নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১০ সেপ্টেম্বর, ২০২১ ১৪:১৯ অপরাহ্ন | দেখা হয়েছে ৭৩৮ বার
হাফিজ ইসলাম: আধুনিক বিশ্ব যত এগিয়ে চলছে, মানুষের জীবন ততই জটিল আকার ধারণ করছে। প্রতিযোগিতামূলক পৃথিবীতে তাল মিলিয়ে চলতে না পেরে অনেকেই বেছে নিচ্ছে কাপুরুষিত আত্মহত্যার পথ। প্রতিবছর দেশে ১০ হাজারের বেশি মানুষ আত্মহত্যা করছে; যার ঢেউ লেগেছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়েও। বিগত ৩ বছরে বিশ্ববিদ্যালয়টি হারিয়েছে ১০জন মেধাবী নক্ষত্র। প্রাথমিক অবস্থায় থাকা এই মহামারি নির্মূল করার জন্য ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের ভাবনা ও প্রস্তাবনা তুলে ধরেছেন আখতার হোসেন আজাদ।
নিজেকে ভালবাসতে শিখতে হবে
হতাশা ও আত্মহত্যার বিষয়টি মনস্তাত্ত্বিক। ইনফেরিওরিটি কমপ্লেক্স থেকেই মানুষের মধ্যে হতাশার জন্ম নেয়। ইনফেরিওরিটি কমপ্লেক্স বা হীনমন্যতা হলো এক ধরনের অনুভূতি যা আক্রান্ত ব্যক্তিকে মনে করিয়ে দেয় যে উনি অন্যদের তুলনায় কিছু ব্যাপারে নিচু বা নিকৃষ্ট। সন্তানের প্রতি বাবা-মা'র সব সময়ই নেতিবাচক মনোভাব, সামাজিক অসুবিধা ও বৈষম্য ইত্যাদি কারণে এই হীনমন্যতা তৈরি হতে পারে।
একজন মানুষ যখন মনে করেন সমাজ থেকে উনি বিচ্ছিন্ন এবং এই ভেবে একাকীত্ব জীবন যাপন শুরু করেন তখন উনাকে হতাশা গ্রাস করে। আর এই হতাশা থেকেই মুক্তি পাওয়ার জন্য তিনি আত্মহত্যার পথ বেছে নেন। তবে কয়েকটি বিষয় মেনে চললেই এই আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত থেকে নিজেকে বিরত রাখা সম্ভব বলে মনে হয়। প্রথমত, আত্মপ্রেমিক হওয়া অর্থাৎ নিজেকে ভালবাসা।
দ্বিতীয়ত, কোনো কোনো ক্ষেত্রে নিজেকে অন্যদের থেকে অধিক সক্ষম মনে করা অর্থাৎ কোন একটি বিশেষ কাজ আপনি অন্যদের থেকে অধিক সুন্দরভাবে সম্পন্ন করতে পারেন এমনটি ভাবা। সর্বোপরি যতসম্ভব পারা যায় নিজেকে বিভিন্ন সামাজিক সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে অন্তর্ভুক্ত রাখা। কারণ এমন কর্মকান্ডের স্বীকৃতি ও প্রশংসা নিজেকে মূল্যবান করে তোলে।