ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১০ সেপ্টেম্বর, ২০২১ ১৪:১৯ অপরাহ্ন | দেখা হয়েছে ৬১৬ বার
আন্তর্জাতিক ডেস্ক: মিয়ানমারে সামরিক অভ্যুত্থানের চার মাস পার হওয়ার পরও থামছে না জান্তা-বিরোধী বিক্ষোভ। গতকাল মঙ্গলবারও দেশের বিভিন্ন স্থানে রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ করেছে গণতন্ত্রপন্থিরা। সীমান্ত এলাকাগুলোতে জান্তা বিরোধী মিলিশিয়াদের সঙ্গে সেনাবাহিনীর সংঘর্ষের মধ্যেই গতকাল বিভিন্ন জেলার রাস্তায় নেমে আসে বিক্ষোভকারীরা। সামরিক অভ্যুত্থানে নেত্রী অং সান সু চিসহ তার দলীয় নেতারা গ্রেপ্তার হওয়াকে কেন্দ্র করে মিয়ানমারজুড়ে বিক্ষোভ-ধর্মঘট শুরুর পর নিরাপত্তা বাহিনী তা কঠোরভাবে দমনের পদক্ষেপ নিয়েছে। পুলিশের গুলিতে নিহত হয়েছে বহু বিক্ষোভকারী, চালানো হয়েছে ব্যাপক ধরপাকড়। কিন্তু এমন বর্বর দমনাভিযানের পর এখনও সামগ্রিক পরিস্থিতি সামাল দিতে হিমশিম খাচ্ছে মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী।
সোশ্যাল মিডিয়ায় ইরাবতী পত্রিকার পোস্ট করা ছবিতে দেখা গেছে, মিয়ানমারের দক্ষিণাঞ্চলীয় লাউং লোন শহরে পদযাত্রা করছে জান্তাবিরোধী বিক্ষোভকারীরা। আরেক নিউজ পোর্টাল মিয়ানমার নাউ-এর পোস্ট করা ছবিতে ইয়াঙ্গুনের কামায়ুত জেলায় একদল তরুণকে বিক্ষোভ করতে দেখা গেছে। এক বিক্ষোভকারীর হাতে থাকা ব্যানারে লেখা ছিল, ‘আন্দোলন শেষ হয়ে যায়নি। আমাদের পালা এখনও বাকি।’
সেনা অভ্যুত্থানের পর থেকে চলমান এই বিক্ষোভের মধ্যেই সীমান্তবর্তী অঞ্চলগুলোতে জাতিগত সংখ্যালঘুদের সঙ্গে সেনাবাহিনীর কয়েক দশকের পুরনো সংঘাতও মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে।
মিয়ানমারে জান্তাবিরোধীদের গড়ে তোলা জাতীয় ঐক্য সরকাকে সমর্থন দিচ্ছে এসব জাতিগত সংখ্যালঘু গোষ্ঠীর মিলিশিয়ারা। সেনাবাহিনীর ওপর জোর হামলা শুরু করেছে তারা। সেনাবাহিনীও ভারি অস্ত্রের পাল্টা হামলা চালাচ্ছে, বিমান হামলা করছে। এ হামলা থেকে বাঁচতে ঘরবাড়ি ছেড়ে পালাতে বাধ্য হয়েছে হাজার হাজার মানুষ। সমপ্রতি কয়েক সপ্তাহে কায়াহ রাজ্যে তুমুল লড়াইয়ের কারণে জাতিসংঘের হিসাবে প্রায় ৩৭ হাজার মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে। অনেকেই পালিয়ে চলে গেছে জঙ্গলে। তারা খাবার এবং ওষুধ সঙ্কটে আছে।