বিনোদন ডেস্ক
প্রকাশ: ৮ নভেম্বর, ২০২১ ২২:০৮ অপরাহ্ন | দেখা হয়েছে ৫৪২ বার
ছাইদুল ইসলাম, ধামইরহাট (নওগাঁ) প্রতিনিধিঃ নওগাঁর ধামইরহাট উপজেলায় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মোট ৫৮জন শিক্ষকের পদ শূন্য রয়েছে। এর মধ্যে প্রধান শিক্ষক ২২জন এবং সহকারী শিক্ষকের পদে ৩৬জন শূন্য রয়েছে। এমনি ভাবে পদ শূন্য থাকায় প্রাথমিক বিদ্যালয় গুলোতে শিক্ষা কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে।
প্রাথমিক শিক্ষা অফিস সুত্রে জানা গেছে, উপজেলায় সর্বমোট ১১২টি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। তার মধ্যে বিদ্যালয় গুলোতে বর্তমানে কর্মরত প্রধান শিক্ষক হিসেবে রয়েছে ৯০জন এবং সহকারী শিক্ষক পদে রয়েছে ৪৯৮জন। এর মধ্যে এখন অবদি প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষক ৫৮জনের পদ শূন্য রয়েছে। প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষক পদ শূন্য থাকায় বর্তমানে দায়িত্ব পালনকারী শিক্ষক-শিক্ষিকা বিপাকে পরেছেন। ফলে তাদের অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করতে হচ্ছে। এতে করে শিক্ষার্থীদের সঠিক পাঠদানসহ দাপ্তরিক কাজ অনেকটা বিঘ্নিত হচ্ছে।
অভিভাবকরা জানান, শিক্ষক পদ শূন্য থাকায় অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করায় শিক্ষকরা শ্রেনিকক্ষে শিক্ষার্থীদের পাঠদানে সঠিক মনোনিবেশ তৈরী করতে পারছেন না,ফলে শিশুদের নিয়ে আমরা পড়েছি বিপাকে, এমনকিতেই করোনা কালীন সময়ে শিশুরা অনেক পিছনে পড়েছে । ইতিমধ্যে সহকারী শিক্ষক পদে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ হলেও তা করোনার কারণে বন্ধ রয়েছে। দ্রত নিয়োগ পরিক্ষা দেয়া হলে শিক্ষক সংকট এবং নতুন কর্মসংস্থান হবে বলেও আশা করেন তারা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন সহকারি শিক্ষক জানান, প্রতিটি প্রতিষ্ঠানে একজন করে প্রধান শিক্ষক থাকেন। আর প্রধান শিক্ষকের পদ যদি শূন্য থাকে তাহলে প্রতিষ্ঠানের শৃঙ্খলা থাকেনা। সবাই নিজের মত করে চলতে চেষ্ঠা করেন। সহকারী শিক্ষককে প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব দেয়া হলে তখন তিনি দাপ্তরিক কাজে ব্যস্থ হয়ে পরেন।
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. আজমল হোসেন জানান, প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পদ শূন্য থাকায় বর্তমানে পাঠদানে তেমন কোন অসুবিধা হচ্ছে না। তবে নিয়োগ পক্রিয়ার মাধ্যমে শূন্য পদগুলোতে সহকারী শিক্ষক যোগ হলে অনেকটা শিক্ষার্থীদের সুবিধা হবে।