ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ৩১ ডিসেম্বর, ২০২১ ২১:১৭ অপরাহ্ন | দেখা হয়েছে ৫৪০ বার
এসএসসির ফল প্রকাশের পর রাতেই একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি নীতিমালা প্রকাশ করেছে ঢাকা শিক্ষা বোর্ড। সরকারি সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, আগামী ২ মার্চ থেকে শুরু হবে একাদশ শ্রেণির ক্লাস। আর ভর্তি প্রক্রিয়া শুরু হবে ৮ জানুয়ারি থেকে। ভর্তিতে কোনো পরীক্ষা হবে না। এসএসসির ফলের ভিত্তিতেই ভর্তি করা হবে।
ভর্তি নীতিমালায় বলা হয়েছে, এবার শুধু অনলাইনের (www.xiclassadmission.gov.bd) মাধ্যমে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির আবেদন করা যাবে। ৮ জানুয়ারি থেকে ১৫ জানুয়ারি পর্যন্ত অনলাইনে আবেদন নেয়া হবে। যারা পুনঃনিরীক্ষার আবেদন করবে তাদেরও এ সময়ের মধ্যে ভর্তির আবেদন করতে হবে।
পুনঃনিরীক্ষণের ফল পরিবর্তিত শিক্ষার্থীদের আবেদন নেয়া হবে ২২ জানুয়ারি ও ২৩ জানুয়ারি। ২৪ জানুয়ারি পছন্দক্রম পরিবর্তনের সুযোগ দেয়া হবে। আর ২৯ জানুয়ারি প্রথম দফায় নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের ফল প্রকাশ করা হবে। ৩০ জানুয়ারি থেকে ৬ ফেব্রুয়ারি শিক্ষার্থীদের সিলেকশন নিশ্চয়ন করতে হবে। সিলেকশন নিশ্চয়ন না করলে তাকে পুনরায় ফিসহ আবেদন করতে হবে।
৭ ও ৮ ফেব্রুয়ারি দ্বিতীয় পর্যায়ের আবেদন নেয়া হবে। পছন্দক্রম অনুযায়ী প্রথম মাইগ্রেশনের ফল এবং দ্বিতীয় পর্যায়ের আবেদনের ফল প্রকাশ করা হবে ১০ ফেব্রুয়ারি। ১১-১২ ফেব্রুয়ারি দ্বিতীয় পর্যায়ে নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের সিলেকশন নিশ্চয়ন করতে হবে। এই সময়ের মধ্যে সিলেকশন নিশ্চয়ন না করলে আবেদন বাতিল হবে। ১৩ ফেব্রুয়ারি তৃতীয় পর্যায়ের আবেদন নিয়ে পছন্দক্রম অনুযায়ী দ্বিতীয় মাইগ্রেশনের ফল এবং তৃতীয় পর্যায়ের আবেদনের ফল প্রকাশ করা হবে ১৫ ফেব্রুয়ারি।
১৬ ও ১৭ ফেব্রুয়ারি তৃতীয় পর্যায়ে নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের সিলেকশন নিশ্চয়ন করতে হবে। এই সময়ের মধ্যে সিলেকশন নিশ্চয়ন না করলে আবেদন বাতিল হবে। ১৯ থেকে ২৪ ফেব্রুয়ারি শিক্ষার্থীদের ভর্তি করা হবে। আর ২ মার্চ থেকে কলেজগুলোতে একাদশ শ্রেণির ক্লাস শুরু হবে।
ভর্তি কোথায় কত টাকা : ঢাকা শহরে এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে (ইংরেজি ও বাংলা ভার্সনে) সর্বোচ্চ ভর্তি ফি পাঁচ হাজার, অন্য মেট্রোপলিটন এলাকায় সর্বোচ্চ তিন হাজার, জেলা পর্যায়ে দুই হাজার, উপজেলা পর্যায়ের কলেজে ভর্তি ফি ১ হাজার ৫শ টাকা নির্ধারণ করে দেয়া হয়েছে।
অনলাইনে আবেদনের জন্য ১৫০ টাকা ফি প্রদান করতে হবে। একজন শিক্ষার্থী সর্বনিম্ন ৫টি ও সর্বোচ্চ ১০টি প্রতিষ্ঠানে আবেদন করতে পারবে। প্রতিষ্ঠানের মোট আসনের ৯৫ শতাংশ সবার জন্য উন্মুক্ত থাকবে। মেধার ভিত্তিতে ভর্তির পর বাকি ৫ শতাংশ আবেদন বরাদ্দ থাকবে মুক্তিযোদ্ধার সন্তান/সন্তানের সন্তানের জন্য।
স্কুল অ্যান্ড কলেজ বা সমমানের প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে নিজস্ব প্রতিষ্ঠান থেকে উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীরা অগ্রাধিকার ভিত্তিতে ভর্তির সুযোগ পাবে বলে নীতিমালায় উল্লেখ করা হয়।