স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশ: ১১ সেপ্টেম্বর, ২০২১ ১১:০২ পূর্বাহ্ন | দেখা হয়েছে ৭৮৪ বার
বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ফেডারেল নির্বাচনের প্রার্থীদের কাছে লাইভ প্যানেল আলোচনায় অংশ নেওয়ার জন্য অনুরোধ নিয়ে হাজির হন, তখন তাকে চেক বই বের করতে বলা হবে- এমনটি তিনি প্রত্যাশা করেননি।
“আমাকে কোনও টক শো বা ইভেন্টে যোগ দেওয়াতে হলে আমার প্রচারাভিযান অফিসে ৩শ’ ডলারের বেশি দিতে হয়,” কানাডার ওশাওয়ার লিবারেল প্রার্থী আফরোজা হোসেন সাংবাদিক শওগাত আলী সাগরকে এক বার্তায় এ কথা লেখেন, যা তিনি সেখানকার জনপ্রিয় পত্রিকা ‘দ্য স্টার’-এর সঙ্গে শেয়ার করেছেন।
পরবর্তীতে ‘দ্য স্টার’-এর পক্ষ থেকে এ বিষয়ে মন্তব্যের জন্য কানাডার লিবারেল পার্টির সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়।
এ বিষয়ে আফরোজা হোসেন বলেন, “আমি ভুল করে এই অনুদান চেয়েছিলাম, যা সম্পূর্ণ অগ্রহণযোগ্য। আমি এই ভুল ও ত্রুটির জন্য ক্ষমাপ্রার্থী। আমি ওশাওয়া অধিবাসীদের আস্থা অর্জন, সংসদে তাদের অগ্রাধিকার এবং স্বার্থের প্রতিনিধিত্ব করার দিকে মনোনিবেশ করছি।”
শওগাত আলী সাগর বলেন, আফরোজা হোসেনের এই ধরনের কর্মকাণ্ডে তিনি হতবাক। তিনি আফরোজাকে অর্থ প্রদান এবং তার প্রচারণায় অনুদান দিতে অস্বীকার করেছিলেন এবং তার দর্শকদের কাছে ক্ষমা চেয়েছিলেন।
তিনি বলেন, “আমাকে দর্শকদের বলতে হয়েছিল- আমি সব প্রার্থীকেই আমন্ত্রণ জানিয়েছিলাম, কিন্তু আমি তার (আফরোজা) আনার জন্য অর্থ দিতে পারিনি, তাই আমি তাকে প্রোগ্রামে রাখতে পারিনি। এ জন্য আমি দুঃখিত।”
এ সময় একজন অডিয়েন্স বললেন, আমরা এর আগে কখনও এরকম কিছু শুনিনি। একজন প্রার্থী কীভাবে প্রোগ্রামে আসার জন্য টাকা চাইতে পারেন?
বিষয়টি শুনে ওই অডিয়েন্স শুধু একাই এ রকম বিভ্রান্তিতে পড়েননি। দ্য স্টার- এর পক্ষ থেকে যেসব রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে, তারা এ বিষয়ে উদ্বেগ জানিয়েছেন।
টরন্টো বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞানের অধ্যাপক ডেভিড ক্যামেরন বলেন, “নৈতিকভাবে, এটি সীমার বাইরে এবং আমার কাছে শিষ্টাচার বহির্ভূত আচরণ বলে মনে হচ্ছে।”
তিনি আরও বলেন, “আমি ভেবেছিলাম প্রার্থীরা তাদের বার্তা প্রকাশ করতে জনসমক্ষে উপস্থিত হতে আগ্রহী। আমি জানি না যে এটি আনুষ্ঠানিকভাবে আইনের পরিপন্থী কিনা, কিন্তু আমার মন বলছে যদি তা না হয়, তবে এটি (আইন) হওয়া উচিত।”
ইলেকশনস কানাডার মুখপাত্র নাতাশা গাউথিয়ার বলেন, “এ বিষয়ে তাৎক্ষণিকভাবে তিনি সুনির্দিষ্ট পরিস্থিতিতে মতামত জানাতে পারছেন না। তবে এই ধরনের কিছু কানাডা ইলেকশন আইনে বিধিমালার বিরোধী বলে মনে হচ্ছে না। তবে এক্ষেত্রে সতর্ক বাণী হচ্ছে- কোনও কোম্পানি প্রচারণায় অনুদান দিতে পারে না। সুতরাং, যদি শওগাত আলী সাগর, তার সংবাদপত্র নয়, চেকটিতে স্বাক্ষর করেন, তত্ত্বানুসারে, ঠিক আছে।”
গাউথিয়ার বলেন, “আমরা কিছু বৈধ কি না তা নিয়ে রায় দিই না। আইনের সম্ভাব্য লঙ্ঘন তদন্ত করা কানাডা নির্বাচনের কমিশনারের কাজ। তবে কাউকে এই বিষয়ে অভিযোগ করতে হবে।”