ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১৫ জানুয়ারী, ২০২২ ১১:২৮ পূর্বাহ্ন | দেখা হয়েছে ৪৫৪ বার
১৩ ঘণ্টার বৈঠক। দীর্ঘ আলোচনা। এই নিয়ে ১৪ বার। কিন্তু তবুও গলল না বরফ। হট স্প্রিং, গোগরা ও প্যাংগং লেকের পাহাড়ি অঞ্চল থেকে সম্পূর্ণ সেনা প্রত্যাহারে রাজি নয় চীন। ফলে লাদাখের নিয়ন্ত্রণরেখায় বেজিংয়ের সাথে ভারতের সম্পর্কের টেনশন কমার সম্ভাবনাও রয়ে গেল।
শীতকালে হিমাঙ্কের বহু নিচে নেমে যায় পূর্ব লাদাখের তাপমাত্রা। তাই শীত নামার আগেই নিয়ন্ত্রণরেখায় শুরু হয় প্রস্তুতি। সেনা সরিয়ে নেয়া হয়। কিন্তু ২০২০ সাল থেকে বদলেছে পরিস্থিতি। ওই বছরের জুনে গালওয়ানে চীনা হামলার পর থেকে ভারতও প্রচুর পরিমাণে সেনা মোতায়েন করে রেখেছে।
পরবর্তী সময়ে কূটনৈতিক ও সামরিক উভয় স্তরেই চলেছে আলোচনা। কোনো কোনো অঞ্চল থেকে লালফৌজ প্রত্যাহার করে নেয়া হলেও সামগ্রিক ছবিটা এখনো উদ্বেগজনকই রয়ে গেছে। অতি সম্প্রতি ভুটান সীমান্তের ভিতরে চীনের তৈরি দু’টি গ্রামের সন্ধানও মিলেছে।
এই উত্তেজনার আবহেই ১৪তম বৈঠকে মিলিত হয় দুই দেশের সেনা। কিন্তু এবারের বৈঠকেও কোনো রফাসূত্রের দেখা মেলেনি। এখনই হট স্প্রিং, গোগরা ও প্যাংগং লেক থেকে সেনা সরাতে রাজি নয় চীন। ফলত কমান্ড্যান্ট লেফটেন্যান্ট জেনারেল অনিন্দ্য সেনগুপ্ত ও চিনের দক্ষিণ জিনজিয়াংয়ের চিফ মেজর জেনারেল ইয়াং লিনের মধ্যে বৈঠক শেষ পর্যন্ত ফলপ্রসূ হয়নি।