আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ: ২৪ জানুয়ারী, ২০২২ ১৯:২১ অপরাহ্ন | দেখা হয়েছে ৪৬৬ বার
নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর হলোগ্রাম ভাস্কর্যের উন্মোচনকে স্বাগত জানিয়ে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এস জয়শঙ্কর বলেছেন, ‘ইন্ডিয়া গেটে নেতাজির এই উপস্থিতির মাধ্যমে সুদীর্ঘ সময় পর ইতিহাসের সংশোধন হল।’
আজ এক টুইট বার্তায় জয়শঙ্কর বলেন, ‘ইন্ডিয়া গেটে নেতাজির এই উপস্থিতির মাধ্যমে সুদীর্ঘ সময় পর ইতিহাসের সংশোধন হল। সা¤্রাজ্যবাদ ও উপনিবেশবাদের বিরুদ্ধে লড়াইকরী এই নেতার অবদানকে যথাযথভাবে স্বীকৃতি দেয়া হচ্ছে।’
গতকাল সন্ধ্যায় ঐতিহাসিক ইন্ডিয়া গেটে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের আইকনিক নেতা নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসুর গ্র্যান্ড হলোগ্রাম ভাস্কর্যটি উন্মোচন করেন।
নেতাজির ১২৫তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে এই মহান স্বাধীনতা সংগ্রামী এবং ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল আর্মি (আইএনএ)’র নেতার ভাস্কর্যটি ভারতের প্রতি তার আত্মত্যাগের প্রতি কৃতজ্ঞতার একটি স্বীকৃতি।
এদিকে গণমাধ্যমের খবরে জানা গেছে, ইন্ডিয়া গেটে নেতাজির ভাস্কর্য স্থাপনের মাধ্যমে তার প্রতি সম্মান প্রদর্শন করায় মহান নেতার মেয়ে অনিতা বসু শুক্রবার সন্তোষ প্রকাশ করেছেন।
সম্প্রতি এএনআই- কে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে নেতাজির ভাইপো অর্ধেন্দু বসু বলেছেন, ‘এটা একটা খুব ভাল পরিকল্পনা। কারণ সেখানে ১৯৬০ সাল পর্যন্ত রাজা পঞ্চম জর্জে’র একটি ভাস্কর্য ছিল। আমি মনে করি- প্রধানমন্ত্রী মোদি নেতাজির স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে একদম দারুণ কাজটিই করেছেন। এতে তার পরিবারের সদস্যরা খুব খুশি।’
পশ্চিম বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি দাবি করেছেন, তার সরকারের চাপের কারণেই ইন্ডিয়া গেটে নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসুর ভাস্কর্যটি স্থাপন করা হয়েছে।
পশ্চিম বাংলা সরকার সকল দলিল ও তথ্য পেশ করা সত্ত্বেও কেন্দ্র সরকার প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী নেতাজির সকল ক্লাসিফাইড ডকুমেন্ট প্রকাশ না করায় তিনি কেন্দ্রের সমালোচনা করেন।
ইন্ডিয়া গেটের যেখানে এক সময় রাজা পঞ্চম জর্জের ভাস্কর্য ছিল, সেখানে এখন দেশের জন্য জীবন উৎসর্গকারী নেতাজির ভাস্কর্য শোভা পাচ্ছে।
এই হলোগ্রাম ভাস্কর্যটি উন্মোচন করে মোদি ২০১৯, ২০২০, ২০২১ ও ২০২২ সালের ‘সুভাষ চন্দ্র বসু জাপদা প্রবন্ধন পুরস্কার’ প্রদান করেন।
এই মহান মুক্তিযোদ্ধার জন্মবার্ষিকী পালন ভারতের রিপাবলিকান ডে’র অন্তর্ভূক্ত করার ফলে এ বছর ২৪ জানুয়ারির পরিবর্তে ২৩ জানুয়ারি থেকে ভারতে এই উদযাপন শুরু হয়েছে।
৩০ জানুয়ারি ভারতের জাতির পিতা মহাত্মা গান্ধীর হত্যার দিনে এই উদযাপন শেষ হবে।
১৮৯৭ সালে জন্মগ্রহণকারী নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসু ভারতের মুক্তি সংগ্রামে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।
তিনি ঔপনিবেশিক শাসনের বিরোধীতা করে আজাদ হিন্দ ফৌজের নেতা হিসেবে ব্রিটিশদের প্রতিরোধ করেন।
সূত্র : বাসস