রাজ্যই তাদের অর্থনীতি খুলে দিয়েছে কিংবা আগামী মাসেই তা খুলে দেবে বলে আশা করা হচ্ছে।

স্বাস্থ্য সংক্রান্ত তথ্যে দেখা গেছে, করোনাভাইরাসে শিশুদের মারাত্মক অসুস্থ হয়ে পড়ার আশঙ্কা খুবই কম। আমেরিকান অ্যাকাডেমিক অব পেডিয়াট্রিকস (এএপি) এর তথ্য অনুযায়ী এই মাস পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রের ৩৮ লাখ ৫০ হাজার শিশু করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে। যা দেশটিতে মোট আক্রান্তের মাত্র দশ শতাংশ।

এদিকে ফাইজার আগেই জানিয়েছে, তাদের এই টিকা করোনাভাইরাসে সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠী বয়োজ্যেষ্ঠদের ক্ষেত্রে ৯৪ শতাংশ কার্যকর। মার্কিন বহুজাতিক ওষুধ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান ফাইজারের সঙ্গে এই টিকা তৈরিতে কাজ করছে জার্মান প্রতিষ্ঠান ‘বায়োএনটেক’।
 


   আরও সংবাদ