ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১০ সেপ্টেম্বর, ২০২১ ১৪:১৯ অপরাহ্ন | দেখা হয়েছে ৫৪৫ বার
আন্তর্জাতিক ডেস্ক: গাজায় ইসরাইল ও ফিলিস্তিনের মধ্যে আট দিনের রক্তক্ষয়ী সহিংসতার পর যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। তিনি সোমবার ইসরাইল-ফিলিস্তিনের মধ্যে যুদ্ধবিরতির পক্ষে তার সমর্থন ব্যক্ত করেন। মঙ্গলবার বিবিসির খবরে এই তথ্য জানানো হয়।
জো বাইডেন সোমবার ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে ফোনে কথা বলেন। এই ফোনকলেই তিনি ইসরাইল-ফিলিস্তিনের মধ্যে যুদ্ধবিরতির পক্ষে তার মত দেন। তিনি নেতানিয়াহুকে বলেন, মিসরসহ বেশ কয়েক রাষ্ট্রের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র কাজ করছে ইসরাইল-ফিলিস্তিনের মধ্যে সহিংসতা নিরসনের লক্ষ্যে।
যুদ্ধবিরতির পক্ষে বাইডেন তার সমর্থন ব্যক্ত করলেও রোববার ইসরাইল-ফিলিস্তিনের মধ্যে সংঘাত বন্ধে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের আহ্বান সংবলিত বিবৃতি আটকে দেয় যুক্তরাষ্ট্র। ইসরায়েলকে সমর্থন দিয়ে আসা যুক্তরাষ্ট্রের আপত্তির কারণে নিরাপত্তা পরিষদের রোববারের বৈঠক থেকে কোনো ফল আসেনি। ইসরাইল-ফিলিস্তিন সহিংসতা এখন দ্বিতীয় সপ্তাহে। এটি বন্ধের কোনো লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না।
এই সংঘাতে গাজায় এখন পর্যন্ত ২১২ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে ৬১ জনই শিশু। আর হামাসের রকেট হামলায় ১০ জন মারা গেছেন। ইসরাইল দাবি করেছে গাজায় যারা মারা গেছেন তাদের বেশিরভাগই জঙ্গি। বেসামরিক যারা মারা গেছেন সেগুলো অনিচ্ছাকৃত মৃত্যু বলছে ইসরাইল। জাতিসংঘ জানিয়েছে, ইসরায়েলি বিমান হামলায় গাজায় ৩৮ হাজার মানুষের ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে। বাস্তুচ্যুত হয়েছে আড়াই হাজার।
হোয়াইট হাউসের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, নিরপরাধ লোকজনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ইসরাইলকে আহ্বান জানিয়েছেন প্রেসিডেন্ট বাইডেন। দুই নেতা গাজায় হামাস ও অন্য ’সন্ত্রাসী গ্রুপের’ বিরুদ্ধে সামরিক অপারেশন নিয়েও আলোচনা করেন।
বিবৃতিতে বলা হয়, মার্কিন প্রেসিডেন্ট যুদ্ধবিরতির পক্ষে তার সমর্থন প্রকাশ করেছেন। একই সঙ্গে তিনি ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রীকে জানিয়েছেন যে, দুপক্ষের মধ্যে সংঘাত বন্ধে মিসরসহ অন্যান্য অংশীদার দেশের সঙ্গে কাজ করছে যুক্তরাষ্ট্র। হামলার পাল্টা জবাব হিসেবে গাজা থেকে ইসরাইলের দিকে রকেট ছোড়া হচ্ছে। ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর ভাষ্য, হামাস এখন পর্যন্ত ৩ হাজারের বেশি রকেট হামলা চালিয়েছে।
ইসরাইল-ফিলিস্তিন ইস্যুতে রোববার জরুরি বৈঠকে বসে ইসলামি সহযোগিতা সংস্থা (ওআইসি)। বৈঠকে ফিলিস্তিনি জনগণের জন্য ‘সুরক্ষা বাহিনী’ গঠনের প্রস্তাব তোলে তুরস্ক।