ঢাকা, বুধবার, ২৩ অক্টোবর ২০২৪,
সরকার অনুমোদিত নিবন্ধন নম্বর ১৯১
Reg:C-125478/2015

কে এই মোল্লাহ আব্দুল গনি বারাদার?

বিনোদন ডেস্ক


প্রকাশ: ১০ সেপ্টেম্বর, ২০২১ ১৪:১৯ অপরাহ্ন | দেখা হয়েছে ৮২২ বার


কে এই মোল্লাহ আব্দুল গনি বারাদার?

তালেবানের হাতে কাবুলের পতন হওয়ার পর থেকেই পরবর্তী সরকার গঠন এবং এর নেতৃত্ব নিয়ে আলোচনা শুরু হয়। আলোচনায় আসেন মোল্লাহ আব্দুল গনি বারাদার। উরুযগান প্রদেশের উইটমাক গ্রামে এই তালেবান নেতার। তবে বেড়ে উঠেছেন আফগানিস্তানের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর কান্দাহারে। সেখানেই একটি মাদ্রাসায় পড়াশোনা করেছেন।

জাতিগত পশতুন বারাদার ১৯৭০ ও ৮০-র দশকে আফগানিস্তান থেকে সোভিয়েত সেনাদের তাড়াতে ১০ বছর যুদ্ধ করেছেন। আফগান গৃহযুদ্ধ চলার সময় মোল্লাহ মোহাম্মদ ওমরের নেতৃত্বে ১৯৯৪ সালে যে কয়েকজন পশতুন মুজাহিদীন তালেবান প্রতিষ্ঠা করেন, মোল্লাহ বারাদার ছিলেন তাদের অন্যতম।

বারাদারকে বলা হতো মোল্লাহ ওমরের ‘ডান হাত’। জানা যায়, তাদের মধ্যে আত্মীয়তার সম্পর্কও ছিল। মোল্লাহ ওমরের বোনকে বিয়ে করেন বারাদার। ১৯৯৬ সালে যখন তালেবান কাবুল দখল করে, তখন সেই সরকারে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে ছিলেন মোল্লাহ বারাদার। ২০০১ সালে যুক্তরাষ্ট্রের টুইন টাওয়ার হামলার পর মার্কিন আগ্রাসনে তালেবান ক্ষমতা হারানোর আগে তিনি ছিলেন সরকারের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী। পরে অন্য অনেক তালেবান নেতার সঙ্গে তিনিও পালিয়ে যান পাকিস্তানে। যুক্তরাষ্ট্র তালেবানের যে তালিকা তৈরি করেছিল, সেই তালিকায় মোল্লাহ বারাদারের নাম ছিল ওপরের দিকে।

২০১০ সালে করাচিতে পাকিস্তানের পুলিশ মোল্লাহ বারাদারকে আটক করে। সে সময় লোহার চেন দিয়ে হাত বেঁধে নিয়ে যাওয়া হচ্ছেÑ এমন ছবি পত্রিকায় প্রকাশিত হয়। পাকিস্তান ও যুক্তরাষ্ট্রসহ বিশে^র অনেক মিডিয়ায় তখন বিশ্লেষকরা লিখেছিলেন, আমেরিকার সঙ্গে সম্পর্ক ভালো করার আশায় মোল্লাহ বারাদারকে ধরেছে পাকিস্তান। কারণ, পাকিস্তানের সামরিক গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই তালেবান এবং আল-কায়েদাকে আশ্রয় দিচ্ছে এই অভিযোগে পাকিস্তানের ওপর প্রচণ্ড চাপ তৈরি করেছিল যুক্তরাষ্ট্র। তবে আটক করলেও যুক্তরাষ্ট্রের হাতে তুলে দেয়নি পাকিস্তান। সন্ত্রাসের মামলায় আট বছর পাকিস্তানের কারাগারে ছিলেন মোল্লাহ বারাদার। ২০১৮ সালের অক্টোবরে তাকে মুক্তি দেওয়া হয়। তখন এমন খবর বেরিয়েছিল, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তার মুক্তি চেয়েছিলেন, কারণ যুক্তরাষ্ট্র আফগানিস্তানে যুদ্ধ শেষ করার জন্য তালেবানের সঙ্গে মীমাংসায় বসার সিদ্ধান্ত নেয় এবং সেই লক্ষ্যে ওই সংগঠনের একজন প্রভাবশালী নেতার খোঁজ করছিলেন।


   আরও সংবাদ