স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশ: ২ নভেম্বর, ২০২১ ১২:৪৯ অপরাহ্ন | দেখা হয়েছে ৫৮২ বার
সাপাহার (নওগাঁ) প্রতিনিধি: নওগাঁর সাপাহারে নিভৃত পল্লী গ্রামে গিয়ে সাধারণ জনগনকে প্রতারণার ফাঁদে ফেলে কয়েক লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়ে কৌশলে পালিয়েছে একটি প্রতারক চক্রের দুই সদস্য। জয়পুর হাট জেলার জামাল গঞ্জ জনতা মুরগী ফার্ম এন্ড হ্যাচ্যারীর নাম ব্যাহার করে ওই প্রতারক চক্র গ্রামের সহজ সরল লোকজনকে প্রতারণার ফাঁদে ফেলেন। এলাকাবাসী সুত্রে জানা গেছে গত অক্টোবর মাসের মাঝা মাঝি সময়ে মনির হোসেন ও তার এক সহযোগী সাপাহার উপজেলার পিছলডাঙ্গা গ্রামে আসেন ও তারা জনতা মুরগী ফার্ম এন্ড হ্যাচারী থেকে এসেছেন বলে পরিচয় দেন।
ওই এলাকার ভুক্তভোগী অসংখ্য নারী পুরুষের নিকট থেকে জানা গেছে তারা প্রতিটি গ্রাম হতে একজন করে নারী বা পুরুষকে নেতা নেত্রী হিসেবে নিযুক্ত করেন। প্রথমে তাদেরকে প্রতারণার ফাঁদে ফেলে তাদেরকে সাথে নিয়ে একটি পরিবারে সহজ কিস্তিতে ৫শটি ডিম পাড়া ২০টি করে মুরগী এবং মুরগীর বাস যোগ্য একটি করে ঘর দেয়া হবে বলে প্রতারণার ফাঁদ পাতে। এর পর দু’ একজন নেতা নেত্রীকে ১০টি করে মুরগীও দেয় তারা। সুযোগ বুঝে পরে তারা তাদের হ্যাচারী ফার্মের একটি কাগজে মুরগীর ঘর বাবদ নগদ ৫০০ করে টাকা আদায় করে পরে মুরগী প্রদান করা হবে বলে পিছলডাঙ্গা গ্রামের ৪৪জনের নিকট থেকে ২২হাজার টাকা, সিংগাহার গ্রামের ২০জনের নিকট থেকে ১০হাজার টাকা, মধ্যপাড়া গ্রামের ২৫জনের নিকট হতে ১২হাজার ৫শ” টাকা, পোকড়াহার গ্রামের ৪০জনের নিকট থেকে ২০হাজার টাকা, ধর্মপুর গ্রামের ১শ’জনের নিকট থেকে ৫০হাজার টাকা, মলপাড়া গ্রামের ৪০জনের নিকট থেকে ২০হাজার টাকা, বিদ্যানন্দী গ্রামের ৪০জন সদস্যের নিকট থেকে ২০হাজার টাকা এবং শাহাবাজপুর গ্রামের ১শ’জনের নিকট থেকে ৫০হাজার টাকা সহ সর্বমোট ১লক্ষ ৯২হাজার টাকা গ্রহণ করে মুরগী দেবার কথা বলে প্রত্যেক সদস্যের নিকট ০১৭৩৮—৩৬৪২৩৭ ও ০১৭১৭—৩৮০৪৩৯ মোবাইলে যোগাযোগ করার কথা বলে চম্পট দেয়। ২০অক্টোবর টাকা আদায় করে ২১অক্টোবর তাদের দেয়া ফোনগুলি খোলা থাকলেও রহস্যজনকভাবে ২২অক্টোবর হতে প্রত্যেকের ফোন বন্ধ হয়ে যায়। এর পর থেকে কোন গ্রাহকই আর তাদের সাথে কোন রকম যোগাযোগ করতে পারেনি। বিষয়টি এলাকায় জানা জানি হলে পিছল ডাঙ্গা গ্রামের ০৯নং ওয়ার্ড সদস্য দেলোয়ার হোসেন ,সদর ইউপি চেয়ারম্যান মো: আকবর আলীর সাথে কথা বলেন। বিষয়টি খতিয়ে দেখার পূর্বেই প্রতারকগণ এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যায়। এবিষয়ে সাপাহার উপজেলা নির্বাহী অফিসার আব্দুল্যাহ আল মামুন এর সাথে কথা হলে তিনি বিয়য়ে অবগত নয় বলে জানান। তবে এসব বিষয়ে গ্রামের মানুষদের তিনি সচেতন হতে বলেন। গ্রামে কোন প্রতারক চক্রের লোকজন প্রবেশ করলে আইন প্রয়োগকারী সংস্থ্যার সাহায্য নিতে পরামর্শ দেন। অসহায় গ্রামবাসী প্রতারণার শিকার হয়ে এখন হাহুতাশ করছে। এই প্রতারকদের কোথাও দেখলে ধরিয় দেয়ার জন্য সবার প্রতি আকুল আবেদন জানানো হয়েছে। উল্লেখ্য ওই প্রতারক চক্র সাপাহার উপজেলার আর ও বেশ কয়েকটি গ্রামে ও পার্শ্ববর্তি পোরশা উপজেলার কয়েকটি গ্রামে একই কায়দায় প্রতারণার ফাঁদ পেতে অসংখ্য নারী পুরুষের নিকট থেকে কয়েক লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে বলে ভুক্তভোগী সুত্রে জানা গেছে।