ঢাকা, শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪,
সরকার অনুমোদিত নিবন্ধন নম্বর ১৯১
Reg:C-125478/2015

নারী ফুটবলারদের শরীর নিয়ে কুরুচিকর মন্তব্য করে বিতর্কে রাষ্ট্রপতি

বিনোদন ডেস্ক


প্রকাশ: ১০ সেপ্টেম্বর, ২০২১ ১৪:১৯ অপরাহ্ন | দেখা হয়েছে ১০০১ বার


নারী ফুটবলারদের শরীর নিয়ে কুরুচিকর মন্তব্য করে বিতর্কে রাষ্ট্রপতি

মার্চ মাসে তানজানিয়ার দায়িত্ব নেন নারী রাষ্ট্রপতি সামিয়া সুলুহু হাসান। দেশের নারী ফুটবলারদের নিয়ে তার করা একটি মন্তব্য এখন বিশ্বজুড়ে সমালোচিত হচ্ছে।

সম্প্রতি আঞ্চলিক ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপে দুরন্ত জয় পেয়েছে তানিজানিয়ার পুরুষ ফুটবল দল। উপকূলীয় শহর দার এস সালামের স্টেট হাউসে তাদের সংবর্ধনা মঞ্চেই হাসান বলেন, যে মহিলা ফুটবলারদের বুকের গঠন অনুন্নত, তাদের দেখে মেয়ে নয়, ছেলে বলেই কিন্তু মনে হয়।

ওদের মুখের দিকে তাকালে বিয়ে করার আগে ভাবতে হবে। কারণ কোনও মেয়েকে বিয়ের জন্য পছন্দ তখনই হয় যখন সে আকর্ষণীয় হয়। মেয়েদের গুণ অন্তত তাদের থাকা উচিত।

এরপরেই নারী ফুটবলারদের ইঙ্গিত করে হাসান বলেন, ওদের সেই গুণগুলি উধাও হয়ে গিয়েছে।' ৬১ বছর বয়সী সামিয়া সুলুহু হাসান তানজানিয়ার প্রথম নারী রাষ্ট্রপ্রধান। তিনি সম্প্রতি বলেছিলেন যে কিছু লোক তার লিঙ্গের কারণে রাষ্ট্রপতি হওয়া উচিত কিনা তা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছিল।

সামিয়া বলেন, এমনকি আমার কিছু সরকারী কর্মী আমাকে প্রথমে সামান্য একজন নারী হিসেবে বরখাস্ত করেছিল, কিন্তু পরে তারা আমার নেতৃত্ব গ্রহণ করেছিল।

দেশের রাষ্ট্রপ্রধানের পদে বসে সামিয়া কী করে মেয়েদের নিয়ে অপমানজনক মন্তব্য করে বসলেন তা নিন্দিত হয়েছে গোটা বিশ্বে। বিরোধী পার্টির নারী শাখার প্রধান এবং প্রাক্তন সাংসদ ক্যাথরিন রুগ বলেন, নারী ফুটবলারদের উদ্দেশে প্রেসিডেন্ট সামিয়ার মন্তব্য যথেষ্ট অপমানজনক।

মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে কাজ করা তানজানিয়ার গবেষক সাজোকাম প্রেসিডেন্টের মন্তব্য শুনে মর্মাহত হয়েছেন। অনেকেই প্রশ্ন তুলেছেন তাহলে আফ্রিকান নারীদের অধিকার কোথায়?

প্রেসিডেন্টের উচিত দেশের মেয়েদের উৎসাহিত করা, তা না করে কী করে তিনি তাদের শারীরিক গঠন নিয়ে মন্তব্য করেন ? আবার কেউ বলছেন প্রেসিডেন্টের কথা অনুযায়ী বিয়ে ছাড়া কি জীবন অর্থহীন? বিবিসি প্রতিক্রিয়া জানার জন্য তানজানিয়ার ফুটবল কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করেছে।

প্রেসিডেন্ট সামিয়া আত্মপক্ষ সমর্থন করে বলেছিলেন, যে মহিলা ফুটবলাররা ট্রফি জিতে পূর্ব আফ্রিকার মত দেশকে গর্বিত করেছিল, তখন কারুর কারুর চেহারা দেখে পুরুষরা বিয়ে করতে চায়নি । যদি আমরা তাদের এখানে নিয়ে আসি এবং তাদের সারিবদ্ধ করে দাঁড় করাই ,তাহলে বোঝাই যাবে না তারা পুরুষ না নারী । তাই এই সমস্ত মহিলা খেলোয়াড়দের বিয়ের আসরে যাওয়া স্বপ্ন ছাড়া আর কিছুই নয়।

প্রেসিডেন্টের মতে খেলা ছাড়ার পর ক্রীড়া ব্যাক্তিত্বদের জীবন একেবারে অন্যরকম হয়ে যায়। দেশের ক্রীড়াদফতরের উচিত তাদের দিকে লক্ষ্য রাখা। বিশেষ করে ফুটবল ছাড়ার পর মেয়েদের পায়ের নানারকম সমস্যা দেখা দিতে পারে। রাষ্ট্রপতি সামিয়া মার্চ মাসে রাষ্ট্রপতি হন ,তিনি জন মাগুফুলির স্থলাভিষিক্ত হয়েছিলেন। কারণ জন হার্টের অসুখে মারা যান। অন্তঃসত্ত্বা এবং মায়েদের স্কুলে যাওয়া নিষিদ্ধ করার জন্য তিনি ব্যাপকভাবে সমালোচিত হন।
সূত্র: বিবিসি


   আরও সংবাদ