ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১০ সেপ্টেম্বর, ২০২১ ১৪:১৯ অপরাহ্ন | দেখা হয়েছে ৬৪৭ বার
আইন আদালত: মিতু হত্যাকাণ্ডে স্বামী বাবুল আক্তারের দায়ের করা মামলায় কারাগারে ছিলেন আসামি মো. মোতালেব মিয়া ওরফে মো. ওয়াসিম এবং মো. আনোয়ার। এরই মধ্যে ওই হত্যাকাণ্ডে মামলার বাদী বাবুল আক্তারের সম্পৃক্ততা পায় মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) পরিদর্শক সন্তোষ কুমার চাকমা।
গত বুধবার (১২ মে) মামলার চূড়ান্ত প্রতিবেদনও জমা দেন তিনি। একই দিন চট্টগ্রাম নগরের পাঁচলাইশ থানায় বাবুল আক্তারকে প্রধান আসামি করে মামলা দায়ের করেন মিতুর বাবা ও সাবেক পুলিশ পরিদর্শক মোশাররফ হোসেন।
ওই মামলায় বাবুল আক্তার ছাড়াও বাকি সাত আসামি হলেন- মো. কামরুল ইসলাম সিকদার ওরফে মুসা (৪০), এহতেশামুল হক ওরফে হানিফুল হক ওরফে ভোলাইয়া (৪১), মো. মোতালেব মিয়া ওরফে ওয়াসিম (২৭), মো. আনোয়ার হোসেন (২৮), মো. খায়রুল ইসলম ওরফে কালু (২৮), সাইদুল ইসলাম সিকদার (৪৫) ও শাহজাহান মিয়া (২৮)।
ওই দিনই কারাগারে থাকা নতুন মামলার এজাহারভুক্ত দুই আসামিকে গ্রেফতার দেখানোর আবেদন করেন পিবিআই। আবেদনটি আদালত রোববার (১৬ মে) শুনানির জন্য ধার্য রেখেছিলেন। আজ (রোববার) শুনানি শেষে ওই মামলায় তাদের গ্রেফতার দেখানোর আদেশ দেন চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সারোয়ার জাহানের আদালত।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নগর পুলিশের সহকারী কমিশনার (প্রসিকিউশন) কাজী শাহাবুদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেন, ‘পিবিআইয়ের আবেদনের প্রেক্ষিতে কারাগারে থাকা আগের মামলার দুই আসামি ওয়াসিম ও আনোয়ারকে নতুন মামলায় গ্রেফতার দেখাতে আদেশ দিয়েছেন আদালত।’
২০১৬ সালের ৫ জুন সকালে চট্টগ্রাম নগরের ওআর নিজাম রোডে ছেলেকে স্কুলবাসে তুলে দিতে যাওয়ার পথে দুর্বৃত্তদের গুলি ও ছুরিকাঘাতে হত্যাকাণ্ডের শিকার হন মাহমুদা খানম মিতু। ওই সময় এ ঘটনা দেশজুড়ে ব্যাপক আলোচিত হয়। ঘটনার সময় মিতুর স্বামী পুলিশ সুপার বাবুল আক্তার অবস্থান করছিলেন ঢাকায়। ঘটনার পর চট্টগ্রামে ফিরে তৎকালীন পুলিশ সুপার ও মিতুর স্বামী বাবুল আক্তার পাঁচলাইশ থানায় অজ্ঞাতনামা আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।