ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১০ সেপ্টেম্বর, ২০২১ ১৪:১৯ অপরাহ্ন | দেখা হয়েছে ৭৪২ বার
আইন আদালত: গত এক মাসে মামলার তদন্তে সন্তুষ্ট কি না- সাংবাদিকরা জানতে চাইলে মামলার বাদী নুসরাত বলেন, ‘না।’ তিনি বলেন, গত ৫ তারিখ একবার পুলিশ ডেকেছিল। আমি থানায় গিয়েছিলাম। ওরা বলেছে, ময়নাতদন্তে ভিসেরা রিপোর্টের জন্য অপেক্ষা করছে, সময় লাগবে। ঢাকার এক কলেজের ছাত্রী কুমিল্লার মেয়ে মুনিয়াকে গত ২৬ এপ্রিল সন্ধ্যায় গুলশানের একটি ফ্ল্যাট থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। তিনি ওই ফ্ল্যাটেই থাকতেন।
সেদিনই কুমিল্লা থেকে এসে আত্মহত্যায় প্ররোচনার অভিযোগ এনে বসুন্ধরা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) সায়েম সোবহান আনভীরের বিরুদ্ধে মামলা করেন নুসরাত। সেই মামলায় তিনি অভিযোগ করেছিলেন, বসুন্ধরা এমডি আনভীর ‘বিয়ের প্রলোভন’ দেখিয়ে মুনিয়ার সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তুলেছিলেন। তাকে ওই বাসায় রেখেছিলেন। কিন্তু বিয়ে না করে তিনি উল্টো ‘হুমকি’ দেওয়ায় মুনিয়া আত্মহত্যা করেন। ওই ফ্ল্যাটে আনভীরের যাতায়াতের প্রমাণ পাওয়ার কথাও জানিয়েছিল পুলিশ।
মুনিয়ার ওই ফ্ল্যাট ভাড়া নেওয়ার ক্ষেত্রে নিজের ভূমিকার কথা সংবাদ সম্মেলনে স্বীকার করেন নুসরাত। তিনি বলেন, আমি কিছু কিছু কাজে ওর জিদের কাছে পরাজিত ছিলাম। মুনিয়ার লাশ উদ্ধারের পর তুমুল আলোচনার মধ্যে মুনিয়া-আনভীরের একটি ফোনালাপ সোশাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ার পাশাপাশি মুনিয়ার সঙ্গে হুইপপুত্র শারুন চৌধুরীর হোয়াটসঅ্যাপে কথিত কথোপকথনের একটি স্ক্রিনশটও আসে।
শারুন চৌধুরীর সঙ্গে কী সম্পর্ক ছিল- সংবাদ সম্মেলনে এই প্রশ্নের উত্তরে নুসরাত বলেন, ‘২৬ তারিখ সকাল বেলা মুনিয়া আমাকে ফোন করে বলেছিল, আনভীর তাকে বিভিন্ন ধরনের অপবাদ দিচ্ছে, ব্লেম দিচ্ছে। কী ব্লেইম দিচ্ছে জানতে চাইলে বলছে- ‘আসলে আমি সব বলব, তুমি আমাকে ক্ষমা করে দিও, অনেক ভুল করছি, আনভীর আমাকে ধোঁকা দিচ্ছে’। কী ব্লেম দিচ্ছে জানতে চাইলে বলছিল, ‘আমি নাকি ওর শত্রু শারুনের সঙ্গে যুক্ত’। তখন বলেছি, হু ইজ শারুন। বলল, ‘তুমি আসো, সব বলব’। এই বলে অনেক কান্না করছে।
বলেছে- ‘আমার সামনে অনেক বিপদ, তুমি এখনি আস’, বলেন নুসরাত। এক সাংবাদিক তখন প্রশ্ন করেন, আপনার (নুসরাত) সঙ্গে শারুনের আগে থেকে পরিচয় ছিল, যা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ সব জায়গায় আছে। তখন মুনিয়ার বোন বলেন, আপনারা পারলে এটা প্রমাণ করেন। আমি আছি। এদিকে নুসরাত আত্মহত্যায় প্ররোচনার অভিযোগে মামলা করলেও তার ভাই আশিকুর রহমান সবুজ দাবি করছেন, তার বোন মুনিয়াকে হত্যা করা হয়েছে এবং তাতে ‘জড়িত’ শারুন।
মুক্তিযোদ্ধার সন্তান মুনিয়ার জন্য গতকাল বুধবার ডাকা সংবাদ সম্মেলনে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ড কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি মেহেদী বসুন্ধরা এমডি আনভীরকে গ্রেপ্তারের দাবি জানান।