বিনোদন ডেস্ক
প্রকাশ: ১০ সেপ্টেম্বর, ২০২১ ১৪:১৯ অপরাহ্ন | দেখা হয়েছে ৯২০ বার
আফগানিস্তানের কাবুল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাছে এক ‘আত্মঘাতী বোমা হামলাকারী’ কে উদ্দেশ্য করে রোববার সন্ধ্যায় মার্কিসন সেনারা হামলা চালিয়েছে জানিয়েছে পেন্টাগন ও তালেবান।
রাশিয়ার সংবাদমাধ্যম আরটি নিউজের খবরে বলা হয়েছে, পেন্টাগন ও তালেবানের পক্ষ থেকে দাবি করা হচ্ছে, ‘আত্মঘাতী বোমা হামলাকারী’ গাড়িতে বিপুল পরিমাণ বিস্ফোরক নিয়ে বিমানবন্দরের দিকে যাচ্ছিলেন।
তালেবান মুখপাত্র জানিবুল্লাহ মুজাহিদ রোববার সন্ধ্যার ঘটনার বিস্তারিত জানান।
তিনি বলেন, ‘বিমানবন্দরের দিকে যাওয়া একটি গাড়িকে লক্ষ্য করে হামলা করা হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, আত্মঘাতী হামলাকারী বিমানবন্দরের দিকেই যাচ্ছিলেন।’
পরে মার্কিন কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা রয়টার্সে খবর আসে, মার্কিন সেনারা ইসলামিক স্টেট খোরাসান (আইএস-কে) জঙ্গিদের উদ্দেশ্য করে এই হামলা করেছে।
গত বৃহস্পতিবার কাবুল বিমানবন্দরের কাছে দুটি আত্মঘাতী বোমা হামলার দায় স্বীকার করেছে আইএস-কে। ওই ঘটনায় ১৭৫ জনের প্রাণহানি হয়েছে।
অন্যদিকে মার্কিন সেনাদের কেন্দ্রীয় কমান্ডের মুখপাত্র ক্যাপ্টেন বিল আরবান বলেন, ‘মারাত্মক এক হামলার ঝুঁকি থেকে আত্মরক্ষার জন্যই এই হামলা চালানো হয়েছে। ওই গাড়িতে বিপুল পরিমাণ বিস্ফোরক ছিল।’
বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে কাবুলের হামিদ কারজাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাছে ফের বিস্ফোরণ ঘটেছে। বিস্ফোরণের ঘটনায় এক শিশু নিহত হয়েছে।
ওই ঘটনার দুজন প্রত্যক্ষদর্শী আল জাজিরাকে জানিয়েছেন, একটা রকেট উড়ে এসে বিমানবন্দরের উত্তর দিকে একটি বাড়িতে আঘাত হেনেছে।
রোববার সকালে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছিলেন, মার্কিন সেনারা কাবুল বিমানবন্দর ছাড়া শুরু করার মধ্যেই সেখানে আরেকটি জঙ্গি হামলার জোর সম্ভাবনা আছে।
বাইডেন বলেছেন, কাবুল বিমানবন্দরের পরিস্থিতি ‘অত্যন্ত বিপজ্জনক’ হয়ে আছে আর সামরিক কমান্ডাররা তাকে জানিয়েছেন পরবর্তী ২৪ থেকে ৩৬ ঘণ্টার মধ্যে আরেকটি হামলা হওয়ার জোর সম্ভাবনা আছে।
বাইডেন এ কথা বলার কয়েক ঘণ্টা পর যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা নিরাপত্তা হুমকির কারণে আমেরিকানদের অবিলম্বে কাবুল বিমানবন্দর এলাকা ছেড়ে যাওয়ার জন্য আবার সতর্ক করেছে।
সতর্কতা জারির পর কাবুল বিমানবন্দরের গেইটগুলোতে ভিড় কমে গিয়েছিল।
আফগানিস্তান থেকে উদ্ধার তৎপরতা চলার মধ্যেই বৃহস্পতিবার কাবুল বিমানবন্দরের সামনে আত্মঘাতী বোমা হামলায় ১৩ মার্কিন সৈন্য ও আরও প্রায় ১৭০ জন নিহত হন। জঙ্গি গোষ্ঠী ইসলামিক স্টেট (আইএস) হামলার দায় স্বীকার করে।
এর প্রতিক্রিয়ায় আফগানিস্তান ছাড়ার শেষ পর্যায়েও শুক্রবার দেশটির নানগারহার প্রদেশে সন্দেহভাজন আইএস জঙ্গিদের ওপর ড্রোন হামলা চালায় যুক্তরাষ্ট্র। এতে আইএসের দুই শীর্ষ জঙ্গি নিহত হয়েছে বলে দাবি করেছে ওয়াশিংটন।
আফগানিস্তানে দুই দশকের ইতি ঘটিয়ে কাবুল থেকে চলে যাওয়ার চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে মার্কিন বাহিনী।
এখন কাবুল বিমানবন্দরে থাকা অবশিষ্ট এক হাজারের কিছু বেশি বেসামরিককে সরিয়ে নেওয়ার কাজ চলছে বলে রোববার পশ্চিমা এক নিরাপত্তা কর্মকর্তা রয়টার্সকে জানিয়েছেন।