ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ৬ জানুয়ারী, ২০২২ ২২:৫৬ অপরাহ্ন | দেখা হয়েছে ৪৬০ বার
গেট খোলা পেলেই প্রতিবেশী নাসিম আলির ছাগল ঢুকে পড়ে। তার পর উঠোনে শুকোতে দেয়া ধানগুলো খেয়ে নেয়। পর পর কয়েক দিন এমন হওয়ায় বেশ বিরক্তই হয়েছিলেন সরেন দম্পতি। ছাগলে এভাবে ধান খেয়ে যাচ্ছে অথচ কোনো ভ্রক্ষেপ নেই মালিকের।
বিষয়টি যে ঠিক হচ্ছে না সেটা নাসিমকে জানান বাপি সরেন। কিন্তু মঙ্গলবার বিষয়টি চরম পর্যায়ে পৌঁছয়। নাসিমের কয়েকটি ছাগল বাপির বাড়িতে ঢুকে ধান খেয়ে নেয়। অভিযোগ, তখন সামনেই দাঁড়িয়েছিলেন নাসিমের স্ত্রী মাফুজা খাতুন। বিষয়টি দেখেও তিনি ছাগলগুলোকে তাড়াননি। আর তাতেই বেজায় চটেন সরেন দম্পতি।
বিষয়টি নিয়ে দুই পরিবারের মধ্যে ঝগড়া শুরু হয়। কথা কাটাকাটির পরিস্থিতি হাতাহাতিতে পৌঁছায়।
মাফুজার হাতে ছাগল তাড়ানোর লাঠি ছিল সেই সময়। তা নিয়েই বাপির ওপর ঝাঁপিয়ে পড়েন তিনি। স্বামীকে বাঁচাতে তখন এগিয়ে আসেন বাপির স্ত্রী আরতি। তার কোলে ছয় মাসের সন্তান ছিল। আরতি যখন বাপিকে বাঁচাতে যান, মাফুজা তার ওপরও হামলা চালান বলে অভিযোগ করা হয়। তখন আরতির কোলে থাকা শিশুটির আঘাত লাগে।
অভিযোগ, যখন দুই পরিবারের মধ্যে হাতাহাতি চলছে ঠিক তখনই মাফুজা আরতির কোল থেকে তার বাচ্চাকে ছিনিয়ে নেন। তার পর তাকে ছুড়ে ফেলে দেন রাস্তায়। শিশুটিকে আহত অবস্থায় প্রথমে পাণ্ডুয়া গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে তাকে ছেড়ে দেয়া হয়।
বুধবার শিশুটির শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে পরিবারের লোকজন তাকে আবার পাণ্ডুয়া গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখান থেকে চিকিৎসকরা শিশুটিকে চুঁচুড়া ইমামবাড়া হাসপাতালে পাঠায়।
শিশুটির মা আরতির অভিযোগ, ছেলের মাথায় আঘাত লেগেছে। বমি করছে। যদিও সরেন দম্পতির অভিযোগকে সম্পূর্ণ মিথ্যা বলে পাল্টা দাবি করেছেন নাসিম।
এ ঘটনা প্রসঙ্গে পাণ্ডুয়া থানা জানিয়েছে, এখনো লিখিত অভিযোগ পায়নি তারা। অভিযোগ পেলে বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখা হবে।
সূত্র : আনন্দবাজার