বিনোদন ডেস্ক
প্রকাশ: ২৬ অক্টোবর, ২০২১ ১৮:৫২ অপরাহ্ন | দেখা হয়েছে ৪৯৬ বার
টসের সময় ধারাভাষ্যকাররা বেশ অবাকই হয়েছিলেন। কুইন্টন ডি ককের মতো খেলোয়াড়কে বাদ দিয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে নেমেছে দক্ষিণ আফ্রিকা! পরে জানা গেলো ব্যক্তিগত কারণেই নিজেকে সরিয়ে নেন ডি কক। কারণ বের হয়ে না আসলেও যতটুকু মনে হচ্ছে তাতে যেন নতুন এক বিতর্কে জড়ালেন এই উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান।
বর্ণবাদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ হিসেবে বিভিন্ন খেলাতেই খেলোয়াড়দের হাটু গেড়ে বসার দৃশ্যটি এখন বেশ নিয়মিতই হয়ে আসছে। গত ২৩ অক্টোবর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে দ্বিতীয় ইনিংস শুরুর আগে হাটু গেড়ে বসে 'ব্ল্যাক লাইভস ম্যাটার (বিএলএম)' আন্দোলনের সমর্থন জানায় দক্ষিণ আফ্রিকা। তবে ব্যতিক্রম ছিলেন ডি কক। সমর্থন না জানিয়ে দাঁড়িয়ে ছিলেন তো বটেই, দুই হাত কোমড়ে রেখে তার দাড়ানোর ভঙ্গিমাও দৃষ্টিকটু লেগেছে নেটিজেনদের।
এরপর সোমবার রাতেই দক্ষিণ আফ্রিকা ক্রিকেট বোর্ড (সিএসএ) খেলোয়াড়দের নির্দেশনা দেয়, ম্যাচের আগে বাধ্যতামূলক সবাইকে হাটু গেড়ে বসতে হবে। এক বিবৃতিতে তারা জানায়, 'বিএলএমের সমর্থনে দলের সদস্যরা বিভিন্ন পথ বেছে নেওয়ায় অনিচ্ছাকৃতভাবে হলেও, যথেষ্ট সমর্থন না থাকা কিংবা বিভেদের ধারণা জন্ম দিয়েছে। ক্রিকেটারদের অবস্থানসহ প্রাসঙ্গিক সবকিছু বিবেচনা করে বোর্ডের মনে হয়েছে, বর্ণবাদের বিরুদ্ধে দলের একতাবদ্ধ ও ধারাবাহিক অবস্থান নেওয়া জরুরি। বিশেষ করে দক্ষিণ আফ্রিকার ইতিহাসের কথা মনে রেখে। বিশ্বকাপের অন্য অনেক দলই এই ইস্যুতে ধারাবাহিক অবস্থান নিয়েছে। বোর্ডের মনে হয়েছে, দক্ষিণ আফ্রিকারও একই রকম করা উচিত।
কিন্তু ব্যাপারটি নিয়ে আগেই নিজের মত প্রকাশ করেন ডি কক। গত জুনে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজের সময় এনিয়ে কথা উঠেছিল। তখন তিনি বলেছিলেন, 'আমার না করার কারণ? সেটা আমি নিজের কাছে রাখব। এটা আমার নিজস্ব, ব্যক্তিগত মতামত। এটা সবার সিদ্ধান্ত; কাউকে কোনো কিছুতেই বাধ্য করা হয় না। এমনকি জীবনের কোনো ক্ষেত্রেও না। আমি ব্যাপারগুলো এভাবেই দেখি।'
ম্যাচ থেকে ককের সরিয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্তটি যেন মানতে পারেননি দুইবারের বিশ্বজয়ী অধিনায়ক ড্যারেন সামি। তার মনে হচ্ছে বিএলএম নিয়ে সিএসএ জোর করার কারণেই খেলেননি কক। ধারাভাষ্যকক্ষে সাবেক এই ক্যারিবিয়ান ক্রিকেটার বলেন, 'মাঝেমধ্যে আমি বুঝতে পারি না এই আন্দোলনকে সমর্থন দেওয়াটা এতো কঠিন কেন। যদি আপনি বুঝে থাকেন আন্দোলনের অর্থটা কী।'
কিছুদিন আগে পাকিস্তান ম্যাচের আগে ভারত হাটু গেড়ে বসে বিএলএম আন্দোলনের সমর্থন জানায়। তাতে প্রশংসিত হন বিরাট কোহলিরা। কিন্তু নিজেদের খেলোয়াড়দের ভিন্ন অবস্থান দেখে চুপ থাকতে পারেনি সিএসএ।