নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১০ সেপ্টেম্বর, ২০২১ ১৪:১৯ অপরাহ্ন | দেখা হয়েছে ৬৭৫ বার
জয়পুরহাট জেলার পাঁচবিবিতে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়াই নিজ কর্ম এলাকার বাহিরে যাওয়া এবং সড়কে যানবাহন আটকিয়ে যাত্রিদের রাস্তায় নামিয়ে মাদক দিয়ে ফাঁসিয়ে মামলা দেওয়ার ভয় দেখিয়ে চাঁদাবাজি করার অভিযোগে জয়পুরহাটের কালাই থানার এক উপ-পরির্দশককে (এসআই) রাফিকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। এ ঘটনায় তাঁর এক সহযোগীকেও আটক করা হয়েছে। জয়পুরহাটের পুলিশ সুপার (এসপি) মাছুম আহাম্মদ ভূঞা রোববার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
সাময়িক বরখাস্ত হওয়া ওই এসআইয়ের নাম রাফি হাসান । আটক ব্যক্তি হলেন, মামুনুর রশিদ। তিনি জয়পুরহাট সদর উপজেলার আমদই ইউনাইটেড কলেজের অফিস সহকারী। এঘটনায় তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে বলে জানান, জেলা পুলিশ।
পাঁচবিবি থানা পুলিশ ও স্থানীয় আটাপুর ইউপি সদস্য আমিনুর ইসলাম আমু জানান, শনিবার সন্ধ্যায় কালাই থানার উপ-পরির্দশক (এসআই) রাফি হাসান সাদা পোশাকে ও তাঁর সহযোগীকে সঙ্গে নিয়ে পাঁচবিবি উপজেলার আটাপুর ইউনিয়নের মাজিনা নামক স্থানে যান। তিনি সেখানে তাঁর সহযোগী মামুনুর রশিদকে নিয়ে লোকজনের কাছ থেকে টাকা আদায় করছিলেন।
এসময় ওই সড়কে আসা একটি সিএনজি আটকে মোটা অংকের টাকা দাবি করেন। এতে স্থানীয় লোকজন ও ইউপি সদস্যের সন্দেহ হয়। তখন তাঁরা পাঁচবিবির থানার ওসিকে ঘটনাটি জানানোর পর এসআই রাফি হাসান ও তাঁর সহযোগী সেখান থেকে মোটরসাইকেল নিয়ে পালানোর চেষ্টা করেন। লোকজন ধাওয়া করে তাঁদের দুজনকে আটক করেন। এ সময়ে এসআই ইউপি সদস্যকেও মাদক মামলায় ফাঁসিয়ে দেওয়ার হুমকী দেন। পরে পাঁচবিবির সার্কেলের এএসপি ইশতিয়াক আলম ও পাঁচবিবি থানার ওসি পলাশ চন্দ্র দেব ঘটনাস্থল পৌঁছে তাঁদের দুই জনকে থানায় নিয়ে যান।
জয়পুরহাটের পুলিশ সুপার (এসপি) মাছুম আহাম্মদ ভূঞা রোববার দুপুরে সাংবাদিকদের বলেন, উর্ধ্বতন কতৃপক্ষের অনুমতি ছাড়াই নিজ কর্ম এলাকার বাহিরে আসা ও চাঁদাবাজির অভিযোগে কালাই থানার এসআই রাফি হাসানকে রাতেই প্রত্যাহার করে পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়েছে। এঘটনায় তাঁকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। ঘটনাটি তদন্তে একটি টিম করা হয়েছে। এসআই এর সহযোগীকেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।