বিনোদন ডেস্ক
প্রকাশ: ১০ সেপ্টেম্বর, ২০২১ ১৪:১৯ অপরাহ্ন | দেখা হয়েছে ৮০৯ বার
গাজীপুরের শ্রীপুরে দুবাই প্রবাসীর আড়াই বছরের এক কন্যা শিশুকে যৌন নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে সৎ-মায়ের বিরুদ্ধে। শিশুটিকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করা হয়েছে হাসপাতালে।
এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার রাতে সৎ মায়ের বিরুদ্ধে শিশুর দাদা শ্রীপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন।
শিশুর দাদা জানান, ৮ বছর আগে সাবিনা ইয়াছমিন নামে একজনকে বিয়ে করেন মোস্তফা ফকির। আড়াই বছর পর তাদের সংসারে জন্ম নেয় এক কন্যাশিশু।
মোস্তফা ফকিরের সঙ্গে দুবাইতে পরিচয় হয় আলিফা আক্তার রিপা নামের এক নারীর। তারা জড়িয়ে পড়েন পরকীয়ায়। রিপার চাপে সাবিনাকে ডিভোর্স দেয় মোস্তফা। শিশুটির চার মাস বয়সেই তার মা সাবিনার সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদ ঘটে তার বাবার। পরে রিপাকে বিয়ে করেন মোস্তফা।
আড়াই বছরের শিশুকে দ্বিতীয় স্ত্রীর কাছে রেখে ফের দুবাই চলে যান মোস্তফা। প্রবাসকালীন জীবনে মোস্তফা তার অর্জিত আয়ে গাজীপুরের শ্রীপুর পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের বেড়াইদেরচালা এলাকায় ১৪ শতাংশ জমি কিনে পাঁচতলা ফ্ল্যাট বাড়ি নির্মাণ করেন।
দ্বিতীয় বিয়ের পর আলিফা আক্তার রিপার কোনো সন্তান হবে না বলে চিকিৎসক জানানোর পর ভিন্ন ফন্দি আঁকেন মোস্তফার দ্বিতীয় স্ত্রী আলিফা আক্তার রিপা। সেই বাড়িটি লিখে নিতে মোস্তফাকে নানা ধরনের চাপ প্রয়োগ করেন।
পরে বাড়িটি লিখে নিতে মোস্তফার একমাত্র উত্তরাধিকার এই শিশুটির ওপর নানাভাবে নির্যাতন শুরু করেন বলে অভিযোগ করেন তার দাদা আফাজ উদ্দিন। তিনি গত ১১ আগস্ট বুধবার তার শিশু নাতিকে দেখতে এসে তাকে গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় দেখতে পান।
পরে তাকে উদ্ধার করে প্রথমে শ্রীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও পরে চিকিৎসকদের পরামর্শ মতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেছেন।
অভিযুক্ত আলিফা আক্তার রিপা মাগুরা জেলার সদর উপজেলার ধনপাড়া গ্রামের রজব আলী বিশ্বাসের মেয়ে। তিনিও একসময় দুবাইপ্রবাসী ছিলেন। মোস্তফা কামাল ময়মনসিংহ জেলার বাসিন্দা। তিনি ১৩ বছর ধরে দুবাইপ্রবাসী।
শিশুর দাদা বলেন, গত বুধবার নাতনিতে দেখতে পাই খুব অসুস্থ। পরে হাসপাতালে নিয়ে গেলে তার পায়ুপথ ও যৌনাঙ্গে গভীর ক্ষত দেখতে পায় চিকিৎসকরা।
অভিযুক্ত আলিফা আক্তার রিপা বলেন, শিশুটি ভাতের মাড়ের ওপর পড়ে, আবার পা পিছলে পড়ে পায়ুপথ ও যৌনাঙ্গে এমন ক্ষত তৈরি হয়েছে। তবে পায়ুপথ ছেঁড়ার বিষয়ে তিনি বলেন, পা পিছলে পড়ে এমন হতে পারে।
বাড়িতে কেয়ারটেকার মোস্তফার মামা মন্নাছ শেখ জানান, সবসময় বাড়িতে থাকলেও শিশুটির বিষয়ে তাদের কোনো তথ্য জানানো হয়নি। আগুনে পুড়লে খোঁজ পেতাম। বাড়িতে ভাড়াটিয়া রয়েছে তারা খোঁজ পেতেন অথচ কেউই জানেন না। এমন একটি ঘটনা কাউকে কিছু বুঝতে দেননি অভিযুক্ত। শিশুটির পায়ুপথ ছেঁড়া ছিল ও যৌনাঙ্গে ক্ষতচিহ্ন। আমাদের ধারণা শিশুটি যৌন হয়রানির শিকার হয়েছে। দ্রুত শিশুটিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়।
শ্রীপুর থানার ওসি খোন্দকার ইমাম হোসেন জানান, এরইমধ্যে তদন্ত করা হচ্ছে। এ ঘটনায় দোষীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।