বিনোদন ডেস্ক
প্রকাশ: ১০ সেপ্টেম্বর, ২০২১ ১৪:১৯ অপরাহ্ন | দেখা হয়েছে ৮৫৬ বার
বেশি বেশি মাছ চাষ করি-বেকারত্ব দূর করি” এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে ২৮ আগস্ট হতে ৩ সেপ্টেম্বর ২০২১ জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ উদযাপন উপলক্ষে সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তার উদ্যোগে সাংবাদিকদের সাথে মত বিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ শনিবার (২৮ আগস্ট) জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তার কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় করেন সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. নূর নবী।
এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা মৎস্য সম্প্রসারণ কর্মকর্তা আইনুদ্দিন হক, ক্ষেত্র সহকারি সাজেদুর রহমান ও নিয়ামুল হক, ধীরেন প্রমুখ।
মৎস্য কর্মকর্তা জানান, মৎস্য চাষের জন্য বাংলাদেশ ১টি স্বয়ংসম্পূর্ণ দেশ। আমাদের উপজেলায় ১০৫২.৪০ হেক্টর আয়তনে মোট ৩৮৪০ টি পুকুর রয়েছে। পুকুর গুলোতে বছরে ৫৪৭৩.৬০ টন মাছ উৎপাদন হয়। স্থানীয় উপজেলার চাহিদা মিটিয়ে বাহিরে মাছ রপ্তানি করার দিক থেকে জয়পুরহাট জেলার গুরুত্বপূর্ণ স্থানে রয়েছে। এবারের জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ পালন উপলক্ষে বিভিন্ন কর্মসূচী হাতে নেওয়া হয়েছে।
কর্মসূচীগুলোর মধ্যে রয়েছে, উপজেলা পরিষদ চত্তর পুকুরে পোনামাছ অবমুক্তকরণ, মৎস্য সেক্টরে বর্তমান সরকারের অগ্রগতি ও সাফল্য বিষয়ে নির্মিত প্রামাণ্য চিত্র প্রদর্শন। প্রান্তিক পর্যায়ের মৎস্য চাষী ও মৎস্যজীবিদের সাথে স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণপূর্বক মতবিনিময় সভা, উপজেলার গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় মৎস্য চাষীদেরকে মাছ চাষ বিষয়ে বিশেষ পরামর্শ সেবা প্রদান, পুকুরের পানি ও মাটি পরীক্ষা, প্রান্তিক কৃষকদের প্রশিক্ষণ, বিভিন্ন উপকরণ বিতরণ, ভিডিও কনফারেন্সিং এর মাধ্যমে জেলা পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সাথে মতবিনিময় ও মৎস্য সপ্তাহের সমাপনী কর্মসূচীগুলো উল্লেখযোগ্য।
এছাড়াও এই উপজেলাতে মৎস্য চাষীদের নিয়ে অনলাইন বেজে গ্রুপ তৈরী করা হয়েছে, এভাবেই মৎস্য চাষীদের বিভিন্ন সমস্যা আন্তঃ সমন্বয়ের মাধ্যমে সমাধান করে দেওয়া হচ্ছে। আগামীতে বাহিরের জেলার বড় মাছ চাষীদের সাথে লিংক করে দেওয়া হবে।
এছাড়াও অনলাইনে মাছ চাষীদেরকে নিয়মিত পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। উপজেলায় মানসম্মত মাছের পোনা উৎপাদনের জন্য হেচারীগুলোকে সহযোগীতা ও মনিটরিং করানো হবে।
সবচেয়ে বেশী গুরুত্ব দেওয়া হবে দেশী প্রজাতির মাছ সংরক্ষণকে। মাছ চাষকে অধিক লাভজনক করার জন্য উপজেলার ৩৮৪০টি পুকুরেই ইয়ারেটর স্থাপনের লক্ষ্য রয়েছে। ইতিমধ্যে ৬০টি বড় বড় পুকুরে ইয়ারেটর স্থাপন করা হয়েছে। গত বছর ৩৮৫জন মৎস্য চাষীকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে, বাঁকী চাষীদেরকেও মাছ চাষের আওতায় নিয়ে আসা হবে।