নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১০ সেপ্টেম্বর, ২০২১ ১৪:১৯ অপরাহ্ন | দেখা হয়েছে ৬১৮ বার
ঝিনাইদহ প্রতিবেদক:-- ভাঙ্গা হয়েছে ঝিনাইদহ শৈলকুপার কামান্না ট্রাজেডির ২৭ বীরসেনাদের গণকবর। প্রকল্পের নাম দেওয়া হয়েছে কামান্না হাইস্কুল বধ্যভূমি সংরক্ষণ ও স্মৃতি স্তম্ভ নির্মান। যা নিয়ে ক্ষোভে ফুঁসছে শৈলকুপার বীরমুক্তিযোদ্ধাগণ। অবসরপ্রাপ্ত যুগ্ম সচিব বীরমুক্তিযোদ্ধা বিএম লুৎফর রহমান ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, “নাম পরিচিতি স্পষ্ট একটি গণকবর কখনোই বধ্যভূমি হতে পারেনা, তাছাড়াও যাঁদের স্মৃতি রক্ষায় স্তম্ভ নির্মান হচ্ছে তাদের কবরের চিহ্নই মুছে ফেলা খুব দুঃখজনক এবং রীতিমত অসম্মানের। তাঁর মতে নকসার মধ্যেই স্থায়ী কবরের সীমানা নির্দিষ্ট করার প্রয়োজন ছিল অথবা কবর আলাদা রেখে কমপ্লেক্স নির্মান করলে ভাল হতো।
এখন যা হলো ভবিষ্যত প্রজন্ম এর ইতিহাস বিকৃত করতে পারে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কানিজ ফাতেমা লিজা বলেন, এ ব্যাপারে তিনি কিছুই জানেন না। তবে অভিযোগ ওঠায় আবাইপুর গণকবরটির প্রাচীর ভেঙ্গে ফেলার পর সেখানে নির্মাণ কাজ সাময়িক বন্ধ রাখা হয়েছে। গণকবর দুটির মধ্যে আবাইপুরে থাকা বহুপূরনো বড় বড় মেহগনি, নারিকেল গাছ ও কামান্না’র আম গাছ টেন্ডার ছাড়াই কর্তন হয়েছে কিনা এ বিষয়ে মন্তব্য করতে নারাজ গণপূর্ত বিভাগ কর্তৃপক্ষ। ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান থেকে জানা গেছে, স্থান ও ডিজাইন বুঝে দেওয়ার পর কাজ শুরু হয়েছে, কবরের স্মৃতিচিহ্ন রাখার বিষয়ে কোন কিছুই আদেশ নিষেধ করা হয়নি বলেই কবর ভেঙ্গে উপরিভাগসহ জায়াগা নিয়ে গণপূর্তের আদেশে কাজ চলমান রয়েছে।
প্রতিটি ৭১ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মিত স্মৃতি স্তম্ভের কাজ কামান্না প্রায় শেষ আবাইপুর শুরু হতে যাচ্ছে। ঢাকার এসএ কর্পোরেশন ও কুষ্টিয়ার গ্যালাক্সি এসোসিয়েট নামে দুটি ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান এ কাজ পেয়েছে। সাবেক কমান্ডার বীরমুক্তিযোদ্ধা রহমত আলী মন্টু জানান, প্রতি বছর শহীদদের স্মরনে সেখানে দোয়া ও মিলাদ মাহফিল হয়ে থাকে এছাড়াও অনেক পথচারী কবর জিয়ারত করে থাকে। এখন কবরের চিহ্ন না থাকায় স্বাভাবিকভাবে পথচারীরা বীরমুক্তিযোদ্ধাদের কবর জিয়ারত করবে বলে মনে হয়না, তাঁর মতে গণ কবরের নির্দিষ্ট স্থান ফাঁকা রেখে নতুন স্থাপনা তৈরির প্রয়োজন ছিল।