ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১৮ ডিসেম্বর, ২০২১ ২১:০৪ অপরাহ্ন | দেখা হয়েছে ৫২১ বার
আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, দেশের বিচার বিভাগের বড় বড় অর্জন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তার কন্যা শেখ হাসিনার শাসনামলে হয়েছে।
সুপ্রিমকোর্ট দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তৃতায় আইনমন্ত্রী আজ এ কথা বলেন।
দিবসটি উপলক্ষে আজ বিকালে সুপ্রিমকোর্ট জাজেস স্পোর্টস কমপ্লেক্সে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন। স্বাগত বক্তৃতা করেন সুপ্রিমকোর্ট দিবস উদযাপন সংক্রান্ত জাজেস কমিটির সভাপতি আপিল বিভাগের বিচারপতি ওবায়দুল হাসান। আরো বক্তৃতা করেন বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের ভাইস চেয়ারম্যান সিনিয়র এডভোকেট ইউসুফ হোসেন হুমায়ূন এবং এটর্নি জেনারেল এএম আমিন উদ্দিন। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন আইন বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক এমপি। সম্মানীয় অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করেন জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরিন শারমিন চৌধুরী।
রাস্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ প্রধান অতিথি হিসেবে বঙ্গভবন হতে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন। সুপ্রিমকোর্ট দিবস উপলক্ষে অনুষ্ঠানে সুপ্রিমকোর্টের উভয় বিভাগের বিচারপতি, এটর্নি জেনারেল কার্যালয়ের কর্মকর্তা, সিনিয়র এডভোকেট, সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতির কার্যনির্বাহী কমিটির কর্মকর্তা-সদস্য, সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবী এবং সুপ্রিমকোর্ট প্রশাসনের কর্মকর্তাগন উপস্থিত ছিলেন।
আইনমন্ত্রী বলেন, গোটা বিচার ব্যবস্থা ডিজিটাইজ করা প্রয়োজন। সে লক্ষ্যে ই-জুডিশিয়ারী প্রকল্প বাস্তবায়ন হচ্ছে।
তিনি বলেন, করোনা পরিস্থিতিতেও প্রধান বিচারপতি জনগণের ন্যায়বিচার নিশ্চিতে বিচার বিভাগকে সচল রেখেছেন। এজন্য প্রধান বিচারপতিকে ধন্যবাদ জানিয়ে আইনমন্ত্রী বলেন, মহামারি জনিত উদ্ভূত পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহার করে ভার্চুয়ালি বিচার কার্যক্রম পরিচালনা শুরু হয়। প্রথমে গত বছর তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার অধ্যাদেশ করা হয়। পরে সেটি আইনে পরিনত করা হয়।
আইনমন্ত্রী বলেন, দেশের সর্বোচ্চ আদালত সুপ্রিমকোর্টের চলার পথ মসৃন ছিলনা। বঙ্গবন্ধুর নৃশংস ও বর্বরোচিত হত্যাকান্ডের পর সে ঘটনার বিচারের পথ বন্ধে ইনডেমনিটি করা হয়েছিল। পিতা হত্যার বিচারের দাবীতে শেখ হাসিনা ১৯৮১ সালে দেশে আসার পর সুপ্রিমকোর্টে বহুবার এসেছেন। তখন তার ক্ষেত্রে বিচারের বাণী নিরবে নিভৃতে কেঁদেছে। সেদিন সুপ্রিমকোর্টে উপলব্ধির প্রয়োজন ছিল যে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্ব ও সংগ্রামে স্বাধীনতা পেয়েছি আমরা। সে কারণে বিচারক পদে অনেকে বসতে পেরেছেন। আইনমন্ত্রী বলেন, সব অপচেষ্টাকে পেছনে ফেলে আজ বিচার বিভাগ সুদৃঢ় অবস্থানে। এটি শেখ হাসিনার অবদান। শেখ হাসিনা বিচার বিভাগকে আপন করে নিয়েছেন। বিচার বিভাগের উন্নয়নে শেখ হাসিনা বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছেন। তার শাসনামলে সুপ্রিমকোর্ট এনেক্সভবন নির্মাণ, বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট, আইন কমিশন প্রতিষ্ঠা করা হয়। বিচার বিভাগ পৃথকীকরণের আইনগত ভিত্তিও শেখ হাসিনার শাসনামলে হয়েছে।