ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১০ জানুয়ারী, ২০২২ ০৯:৪২ পূর্বাহ্ন | দেখা হয়েছে ৪৫৬ বার
এক সপ্তাহ হাঙ্গামার পর কাজাখস্তানে শৃঙ্খলা ফিরেছে। ইন্টারনেট বন্ধ করা হয়েছিল সেটিও চালু করা হয়েছে।
তবে কাজাখদের কাছে অস্থিরতার সম্পূর্ণ কাহিনী এখনো ঝাঁপসা। ইন্টারন্টে বন্ধ থাকায় সাধারণ মানুষ সঠিক তথ্য পায়নি।
গার্ডিয়ানের খবরে বলা হয়েছে, সাধারণ বিক্ষোভ হঠাৎ সহিংস হয়ে ওঠে। সরকারি ভবন জ্বালিয়ে দেওয়া হয়। বিক্ষোভকারীরা স্বল্প সময়ের জন্য বিমানবন্দর দখল করেন।
কিন্তু কাজাখদের কাছে অনেক অনেক প্রশ্ন আছে কিন্তু উত্তর মিলছে না। তবে সবাই একটি বিষয়ে মোটামুটি নিশ্চিত- ‘সম্পদে পূর্ণ মধ্যএশিয়ার দেশ কাজাখস্তান পাল্টে গেছে।’
গত মাসে কাজাখস্তান স্বাধীনতার ৩০ বর্ষ উদযাপন করে। কর্মসূচিতে কর্মকর্তারা শান্তিপূর্ণ, সম্পৃদ্ধশালী দেশের বিষয় ফোকাস করে বক্তব্য দেন। রাজনৈতিক অস্থিরতা না থাকা এবং আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলে সকল দেশের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক থাকা নিয়ে নেতারা গর্ব করতেন। কিন্তু মাসের ব্যবধানে সেই কাজাখস্তানে কি অস্থিরতাই না দেখা গেল।
শান্তিপূর্ণ আন্দোলন সহিংস সংঘর্ষে পরিণত হলো। তোকায়েভ বিক্ষোভ দমনে সতর্ক করা ছাড়াই গুলি চালানোর ঘোষণা দিলেন। গণমাধ্যমের খবর অনুসারে, ২৬ বিক্ষোভকারী এবং আইনশৃঙ্খলার ১৮ সদস্য নিহত হয়েছে যদিও প্রকৃত হতাহতের সঙ্গে ঢের বেশি। গ্রেফতার করা হয়েছে ৪ হাজারের বেশি।
কাজাখস্তানের এই বিক্ষোভ দেশের রাজনৈতিক এলিটরা নিজেদেরে স্বার্থে ভবিষ্যতে ব্যবহার করবেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। বিজনেস সার্কেলের ব্যক্তিরা এই ঘটনাকে সাবেক প্রেসিডেন্ট নুরসুলতান নজরবায়েভ এবং বর্তমান প্রেসিডেন্ট তোকায়েভের মধ্যে শীতল দ্বন্দ্ব হিসেবে দেখছেন।
বিক্ষোভের মধ্যে এক বক্তব্যে শান্ত প্রেসিডেন্ট থেকে ভয়ঙ্কর স্বৈরাচারে পরিণত হওয়া প্রেসিডেন্ট তোকায়েভ বলেন, আমরা দেশি-বিদেশি সন্ত্রাসীদের সঙ্গে যুদ্ধ করচি। অচিরেই তাদেরকে বিনাশ করা হবে। এমন সন্ত্রাসীদের সংখ্যা ২০ হাজার বলেও মন্তব্য করেন তিনি। বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে আলোচনায় বসার কোনো সম্ভাবনাও নাকচ করে দেন তিনি। যদিও টুইটারে এ নিয়ে দেওয়া পোস্ট পরবর্তীতে তিনি ডিলেট করে দেন।
কাজাখস্তানের ঘটনা প্রসঙ্গে ক্যামব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞানী ডায়ানা টি কুদাইবারজেনোভা বলেন, সেখানে খুব সামান্য স্বাধীন তথ্য আছে। অনেক অনিশ্চয়তা রয়েছে। তবে একটি বিষয় স্পষ্ট, শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ ছিল বাস্তব এবং স্বতঃস্ফূর্ত। এই বিজ্ঞানী আরও বলেন, মানুষ রাস্তায় নেমে তাদের অভিযোগ ও ক্ষোভ প্রকাশ করতে চায়। এ বিষয়ে তিনি স্বসংঘটিত বিক্ষোভ প্রত্যক্ষ করছেন বলেও জানান।
সূত্র: গার্ডিয়ান