ঢাকা, শনিবার, ৩০ নভেম্বর ২০২৪,
সরকার অনুমোদিত নিবন্ধন নম্বর ১৯১
Reg:C-125478/2015

এখনই তালেবানকে স্বীকৃতি দিচ্ছে না ঢাকা

বিনোদন ডেস্ক


প্রকাশ: ১০ সেপ্টেম্বর, ২০২১ ১৪:১৯ অপরাহ্ন | দেখা হয়েছে ৮৬২ বার


এখনই তালেবানকে স্বীকৃতি দিচ্ছে না ঢাকা

কাবুল দখলের তিন সপ্তাহ পর গত মঙ্গলবার আফগানিস্তানে সরকার গঠন করেছেন তালেবানরা। মোল্লা মোহাম্মদ হাসান আখুন্দকে দেশটির অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান ঘোষণা করা হয়। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপীয় ইউনিয়নসহ বিশ্বের অধিকাংশ দেশই এখনো নতুন সরকারকে শুভেচ্ছা জ্ঞাপন বা স্বীকৃতি দেয়নি। এমনকি নতুন সরকারকে স্বীকৃতি না দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন দেশটির তালেবানবিরোধীরা। এ পরিস্থিতিতে আফগানিস্তানের নতুন সরকারকে এখনই স্বীকৃতি দিচ্ছে না বাংলাদেশ।
 
আফগান নাগরিকদের মৌলিক অধিকার, নারী স্বাধীনতাসহ অন্যান্য বিষয়ে তালেবানদের কর্মকাণ্ডের দিকে গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছে ঢাকা। তবে দেশটির উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে আর্ন্তজাতিক বিশ্ব উদ্যোগ নিলে তার সঙ্গে থাকবে বাংলাদেশ সরকার।

গতকাল বুধবার পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম এখনই স্বীকৃতি না দেওয়ার বিষয়টি সাংবাদিকদের জানান।

শাহরিয়ার আলম বলেন, ‘আমরা এখনই আফগানিস্তানের নতুন সরকারকে স্বীকৃতি দেওয়ার কথা ভাবছি না। নারীর অধিকারসহ মৌলিক কিছু বিষয়ে তালেবানদের নীতি পর্যবেক্ষণ করছে ঢাকা। তবে দেশটির উন্নয়নে জাতিসংঘ ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের মতো বহুপাক্ষিক উদ্যোগ নেওয়া হলে তাতে ঢাকার সমর্থন থাকবে।’

এদিকে তালেবান সরকারকে স্বাগত জানিয়েছে চীন। এক বিবৃতিতে বেইজিং বলেছে, ‘কাবুলে নতুন অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের মাধ্যমে তিন সপ্তাহের বেশি সময় ধরে যে অরাজক পরিস্থিতির অবসান ঘটেছে তারা একে স্বাগত জানাচ্ছে।’ একই সঙ্গে আফগানিস্তানে শান্তিশৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে তালেবানের প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে। খবর আল জাজিরার।

চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ওয়াং ওয়েনবিন এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘তালেবানের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার প্রতিষ্ঠার ঘোষণা এবং বিভিন্ন পদে নেতাকর্মীদের নিয়োগের বিষয়টিকে চীন অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে দেখছে। এর মাধ্যমে তিন সপ্তাহের বেশি সময় ধরে দেশটিতে যে অরাজকতা চলছিল তার সমাপ্তি ঘটাতে এবং শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনা ও দেশ পুনর্গঠনে এটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।’

তালেবানের নতুন সরকার নিয়ে যখন অনেক দেশই ধীরে চলার নীতি অনুসরণ করছে তখন চীন সবার আগেই এটা জানিয়ে দিয়েছে যে, তারা তালেবান সরকারের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক স্থাপন করতে প্রস্তুত রয়েছে।

এর আগে মঙ্গলবার আফগানিস্তানের নতুন সরকারপ্রধান হিসেবে মোল্লা মোহাম্মদ হাসান আখুন্দের নাম ঘোষণা করে তালেবান। তিনি সশস্ত্র সংগঠনটির প্রতিষ্ঠাকালীন সদস্যদের অন্যতম। প্রায় দুই দশক ধরে তালেবানের নীতিনির্ধারণী সর্বোচ্চ পর্ষদ শূরা কাউন্সিলের নেতৃত্বে ছিলেন আখুন্দ।

গত ১৫ আগস্ট রাজধানী কাবুল দখল করার পর সম্ভাব্য তালেবান সরকারের প্রধান হিসেবে আবদুল গনি বারাদারের নামই বেশি আলোচনায় ছিল। কারণ, তিনি তালেবানের প্রয়াত প্রতিষ্ঠাতা মোল্লা ওমরের ভগ্নিপতি ও ঘনিষ্ঠজন। এ ছাড়া যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে শান্তি আলোচনায় তালেবানের পক্ষে নেতৃত্ব দেন তিনি। কিন্তু সবাইকে চমকে দিয়ে মোল্লা আখুন্দকে আফগানিস্তানের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান ঘোষণা করা হয়।
 


   আরও সংবাদ