ঢাকা, রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪,
সরকার অনুমোদিত নিবন্ধন নম্বর ১৯১
Reg:C-125478/2015

শিক্ষক দিবসে শিক্ষক বঞ্চনার অবসান চাই : বাংলাদেশ ন্যাপ

স্টাফ রিপোর্টার


প্রকাশ: ৫ অক্টোবর, ২০২১ ১৩:৪১ অপরাহ্ন | দেখা হয়েছে ৭৪৭ বার


শিক্ষক দিবসে শিক্ষক বঞ্চনার অবসান চাই : বাংলাদেশ ন্যাপ



যে ইউনেস্কো আইএলও সনদের ভিত্তিতে “বিশ্ব শিক্ষক দিবস” নির্ধারিত হয়েছে দু:খজনক হলেও সত্য যে, বাংলাদেশের স্বাধীনতার ৫০বছরেও শিক্ষকদের সেই অধিকার ও মর্যাদা নিশ্চিত করা হয়নি। স্বাধীনতার ৫ দশকেও জাতীয় শিক্ষা নীতি বাস্তবায়ন করা হয়নি। সরকারি-বেসরকারি শিক্ষাব্যবস্থার চরম বৈষম্যের কারণে জাতীয় শিক্ষানীতি বাস্তবায়নে দৃশ্যমান কোনো উদ্যোগ নেয়া হয়নি। ফলে আবেসরকারি শিক্ষকরা বঞ্চনার শিকার হয়ে চরম হতাশায় নিমজ্জিত বলে মন্ত করে বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপ বিশ্ব শিক্ষক দিবসে শিক্ষক বঞ্চনার অবসানে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহনে সরকারের প্রতি উদত্তি আহ্বান জানান।

মঙ্গলবার (৫ অক্টোবর) বিশ্ব শিক্ষক দিবস উপলক্ষে গণমাধ্যমে প্রেরিত এক বিবৃতিতে পার্টির চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গানি ও মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া এসব কথা বলেন।

তারা বলেন, শিক্ষকরা আদর্শ ও মানবতাবাদী জাতি গঠনের কারিগর হলেও আমাদের দেশে তাদের অধিকার ও মর্যাদা বিষয়ে শিক্ষকসমাজ হতাশায় নিমজ্জিত। অথচ জাতি গঠনে তাদের অবদান অসামান্য। ঐতিহ্যগতভাবে বিশ্বব্যাপী সব সমাজে শিক্ষকের মর্যাদা সর্বাধিক। তারাই সমাজের সর্বজনশ্রদ্ধেয় ব্যক্তিত্ব। কিন্তু বাংলাদেশে শিক্ষকদের অবস্থা তেমন নয়। দেশে শিক্ষকরা সমাজে উপেক্ষিত ও বঞ্চিত।

নেতৃদ্বয় বলেন, বাংলাদেশের বেসরকারি শিক্ষকদের অবস্থা খুবই সোচনীয়। আর্থিক দৈন্যদশা ও সামাজিক বঞ্চনা দেশের বেসরকারি শিক্ষকসমাজের প্রধান বৈশিষ্ট্য। তাদের বঞ্চনা-দুঃখ-যাতনার বেশির ভাগই অব্যক্ত। করোনাকালে ১৮ মাস শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় নন-এমপিওসহ সর্বস্তরের বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষকরা পরিবার-পরিজন নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন। মাঝে মধ্যে সংবাদমাধ্যমে শিক্ষকদের আর্তনাদের দু-একটি চিত্র জানা যায়। এতেই বোঝা যায় বেসরকারি শিক্ষকরা কেমন আছেন।

তারা আরো বলেন, নন-এমপিও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান জাতীয়করণ না হওয়া প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদরাসা ও কিন্ডারগার্টেনের শিক্ষকরা দুর্বিষহ জীবনযাপন করছেন। দীর্ঘ দিন ধরে বেতনভাতা থেকে বঞ্চিত রয়েছেন। সরকারি আশ্বাস ও দীর্ঘ অপেক্ষা শেষে এমপিওভুক্ত না হওয়ায় এসব শিক্ষক বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছেন। তাদের পারিবারিক জীবন দুদর্শাগ্রস্থ। করোনাকালে তাদের জনপ্রতি মাত্র পাঁচ হাজার টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়। তা-ও অনেকে পাননি। শিক্ষকসমাজের করুণ দশা জাতিকে লজ্জিত করে। তাদের বঞ্চনা সামাজিক বিবেকবোধকে দংশন করে।

নেতৃদ্বয় দেশের শিক্ষাব্যবস্থার এমন প্রেক্ষাপটে এবারের বিশ্ব শিক্ষক দিবসে সরকারের নিকট শিক্ষকদের যথাযথ মর্যাদা প্রতিষ্ঠা, শিক্ষা খাতে বরাদ্দ বাড়ানো, সবার চাকরি জাতীয়করণ ও শিক্ষকদের সকল বঞ্চনা-বৈষম্য দূর করতে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহনের জন্য উদাত্ত আহ্বান জানান।


   আরও সংবাদ