আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ: ১৯ জানুয়ারী, ২০২২ ১৮:২৫ অপরাহ্ন | দেখা হয়েছে ৪৬৩ বার
ইউক্রেনে রুশ অভিযান ‘অত্যাসন্ন'-এমন আশংকার মধ্যে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ্যান্টনি ব্লিংকেন ‘কূটনৈতিক ও শান্তিপূর্ণ পথ নেবার জন্য’ রাশিয়ার প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
বুধবার এক সফরে ইউক্রেনে এসে পৌঁছেছেন এ্যান্টনি ব্লিংকেন।
কিয়েভে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমি আশা করি যে ব্যাপারটাকে আমরা কূটনৈতিক ও শান্তিপূর্ণ পথে রাখতে পারবো, কিন্তু শেষ পর্যন্ত এটা হবে পুতিনের সিদ্ধান্ত।’
এ্যান্টনি ব্লিংকেন রাজধানী কিয়েভে প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সাথে বৈঠক করবেন। এর পর শুক্রবার রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সেরগেই লাভরভের সাথে এবং বার্লিনে ইউরোপিয়ান মিত্রদের সাথে তার আরেকটি বৈঠক হবার কথা রয়েছে।
এ্যান্টনি ব্লিংকেনের এই সফরকে ‘ইউক্রেনের সার্বভৌমত্ব এবং আঞ্চলিক অখণ্ডতার ব্যাপারে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অঙ্গীকারকে জোরদার করার’ প্রয়াস হিসেবে তুলে ধরা হচ্ছে।
রাশিয়া ইতোমধ্যে ইউক্রেনের ভেতরে ঢুকে অভিযান চালানোর পরিকল্পনার কথা একাধিকবার অস্বীকার করেছে। রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সেরগেই লাভরভ একে ‘সম্পূর্ণ ভুয়া তথ্য’ বলে বর্ণনা করেছেন।
কিন্তু ঊর্ধ্বতন মার্কিন কর্মকর্তারা বলছেন, মস্কো যে কোনো সময় আক্রমণ শুরু করতে পারে।
ইউক্রেন সীমান্তে রাশিয়া আনুমানিক এক লাখ সৈন্য মোতায়েন করেছে। হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র জেন সাকি মঙ্গলবার সাংবাদিকদের বলেন, রাশিয়ার এই সেনা মোতায়েন ‘অত্যন্ত বিপজ্জনক পরিস্থিতি’ সৃষ্টি করেছে।
এ্যান্টনি ব্লিংকেনের সফরের আগে মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের কর্মকর্তারা আভাস দেন যে রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে সমস্যা সমাধানের একটা ‘কূটনৈতিক পথ’ প্রস্তাব করা হতে পারে।
হোয়াইট হাউস বলছে, কোনো বিকল্পকেই বিবেচনার বাইরে রাখা হচ্ছে না।
রাশিয়া পশ্চিমা দেশগুলোর কাছে বেশ কিছু দাবি তুলে ধরেছে। এর মধ্যে আছে ইউক্রেনকে যেন কখনোই নেটোর সদস্য করা না হয়, এবং নেটো জোটের সামরিক কার্যক্রমকে পোল্যান্ডসহ তাদের সদস্য দেশগুলোর মধ্যেই সীমিত রাখতে হবে।
রাশিয়া ও পশ্চিমা দেশগুলোর মধ্যে গত সপ্তাহে অনুষ্ঠিত আলোচনায় কোনো অগ্রগতি হয়নি, এবং মস্কোর বেশ কিছু দাবিকে এ নিয়ে কোনো আলোচনার আগেই প্রত্যাখ্যান করা হয়েছে।
রাশিয়া যদিও বলছে যে, ইউক্রেনে অভিযান চালানোর কোনো পরিকল্পনা নেই। কিন্তু তা সত্ত্বেও ইউক্রেন সীমান্তে উত্তেজনা তীব্র হয়েছে। এছাড়া প্রতিবেশী বেলারুসেও রাশিয়ার সৈন্য মোতায়েন হয়েছে। যাকে একটি যৌথ সামরিক মহড়া বলে আখ্যায়িত করা হয়েছে।
সূত্র : বিবিসি