বিনোদন ডেস্ক
প্রকাশ: ১৮ অক্টোবর, ২০২১ ০৬:৫২ পূর্বাহ্ন | দেখা হয়েছে ৪৭১ বার
আইসিসি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের বাছাইপর্বে আজ রবিবার নিজেদের প্রথম ম্যাচে স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে ৭ রানে হেরেছে বাংলাদেশ। ওমানের মাসকটে আল আমিরাত ক্রিকেট গ্রাউন্ডে মুখোমুখি হয় দুই দল। ম্যাচটিতে প্রথমে ব্যাট করে ৯ উইকেট হারিয়ে ১৪০ রান করে স্কটল্যান্ড। জবাবে বাংলাদেশ ৭ উইকেট হারিয়ে ১৩৩ রান করে থেমে যায়।
বাংলাদেশ এর আগে ২০১৪ ও ২০১৬ বিশ্বকাপের বাছাইয়ে খেলেছে। আগের দুইবার নিজেদের প্রথম ম্যাচে জয় পেলেও এবারই প্রথমবারের মতো বাছাইয়ে নিজেদের পথম ম্যাচে হেরেছে মুশফিক- মাহমুদউল্লাহরা। ব্যাটসম্যানদের দায়িত্বহীন ব্যাটিংয়ে হেরেছে টাইগাররা। আশা জাগিয়েও নিজেদের প্রথম ম্যাচে জিততে না পারায় টাইগার সমর্থকরা হতাশ।
ম্যাচটিতে বাংলাদেশের হয়ে তিনটি উইকেট তুলে নেন মেহেদী হাসান। অপরদিকে দুটি উইকেট তুলে নিয়ে ১০৮ উইকেট নিয়ে শ্রীলঙ্কার লাসিথ মালিঙ্গাকে সরিয়ে দিয়ে টি-টোয়েন্টিতে সর্বোচ্চ উইকেট শিকারী হিসেবে বিশ্ব রেকর্ড গড়েন সাকিব আল হাসান। প্রথমে বাংলাদেশের বোলারদের তোপে পরে চেপে থাকলেও, শেষ দিকে ক্রিস গ্রেভেসের ২৮ বলের ৪৫ রানের ঝড়ো ইনিংসে চ্যালেঞ্জিং স্কোর দাঁড় করাতে সমর্থ হয় স্কটল্যান্ড।
১৪১ রানের লক্ষ্য নিয়ে খেলতে নেমে ম্যাচটিতে শুরুতেই হোঁচট খায় বাংলাদেশ। দলীয় ৮ রানের মাথায় ৫ বল খেলে ৫ রান করে জস ডেভির বলে ক্যাচ আউট হন সৌম্য সরকার। এরপর ব্যাট করতে নামেন সাকিব। আরেক ওপেনার লিটন দাসকে নিয়ে যখন ঘুরে দাঁড়ানোর চেস্টা করছিল তখন লিটন দাস ৭ বল খেলে ৫ রান করে ব্র্যাড হুইলের বলে জর্জ মুনসির হাতে ধরা পরেন। সৌম্যর ক্যাচটিও নিয়েছিলেন মুনসি।
এরপর আসেন মুশফিকুর রহিম। তবে তিনি ও সাকিব মিলে রানের চাকা সচল রাখতে পারছিলেন না। তাদেরকে শক্তভাবে চেপে ধরেন স্কটল্যান্ডের বোলাররা। ম্যাচের আট ওভার পর্যন্ত ভীষন চাপে ছিলেন তারা। তবে ম্যাচের নবম ওভারে গিয়ে ১৮ রান তুলে নেন দুই জন মিলে। মাইকেল লিসাকের করা ওই ওভারটিতে পর পর দুটি ছক্কা মারেন মুশফিক। এরপর মুশফিক হাত খুলে মারতে থাকেন। কিন্তু সাকিব যেন খেলতে পারছিলেন না। তবে যখন তিনি হাত খুলে মারলেন ঠিক তখনই ক্রিস গ্রেভেসের বলে বাউন্ডারিতে গিয়ে ধরা পরেন তিনি। এরপর মুশফিকও সেই গ্রেভেসের বলে ৩৬ বল খেলে ৩৮ রান করে সরাসরি বোল্ড আউট হয়ে যান।
এক প্রান্ত আগলে ধরে খেলতে থাকেন মাহমুদউল্লাহ। কিন্তু বলের সঙ্গে সমান তালে রান তুলতে পারছিলেন না তিনি। অবশেষে ২২ বল খেলে ২৩ রান করে ক্যাচ আউট হন তিনি। একটা সময় আফিফ হোসেন রান তোলার চেস্টা করলেও তিনিও ক্যাচ আউট হয়ে সাজঘরে ফেরেন। তিনি ১২ বলে করেন ১৮ রান। নুরুল হাসান সোহান ৩ বলে ২ রান করেন। শেষ দিকে সাইফ উদ্দিন ও মেহেদী হাসান শুধুই ব্যবধান কমান। যা ক্ষতি হওার তা আগেই হয়ে যায়। মেহেদী ৫ বল খেলে ১৩ রান করেন। অপরদিকে সাইফউদ্দিন ২ বলে ৫ রান করেন।
স্কটল্যান্ডের হয়ে সর্বোচ্চ তিনটি উইকেট তুলে নেন ব্রেড হুয়েল। ২৪ রানে তিনি এ তিনটি উইকেট নেন। ব্যাটিংয়ে স্কটল্যান্ডের হয়ে দ্যুতি ছড়ানো ক্রিস গ্রেভেস বোলিংয়েও দুর্দান্ত করেন। তিনি ৩ ওভার বল করে ১৯ রানে মুশফিক ও সাকিবের উইকেট দুটি তুলে নেন।
এর আগে টসে হেরে ব্যাট করতে নেমে ম্যাচটিতে প্রথমেই বিপদে পরে যায় স্কটল্যান্ড। বাংলাদেশের বোলারদের চাপের মুখে পরে তারা। যেখানে পাওয়ার প্লেতে রানের ফোয়ারা ছোটার কথা ছিল সেখানে তারা রানই করতে পারেনি।
অধিনায়ক কোয়েতজার ৭ বল খেলে কোন রান করার আগে মোহাম্মদ সাইফউদ্দিনের বলে আউট হন। এরপর জর্জ মুনসি ও ম্যাথু ক্রস মিলে ৪০ রানের পার্টনারশিপ গড়ে তোলেন। এই পার্টনারশিপ ভাঙেন স্পিনার মেহেদি হাসান। তিনি ক্রসকে এলবিডব্লিউ আউট করে দেন। এরপর মুনসিকে করেন বোল্ড। তখনই বড় চাপে পরে যায় স্কটল্যান্ড। সাকিব তখন নিজের দ্বিতীয় ওভারে দুটি উইকেট তুলে নিয়ে তাদেরকে আরো চেপে ধরতে সমর্থ হন। বেরিংটনকে ২ ও লিসাককে ০ রানে ফেরান সাকিব।
এরপর ম্যাকলিউডকে ৫ রানে মেহেদি ফেরালে মাত্র ৫৩ রানেই ছয় উইকেট পরে যায় স্কটল্যান্ডের। শেষের দিকে স্কটল্যান্ড আরেকটি পার্টনারশিপ গড়তে সমর্থ হয় ক্রিস গ্রেভাস ও মার্ক ওয়েট মিলে টানেন দলকে। তবে ওয়েট ১৭ বলে ২২ রান করে তাসকিনের বলে ক্যাচ আউট হন। কিন্তু একপ্রান্ত আগলে রাখেন গ্রেভাস। তিনি শেষ পর্যন্ত ২৮ বল খেলে ৫৬ রান করেন।