বিনোদন ডেস্ক
প্রকাশ: ১৪ অক্টোবর, ২০২১ ১৭:১৭ অপরাহ্ন | দেখা হয়েছে ৫৬৮ বার
মোবাইল ব্যাংকিং সেবা বিকাশের হেল্পলাইন থেকে কল করে বিকাশের এক এজেন্ট থেকে ১ লাখ ৫৭ হাজার ৪৩৪ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। ভুক্তভোগী বিকাশের এজেন্ট ইতিমধ্যে চট্টগ্রামের ডবলমুরিং থানায় একটি মামলাও করেছেন।
ভুক্তভোগীর বরাত দিয়ে জানা যায়, বিকাশের হেল্পলাইন ১৬২৪৭ নম্বর থেকে কল করে কয়েক দফায় তার কাছ থেকে এই টাকা হাতিয়ে নেওয়া হয়েছে। ভুক্তভোগী তৌহিদ আলী রাশেদ বলেন, চট্টগ্রামের আগ্রাবাদ অঞ্চলের বিকাশের সেলস রিপ্রেজেন্টেটিভ (এসআর) টিপু সরাসরি এই প্রতারণা চক্রের সাথে জড়িত।
বিকাশের এই নতুন এজেন্ট রাশেদ গত ২৬ আগস্ট বিকাশ থেকে এজেন্টশিপ পেয়েছেন। ব্যবসা শুরু করার মাত্র ৫ দিনের মাথায় অর্থাৎ ১ সেপ্টেম্বর তার সাথে এই প্রতারণার ঘটনাটি ঘটে। টাকা ফেরত পেতে এজেন্ট রাশেদ বিকাশের চট্টগ্রামের ব্রাঞ্চ অফিস (চৌমুহনীতে) কয়েক দফায় অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগের পর দেড় মাস অতিক্রম করলেও বিকাশ কর্তৃক কার্যকর কোনো সমাধান তিনি এখনো পাননি।
ঘটনার বর্ণনা দিতে গিয়ে বিকাশের ভুক্তভোগী এজেন্ট রাশেদ বলেন, গত ১ সেপ্টেম্বর দুপুরে বিকাশের হেল্পলাইন (১৬২৪৭) থেকে কল করে বিকাশের অ্যাপস আপডেট ও নির্দেশনার জন্য তাকে অন্য একটি নম্বর থেকে ফোন করা হবে বলে জানানো হয়। হেল্পলাইন থেকে এই কলের ঠিক এক মিনিট পর ০১৮২৫২৮৮১২৩ নম্বর থেকে ফোন করে অ্যাপস আপডেট করতে কিছু নির্দেশনা দেওয়া হয়। তাদের এই নির্দেশনা তিনি বিশ্বাস না করায় কিছু সময় পর বিকাশের এসআর টিপু তার ব্যক্তিগত নম্বর থেকে তাকে ফোন দেন।
টিপু অ্যাপস আপডেট করতে অফিস থেকে এজেন্ট রাশেদের কাছে ফোন আসবে বলে জানান। পরবর্তীতে বিকাশের এসআর টিপুর নির্দেশনা মতে রাশেদ ফোন রিসিভ করেন এবং ধাপে ধাপে ০১৬১৪-১৫৫৫১৮, ০১৭৬৬-১০৯০৮৫, ০১৭৮১-৩২৩২৪০ ও ০১৯২৭-৪৭৮৪১৯ নম্বরে টাকাগুলো পাঠাই। টাকা যাওয়ার পর থেকে ফোন নম্বরগুলো বন্ধ করে দেওয়া হয়। এই ঘটনা বিকাশ অফিসে অবহিত করার পর সমাধানে দুই দিন সময় নেয় বিকাশের প্রধান কার্যালয়। কিন্তু ঘটনার পর দীর্ঘ দেড় মাস অতিক্রম হবার পরও তার কোনো সমাধান মেলেনি।
প্রাথমিকভাবে বিকাশ অফিসে অভিযোগ জানানোর পাশাপাশি ডবলমুরিং থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি নং-৪৭৮) করেন ভুক্তভোগী এজেন্ট রাশেদ। কিন্তু দেড় মাস আগে ডায়েরি দায়ের করেও পুলিশের কাছ থেকে কোনো সমাধান পাননি তিনি। ফলশ্রুতিতে গত ১১ অক্টোবর তৌহিদ আলী রাশেদ থানায় একটি মামলা (মামলা নং ১৪/৪২২) করেন।
মামলার বিষয়ে বিকাশ এজেন্ট রাশেদ বলেন, গত ১১ আক্টোবর বিকাশ থেকে প্রতারণার মাধ্যমে টাকা হাতিয়ে নেওয়ার বিষয়ে তিনি মামলা করেছেন। তিনি প্রতারণার ঘটনার প্রতিকার চান এবং দোষীদের শাস্তি দাবি করেছেন। তিনি আরও বলেন, আমার অগোচরে আসামিরা ইন্টারনেটের মাধ্যমে ডিজিটাল ডিভাইস ব্যবহার করে এই প্রতারণা করে। এই ঘটনায় সরাসরি বিকাশের কোনো চক্র জড়িত আছে। কারণ টাকা সরিয়ে নেওয়ার ক্ষেত্রে আমার সিম পাওয়ার তারিখ ও দোকানের
নাম প্রতারকদের জানার কথা নয়। এ ছাড়া তথ্য দিয়ে সহায়তার জন্য বিকাশের স্থানীয় এসআর টিপুর নির্দেশনা তার অন্যতম প্রমাণ।