ঢাকা, বুধবার, ২৩ অক্টোবর ২০২৪,
সরকার অনুমোদিত নিবন্ধন নম্বর ১৯১
Reg:C-125478/2015

মাহমুদউল্লাহ দেখালেন কী মিস করছিল বাংলাদেশ

ডেস্ক রিপোর্ট


প্রকাশ: ১০ সেপ্টেম্বর, ২০২১ ১৪:১৯ অপরাহ্ন | দেখা হয়েছে ৭১৩ বার


মাহমুদউল্লাহ দেখালেন কী মিস করছিল বাংলাদেশ

ক্রীড়া ডেস্ক: গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে পাকিস্তানের বিপক্ষে টেস্টে হতাশাজনক পারফরম্যান্সের পর গুঞ্জন ওঠে, টেস্ট থেকে বাদ পড়ছেন মাহমুদউল্লাহ। সেই গুঞ্জন সত্যিও হয় জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ঠিক তার পরের একমাত্র টেস্টে বাদ পড়ে। এরপর ওয়েস্ট ইন্ডিজ, নিউজিল্যান্ড ও শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে লাল বলে উপেক্ষিত ছিলেন মাহমুদউল্লাহ। দীর্ঘ ১৬ মাস পর টেস্ট খেলতে নেমে বুঝিয়ে দিলেন, তিনি ফুরিয়ে যাননি। হারারেতে দুর্দান্ত এক সেঞ্চুরিতে সমালোচকদের দাত ভাঙা জবাব দিয়েছেন এই অলরাউন্ডার।

অফ স্পিনার রয় কাইয়ার পরপর দুই বলে বাউন্ডারি মেরে সেঞ্চুরির মাইলফলকে পৌঁছান মাহমুদউল্লাহ। ১৯৫ বলে ১১ চার ও ১ ছক্কায় মাহমুদউল্লাহ তিন অঙ্কের ম্যাজিক ফিগারে পৌঁছান। ক্যারিয়ারের পঞ্চম সেঞ্চুরি ছুঁয়ে বাধভাঙা উচ্ছ্বাসে মাতলেন মাহমুদউল্লাহ। উদযাপন যেন তার থামেই না। প্রথমে দুই হাত উঁচিয়ে ধরলেন, এরপর তাসকিন আহমেদেকে জড়িয়ে ধরে আনন্দ উদযাপন। এখানেই শেষ নয়, আকাশে আঙুল উঁচিয়ে কী যেন দেখালেন, এরপর ক্রিজে চুমু খেলেন। এমন আনন্দ করার কারণও আছে, যে ফরম্যাটে তিনি বাতিলের খাতায় পড়ে গিয়েছিলেন, সেখানে ফিরেই সেঞ্চুরি। এমন উদযাপন তো তাকেই মানায়!

বুধবার টপ অর্ডারের ব্যর্থতায় কক্ষপথ থেকে ছিটকে যাওয়া দলকে ম্যাচে ফেরাতে বড় ভূমিকা ছিল মাহমুদউল্লাহর। লিটন দাসের সঙ্গে ১৩৮ রানের জুটি গড়ে দলকে শক্ত অবস্থানে পৌঁছে দিয়েছেন এই অভিজ্ঞ ক্রিকেটার। বৃহস্পতিবার ম্যাচের দ্বিতীয় দিনে তাসকিনের সঙ্গে শতরানের জুটিতে বুঝিয়ে দিয়েছেন তিনি টেস্ট খেলতে জানেন। ঠান্ডা মাথায় মাহমুদউল্লাহ আগের দিন ৫৪ রান করে অপরাজিত ছিলেন। দ্বিতীয় দিনও একই ধারায় খেলে সেঞ্চুরি তুলে নেন। এ নিয়ে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে দ্বিতীয় সেঞ্চুরি পেলেন মাহমুদউল্লাহ।

গত বছর জিম্বাবুয়ে সিরিজে বাদ পড়ার পর মাহমুদউল্লাহকে নিয়ে প্রধান কোচ রাসেল ডমিঙ্গো বলেছিলেন, ‘তাকে দল থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে এবং টেস্ট দলে ফেরার লড়াইয়ের চেষ্টা করার সিদ্ধান্ত তারই। আমি যা দেখেছি, মহামারীর এই সময়ে সে কঠোর পরিশ্রম করেছে, ৫-৬ কেজি ওজন ঝরিয়েছে। খুব ভালো ট্রেনিং করছে, খুব ভালো ব্যাটিং করছে। দলে ফিরতে আরও কঠোর পরিশ্রম করতে হবে, যা সে করছেও। কোনও ক্রিকেটারকে কখনোই বাতিলের খাতায় ফেলে দেওয়া যায় না।’

অবশেষে মাহমুদউল্লাহ ফিরেছেন। হারারেতে ভাগ্যদেবী তার সঙ্গে ছিলেন। কেননা এই টেস্টটি তার খেলার কথাই ছিল না। আসলে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টেস্ট দলেই ছিলেন না তিনি! পরে তামিম-মুশফিকের ইনজুরির কারণে তাদের ব্যাকআপ হিসেবে দলে যুক্ত করা হয়। তামিম না খেলায় শেষ পর্যন্ত সুযোগ হয়েছে মাহমুদউল্লাহর। আর সেই সুযোগটা দারুণভাবে কাজে লাগালেন তিনি।

দ্বিতীয় দিনের লাঞ্চ বিরতিতে যাওয়া আগে মাহমুদউল্লাহ-তাসকিন মিলে দলের স্কোর গেছেন ৪০০-তে। দুজন মিলে শতরানের রানের জুটি গড়েছেন। মাহমুদউল্লাহর সেঞ্চুরির দিনে তাসকিন পেয়েছেন ক্যারিয়ারের প্রথম হাফসেঞ্চুরি। লাঞ্চের আগে বাংলাদেশের স্কোর ছিল ১০৭ ওভারে ৮ উইকেটে ৪০৪ রান। মাহমুদউল্লাহ ১১২* রানে ও তাসকিন ৫২* রানে অপরাজিত ছিলেন।


   আরও সংবাদ