বিনোদন ডেস্ক
প্রকাশ: ১০ সেপ্টেম্বর, ২০২১ ১৪:১৯ অপরাহ্ন | দেখা হয়েছে ৯১০ বার
ফরিদপুরের সালথায় নিজ মেয়েকে একাধিকবার ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে এক বাবার বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় অভিযুক্তকে আটক করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় এলাকায় তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে।
উপজেলার বল্লভদী ইউনিয়নের একটি গ্রামে এ ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। ধর্ষণের অভিযোগে আটককৃত বাবাকে শনিবার দুপুরে ফরিদপুরের কোর্টে পাঠানো হয়।
এর আগে শুক্রবার দিবাগত রাতে অভিযান চালিয়ে ওই বাবাকে আটক করা হয়। ফরিদপুরের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (নগরকান্দা-সালথা সার্কেল) সুমিনুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
ভুক্তভোগীর পরিবার ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, প্রথম স্ত্রী থাকা সত্ত্বেও আরও দুটি বিয়ে করে অভিযুক্ত বাবা। প্রথম স্ত্রীর গর্ভে দুটি কন্যাসন্তান জন্ম নেয়। স্ত্রী ও দুই কন্যাকে নিয়ে গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর এলাকায় ভাড়া বাসায় বসবাস করেন।
অভিযুক্ত বাবা বিভিন্ন সময়ে বড় মেয়েকে যৌন হয়রানি করলে দুই মেয়ে নানাবাড়িতে চলে যায়। নানা বাড়িতে কিছুদিন থাকার পর দুই মেয়ে বাবার বাড়িতে চলে আসে। সেখানে অভিযুক্ত বাবা দুই মেয়ের ভরণ পোষণ দেন না, খোঁজ খবরও নেন না বলে অভিযোগ রয়েছে।
পরে উপায় না পেয়ে বড় মেয়ে ঢাকায় একটি গার্মেন্টসে চাকরি নেন। এরপর থেকে বাড়িতে ছোট বোন একাই থাকে। গত ৩০ জুলাই রাত ১১টার দিকে অভিযুক্ত বাবা ছোট মেয়েকে ধর্ষণ করে। পরবর্তীতে বিভিন্ন সময়ে চায়ের সাথে মেডিসিন মিশিয়ে খাইয়ে অচেতন করে ছোট মেয়েকে পুনরায় একাধিকবার ধর্ষণ করে।
লোকলজ্জায় ভয়ে ছোট মেয়েটি বিষপান করলে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করে পালিয়ে যায় অভিযুক্ত বাবা। পরবর্তীতে বড় বোন ও মায়ের মাধ্যমে হাসপাতাল থেকে চিকিৎসা নিয়ে নানাবাড়িতে যায় ভুক্তভোগী মেয়েটি। পরে সব ঘটনা বড় বোন ও মায়ের কাছে খুলে বলে।
লোকলজ্জার ভয়ে চুপ থাকলেও অভিযুক্ত বাবা পালিয়ে থেকে বিভিন্ন সময় হুমকি ও ভয়ভীতি দেখালে মেয়েটির মা বাদী হয়ে সালথা থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযোগের সূত্র ধরেই সালথা থানার ওসি মো. আসিকুজ্জামানের নির্দেশনায় এসআই মোজাম্মেল হকের নেতৃত্বে এসআই তাজুল ইসলাম ও এএসআই মিলনসহ সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে অভিযুক্তকে আটক করে।
ওসি আসিকুজ্জামান বলেন, ধর্ষণের ঘটনায় অভিযুক্ত বাবাকে আটক করা হয়েছে। মেয়েটিকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য ফরিদপুর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।