ঢাকা, শনিবার, ৩০ নভেম্বর ২০২৪,
সরকার অনুমোদিত নিবন্ধন নম্বর ১৯১
Reg:C-125478/2015

প্রতিহিংসার পথে হাঁটছে কেন্দ্র এবং বিজেপি

ডেস্ক রিপোর্ট


প্রকাশ: ১০ সেপ্টেম্বর, ২০২১ ১৪:১৯ অপরাহ্ন | দেখা হয়েছে ৬০৭ বার


প্রতিহিংসার পথে হাঁটছে কেন্দ্র এবং বিজেপি

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়ের বদলির নির্দেশ ঘিরে সরগরম হয়ে উঠছে রাজ্য রাজনীতি। বিশেষ করে মোদি সরকারের এ সংক্রান্ত সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে পশ্চিমবঙ্গের ক্ষমতাসীন দল তৃণমূল কংগ্রেস। দলটির অভিযোগ, নির্বাচনে হেরে পশ্চিমবঙ্গের ওপর প্রতিশোধ নিচ্ছে বিজেপি।

তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র কুনাল ঘোষ শুক্রবার রাতে এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘প্রতিহিংসার পথে হাঁটছে কেন্দ্র এবং বিজেপি। আমরা এর তীব্র বিরোধিতা করছি। করোনা ও ইয়াস পরিস্থিতিতে এই বদলির নির্দেশের উদ্দেশ্য শুধু পশ্চিমবঙ্গ সরকারের ক্ষতি করা নয়, বরং এর উদ্দেশ্য পশ্চিমবঙ্গের মানুষের ক্ষতি করা।’

কুণালের অভিযোগ, বিধানসভা ভোটে হেরে পশ্চিমবঙ্গবাসীর বিরুদ্ধে প্রতিশোধ নিতে চাইছে কেন্দ্র। তিনি জানান, আলাপনের আগামী ৩১ মে পর্যন্ত কার্যকালের মেয়াদ থাকলেও রাজ্যবাসীর স্বার্থে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তা তিন মাস বাড়ানোর জন্য কেন্দ্রের কাছে আবেদন জানিয়েছিলেন। সম্প্রতি নরেন্দ্র মোদির সরকার তাতে সায়ও দিয়েছিল।

তৃণমূলের এমপি সৌগত রায় এ বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে বলেন, ‘ভোটে হারার পরে যত রকমভাবে নোংরামি করা যায় ওরা (বিজেপি এবং কেন্দ্রীয় সরকার) সেটাই করছে।’

এদিকে কলাইকুণ্ডায় মোদিকে প্রায় আধা ঘণ্টা অপেক্ষা করিয়ে রাখার অভিযোগ উঠেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে। ঘটনাচক্রে, এর পরই আলাপনের বদলির নির্দেশ দেয় কেন্দ্র। এ নিয়ে কেন্দ্রীর সরকারের বিরুদ্ধে প্রতিহিংসার রাজনীতির অভিযোগ তুলেছে তৃণমূল।

শুক্রবার রাতে মোদির নাম না করে টুইটারে তাকে একহাত নেন তৃণমূল নেত্রী মহুয়া মৈত্র। তিনি বলেন, ‘৩০ মিনিট অপেক্ষার করানোর অভিযোগ নিয়ে এত হইচই? ভারতীয়রা ১৫ লাখ করে রুপি পাওয়ার জন্য ৭ বছর ধরে অপেক্ষা করছেন। এটিএমে ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করেন। টিকা পাওয়ার জন্য মাসের পর মাস ধরে অপেক্ষায়। কখনও কখনও আপনিও কিছুক্ষণ অপেক্ষা করুন।’

শুধু তৃণমূলই নয়, আলাপনের বদলি নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন বাম নেতা দীপঙ্কর। টুইটারে তিনি লিখেছেন, ‘মোদি সরকার আক্রমণাত্মক সাম্রাজ্যবাদী শক্তির মতো আচরণ করছে। ঘূর্ণিঝড় বিধ্বস্ত একটি রাজ্যের মুখ্যসচিবকে দিল্লিতে টেনে নেওয়াটা দেশের যুক্তরাষ্ট্রীয় ব্যবস্থার ইতিহাসে অত্যন্ত নিম্ন রুচির। পুরোটাই বাংলার মানুষকে শাস্তির দেওয়ার জন্য, যেখানকার মানুষজন মো-শা (নরেন্দ্র মোদি-অমিত শাহ)-এর বাংলা দখলকে রুখে দিয়েছে।’

নবান্ন সূত্রের খবর, মুখ্যসচিবের বদলির নির্দেশ ঘিরে কেন্দ্রের সঙ্গে সঙ্ঘাতের পথে হাঁটতে পারে রাজ্য সরকার। বিজেপি নেতা সায়ন্তন বসু এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘এই বিষয়টির সঙ্গে আমরা যুক্ত নয়। এটা রাজনীতির বিষয়ই নয়। পুরোপুরি প্রশাসনিক বিষয়। এর সঙ্গে কেন্দ্রীয় সরকার এবং রাজ্য সরকার জড়িত।’ তবে সায়ন্তনের যুক্তি, আইএএস কর্মকর্তারা আদতে কেন্দ্রীয় সরকারের অধীনেই কাজ করেন। সূত্র: আনন্দবাজার।


   আরও সংবাদ