আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ: ২০ জানুয়ারী, ২০২২ ১৬:৫০ অপরাহ্ন | দেখা হয়েছে ৪৯০ বার
২০১৯ সালে সুপারবাগ সংক্রমণে ১২ লাখ লোকের মৃত্যু হয়েছে। বৃহস্পতিবার প্রকাশিত গবেষণা প্রতিবেদনে এ কথা বলা হয়।
বিশ্বের ২০৪ টি দেশ এবং অঞ্চলের জনস্বাস্থ্য ব্যবস্থা, ফার্মাসিউটিক্যাল সার্ভিলেন্স নেটওয়ার্ক, পূর্ববর্তী সমীক্ষাসহ ব্যাপক ভিত্তিক সমীক্ষা চালিয়ে এই গবেষণা প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে।
প্রতিবেদনের লেখকরা এটিকে এখন পর্যন্ত অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল প্রভাবের সর্বাধিক বিস্তৃতি হিসাবে বর্ণনা করেছেন।
অ্যান্টিবায়োটিক প্রতিরোধী ব্যাকটেরিয়া সংক্রমনে এই মৃত্যু হয়েছে, এবং এই মৃত্যু হার এইচআইভি/এইডস বা ম্যালেরিয়ায় মুত্যুর চেয়ে বেশি।
ল্যানসেটে প্রকাশিত এই প্রতিবেদনে অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল রেজিস্ট্যান্সও পাওয়া গেছে যা আরো ৩৬ লাখ ৮০ হাজার লোককে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিতে পারে।
ওয়াশিংটন বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণার সহ-লেখক ক্রিস মারে বলেছেন, ‘এই নতুন পরিসংখ্যান বিশ্বে অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল প্রতিরোধের প্রকৃত মাত্রা নির্দেশ করেছে এবং এটি এই ইঙ্গিত দিচ্ছে যে হুমকি মোকাবেলায় আমাদের এখনই পদক্ষেপ নিতে হবে।’
তিনি বলেন, যদিও পূর্ববর্তী অনুমানে বলা হয়েছিল যে ২০৫০ সাল নাগাদ সুপারবাগ প্রতি বছর এক কোটি লোকের মৃত্যু ঘটাতে পারে। বর্তমান গবেষণায় দেখা যায়,আরো দ্রুত সময়ে মৃত্যুর এই সংখ্যা অতিক্রম করতে পারে। অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল প্রতিরোধের বিরুদ্ধে আমরা যদি এগিয়ে থাকতে চাই তাহলে আমাদের কার্যকর পদক্ষেপ এবং উদ্ভাবনী প্রচেষ্টা জোরদার করতে হবে।
বিশ্বের এমন কিছু অংশের জন্য পদ্ধতিগত অনুমান করতে হয়েছিল যেখানে তথ্যের অভাব ছিল, বিশেষ করে নিম্ন এবং মধ্য আয়ের দেশগুলোর ক্ষেত্রে।
ব্যাকটেরিয়া যখন অ্যান্টিব্যাকটেরিয়া প্রতিরোধ করে শক্তিশালী হয়, তখন অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল প্রতিরোধ ঘটে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এটিকে বৈশ্বিক স্বাস্থ্য সংকট হিসেবে ঘোষণা করে বিকল্প চিকিৎসার সমীক্ষার জন্য টাস্কফোর্স গঠন করেছে।
সূত্র : বাসস