ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ২৮ জানুয়ারী, ২০২২ ০৯:৩১ পূর্বাহ্ন | দেখা হয়েছে ৫০৪ বার
চুক্তির শর্ত ভঙ্গ করে সম্পূর্ণ মেশিনারি ও ইকুইপমেন্ট না দিয়ে চলে গেছে মধ্যপাড়া কঠিন শিলা খনির উন্নয়ন ঠিকাদার উত্তর কোরিয়ার কোম্পানি ‘নামনাম’। বড় ধরনের আর্থিক অভিযোগ থাকার পরও খনি কর্তৃপক্ষ রহস্যজনক কারণে বাধা দেয়নি।
উলটো ১৫০০ কোটি টাকার পুরো বিল পরিশোধ করে দেওয়া হয়েছে। শুধু তাই নয়, ঠিকাদারের সঙ্গে যোগসাজশে খনির একটি সিন্ডিকেট নামনাম থেকে বেশকিছু ইকুইপমেন্ট নিলেও সেগুলো স্টোরে তালিকাভুক্ত করেনি।
স্টোরভুক্ত না হওয়ার কারণে মালামালের মালিকানা স্বত্বও ছিল না খনির। যার কারণে চক্রটি পরে এসব মালামালের মালিকানা নামনামের বলে উল্লেখ করে গোপনে খোলাবাজারে বিক্রি করে দিয়েছে-এমন অভিযোগ সংশ্লিষ্টদের। তাদের মতে, স্টোরভুক্ত না করে সিন্ডিকেট এভাবে এমজিএমসিএলের (মধ্যপাড়া গ্রানাইট মাইনিং কোম্পানি লিমিটেড) কমপক্ষে ১৫০ কোটি টাকার সম্পত্তি আত্মসাৎ করেছে। আরও বেশ কিছু মালামাল খোলাবাজারে বিক্রির প্রক্রিয়া চলছে।
প্রকল্পের পরামর্শক প্রতিষ্ঠান কোপেক্সের তথ্য অনুযায়ী এমজিএমসিএলের কাছে যেসব যন্ত্রপাতি দেওয়ার কথা ছিল, সেগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে-স্কিপ ইকুইপমেন্ট, কেইজ (খাঁচা) ইকুইপমেন্ট, মাইনিং যন্ত্রপাতি, হাউলেজ ইকুইপমেন্ট, ভেন্টিলেটর অ্যান্ড পাম্প সরঞ্জাম, ক্রাশিং অ্যান্ড সর্টিং যন্ত্রপাতি, ফিড বিন অ্যান্ড লোডিং ইকুইপমেন্ট, মেইনটেন্যান্স শপ অ্যান্ড স মিল সরঞ্জাম, ট্রান্সপোর্ট অ্যান্ড এক্সকেভেটিং ইকুইপমেন্ট, ডিজাইন অ্যান্ড সার্ভেইং ইকুইপমেন্ট এবং ইলেকট্রিক্যাল যন্ত্রপাতি অন্যতম।
অনুসন্ধানে উঠে এসেছে উল্লিখিত সব চাঞ্চল্যকর তথ্য। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, চুক্তিতে ছিল খনি তৈরির পর যাতে বছরে আড়াইটি স্টোপ (পাথর তোলার আধার) তৈরি করা যায় এবং সেসব স্টোপ থেকে পাথর উত্তোলন করা যায়, সেজন্য প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি ও ইকুইপমেন্ট দেবে নামনাম। আর মালিকানা থাকবে এমজিএমসিএলের। কিন্তু নামনাম সব ধরনের ইকুইপমেন্ট না দেওয়ায় ২০০১ সালে খনি তৈরি শেষ হলেও এমজিএমসিএল ২০১৪ সাল পর্যন্ত খনি থেকে টার্গেট অনুযায়ী পাথর উত্তোলন করতে পারেনি।
বাস্তবায়ন, পরিবীক্ষন ও মূল্যায়ন বিভাগের (আইএমইডি) সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে, যে কোনো প্রকল্প শেষ হলে ওই প্রকল্পের ঠিকাদার কোনো ক্ষয়ক্ষতি করেছে কিনা এবং চুক্তি অনুযায়ী কোনো মালামাল কম দিয়েছে কিংবা কাজটি যথাযথভাবে শেষ করেছে কিনা তা যাচাই-বাছাই শেষে সম্পূর্ণ বিল পরিশোধ করতে হয়। কিন্তু অভিযোগ আছে এ প্রকল্পের ঠিকাদার চুক্তির অসংখ্য শর্ত ভঙ্গ করলেও তাকে নামকাওয়াস্তে জরিমানা করে পুরো বিল দেওয়া হয়েছে। এনিয়ে উচ্চপর্যায়ের তদন্ত কমিটি গঠন করার জন্য সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়কেও অনুরোধ করেছেন বিশেষজ্ঞরা। তাদের ধারণা তদন্ত করা হলেও এমজিএমসিএলের কয়েকশ কোটি টাকার অনিয়ম-দুর্নীতি ও লুটপাটের চিত্র বেরিয়ে আসবে।
জানতে চাইলে পেট্রোবাংলা ও এমজিএমসিএল পর্ষদের চেয়ারম্যান নাজমুল আহসান বলেন, আমি যোগদানের আগেই নামনামের সঙ্গে সব ধরনের কাজ শেষ হয়ে গেছে। এ ব্যাপারে আমি কিছুই জানি না। এরপরও যদি কোনো অনিয়ম-দুর্নীতি হয়ে থাকে তাহলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বর্তমান সরকার দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স (শূন্য সহিষ্ণু) ঘোষণা করেছে। প্রয়োজনে বিষয়টি নিয়ে তদন্ত করব।
এ প্রসঙ্গে মন্তব্য নিতে এমজিএমসিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবু দাউদ মুহম্মদ ফরিদুজ্জামানের সঙ্গে গত এক সপ্তাহে একাধিকবার টেলিফোনে যোগাযোগ করা হলেও তিনি কল রিসিভ করেননি। এমনকি সোমবার পেট্রোবাংলা ভবনে তার কার্যালয়ে উপস্থিত হয়ে এই প্রতিবেদক ভিজিটিং কার্ড পাঠালেও তিনি কথা বলতে রাজি হননি। এর আগে কোম্পানির আন্ডারগ্রাউন্ড অপারেশন অ্যান্ড মেইনটেন্যান্স বিভাগের দায়িত্বে থাকা মহাব্যবস্থাপক আবু তালেব ফরাজীকে একাধিকবার ফোন দিলেও তিনি নানা ব্যস্ততা দেখিয়ে কথা বলতে চাননি।
সংশ্লিষ্টদের অভিযোগ, এসব অনিয়ম-দুর্নীতির সঙ্গে মধ্যপাড়া গ্রানাইড মাইনিং কোম্পানি লিমিটেডের (এমজিএমসিএল) বেশ কয়েকজন অসাধু কর্মকর্তা, নামনাম, তাদের দেশীয় এজেন্ট ও পরামর্শক প্রতিষ্ঠান কোপেক্সের যোগসাজশ রয়েছে। এরমধ্যে আছেন কোম্পানির এক জিএম ও দুই ডিজিএম।
অনুসন্ধানে জানা যায়, নভেম্বরে নামনামকে বিলের সর্বশেষ কিস্তি পরিশোধ করার পর থেকে আলোচনায় আসে এসব দুর্নীতির। ভাগবাটোয়ারা নিয়েও চরম দ্বন্দ্বও তৈরি হয় সিন্ডিকেট সদস্যদের মধ্যে। এ নিয়ে খনি কর্তৃপক্ষের একজন উপব্যবস্থাপকের ওপর খনি এলাকায় সশস্ত্র হামলাও করেছিল সন্ত্রাসীরা। সিন্ডিকেটের এক সদস্য রংপুর শহরে বেনামে গড়ে তুলেছেন আলিশান আবাসিক হোটেল। মালিকানা বন্ধুর নামে থাকলেও হোটেলের মালিক এমজিএমসিএলের সিন্ডিকেটভুক্ত ওই অসাধু কর্মকর্তা। অপর এক সদস্য মিরপুরে ক্রয় করেছেন বিলাসবহুল ফ্ল্যাট। জানা গেছে ওই ফ্ল্যাটের শুধু মাস্টার বাথরুমে খরচ করা হয়েছে কোটি টাকার ফিটিংস।
অনুসন্ধানে আরও জানা গেছে, ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান নামনাম খনি উন্নয়নের জন্য কিছু ইকুইপমেন্ট দিলেও সেগুলোর অধিকাংশই ছিল নিুমানের ও ব্যবহার অযোগ্য। কোনো ইকুইপমেন্ট দিয়ে একদিনও কাজ করা সম্ভব হয়নি। আবার কোনো ইকুইপমেন্ট বৈধ ভাবে আমদানি না করায় সেগুলো দেশে রেজিস্ট্রশন করা সম্ভব হয়নি। আর কিছু মালামাল দিলেও সেগুলোর অধিকাংশই এমজিএমসিএলের স্টোরে তালিকাভুক্ত করা হয়নি। পরে ওই মালামাল নামনাম কর্তৃপক্ষের উল্লেখ করে ফের বিক্রি করে দেওয়া হয়েছে।
অভিযোগ আছে, যন্ত্রপাতি ক্রয়-বিক্রয়, পরিত্যক্ত মালামাল বিক্রিসহ বিভিন্ন অনিয়ম-দুর্নীতির মাধ্যমে এ সিন্ডিকেট নামে-বেনামে গত ১৪ বছরে ১৫০ কোটি টাকার বেশি অর্থ হাতিয়ে নিয়েছে। এসব দুর্নীতির কারণে নামনাম যথাসময়ে খনি উন্নয়ন কাজ শেষ করতে পারেনি। নানা কৌশলে ৪ দফা ১৪ বছর সময় বাড়িয়েছে তারা। এতে ব্যয়ও বেড়েছে দ্বিগুণ। যথা সময়ে স্টোপ তৈরি করতে না পারায় এবং যন্ত্রপাতি না থাকায় ১৪ বছরে ২১০ লাখ ১০ টন পাথর উত্তোলন থেকে বঞ্চিত হয়েছে খনি। এতে প্রতি টন পাথর চুক্তিকালীন রেট ১০ ডলার হিসাবে (বর্তমানে ৩০ ডলার) টাকার অঙ্কে ১৮০৬ কোটি টাকা থেকে বঞ্চিত হয় সরকার।
পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির এক রিপোর্টে দেখা গেছে, ঠিকাদারের আর্থিক অসচ্ছলতার কারণ এবং যথাসময়ে সরকারকে না জানানোর কারণে খনিটি ২০০৭ সালে বাণিজ্যিক উৎপাদনে যাওয়ার কথা থাকলেও প্রথমে সেটি ২০১০ ও পরে ২০১৪ সাল পর্যন্ত সময় বাড়ানো হয়।
জানা গেছে, কাজ শুরুর পর নানা অনিয়ম-দুর্নীতি আর লুটপাটের কারণে খনিটি ৬শ কোটি টাকার বেশি লোকসান গুনেছে। চক্রটি এতটাই শক্তিশালী ছিল তারা ঘুস নিয়ে যাতে ইকুইপমেন্ট দেওয়া না লাগে সেজন্য নামনামকে সহায়তা করেছে। আবার যেসব ইকুইপমেন্ট দিয়েছিল সেগুলো ভাণ্ডারভুক্ত না করে ফের বিক্রি করে শত শত কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে।
বাংলাদেশ ভূতাত্ত্বিক জরিপ অধিদপ্তরের অনুসন্ধানের মাধ্যমে ১৯৭৬ সালে মধ্যপাড়ায় ১২৮ মিটার গভীরে কঠিন শিলার অবস্থান আবিষ্কার করা হয়। ১৯৭৬-৭৭ সালে এর সম্ভাব্যতা যাচাই করা হয়। তাতে খনিটি কারিগরি দিক থেকে লাভজনক হবে বলে জানানো হয়। ২০০০ সালে পাথরের চাহিদার প্রাক্কলন নির্ধারিত হয় ৩.৫ মিলিয়ন টন। ১৯৯২ সালের ২৬ ডিসেম্বর এ খনি উন্নয়নের জন্য উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে একটি এমওই স্বাক্ষর করা হয়। পরে ১৯৯৪ সালেল ২৭ মার্চ উত্তর কোরীয় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান নামনাম ও পেট্রোবাংলার মধ্যে ফিক্সড প্রাইস টার্নকি বেসিসে চুক্তি হয় যা কার্যকর হয় ১৯৯৪ সালের ৮ জুন।
আরও জানা গেছে, চুক্তি অনুযায়ী ২০০১ সালের মধ্যে খনি তৈরির কাজ শেষ করার কথা ছিল। কিন্তু চক্রটির নানা অনিয়ম-দুর্নীতি আর ইকুইপমেন্ট না থাকায় ৬ বছরে খনির কোনো কাজই হয়নি। বাধ্য হয়ে সরকার চুক্তির মেয়াদ আরও ৩ বছর বাড়িয়ে ২০০৩ সালের মধ্যে বাকি কাজ সম্পন্ন করার জন্য নতুন করে চুক্তি করে। কিন্তু তাতেও কোনো কাজ হয়নি। এরপর চুক্তির মেয়াদ ২০০৫ সাল পর্যন্ত বাড়ানো হয়। এরপর চুক্তির মেয়াদ আরও ৩ দফা বাড়িয়ে ২০০৬ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত বাড়ানো হয়। এসব কারণে ব্যয় বেড়ে যায় অতিরিক্ত ১ হাজার কোটি টাকার বেশি।
চুক্তিতে ছিল খনি হস্তান্তরের পর দুই বছর খনি থেকে পাথর উত্তোলনের জন্য নামনাম কর্তৃপক্ষ এমজিএমসিএলকে প্রয়োজনীয় সব ধরনের মেশিনারিজ ও ইকুইপমেন্ট এবং স্পেয়ারপার্টস সরবরাহ করবে। কিন্তু খনি হ্যান্ডওভারের পর কনসালটেন্ট প্রতিষ্ঠানের এক প্রতিবেদনে দেখা গেছে চুক্তি অনুযায়ী নামনাম তা করেনি।
জানা গেছে, নামনাম খনি উন্নয়নের জন্য ট্রান্সপোর্ট ও এক্সেবেটিংয়ের জন্য যেসব ইকুপমেন্ট দিয়েছিল তার মধ্যে বাস, ট্রাক, প্রোডাকশন কন্ট্রোল কার, অ্যাম্বুলেন্স, এক্সপ্লোসিভ ট্রান্সপোর্ট, ফুয়েল ট্যাংকার, মাউন্টেন্ট ক্রেন, ফকলিফট, বুলডোজার, সোভেল, হাইড্রোলিক ব্যাক সাইড, এক্সকেভেটরের অধিকাংশই ছিল পুরোনো ও অবৈধ সোর্স থেকে ক্রয় করা। ফলে বিআরটিএতে অনেকগুলোর রেজিস্ট্রেশন করা সম্ভব হয়নি। এতে অধিকাংশই দীর্ঘদিন খনি এলাকায় পরিত্যক্ত হয়ে পড়ে ছিল।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে অবৈধভাব আনার কারণে একটি ট্রাক (ডব্লিউবি-১৯টি৩০৯২) এখনো রেজিস্ট্রেশন করা সম্ভব হয়নি। অনেক ইকুইপমেন্ট পরে কেজি দরে বিক্রি করে পুরো টাকা হাতিয়ে নেয় সিন্ডিকেট। পাথর উত্তোলন ও আন্ডারগ্রাউন্ডে মালামাল পরিবহণ কাজে ব্যবহৃত রেল ইকুইপমেন্ট যেমন লোকোমোটো, মাইন কার, মেন কার, ফ্ল্যাট বেড কার, এক্সপ্লোসিভ ক্যারিয়ার, ডিজেল লোকোমোটিভ ইকুপমেন্টগুলোও দেয়নি নামনাম। মূল্যবান মেশিনারিজ ড্রিলিং জাম্বু খনি উন্নয়ন কাজের আন্ডারগ্রাউন্ড টানেল তৈরি কাজে ব্যবহৃত হয়। কিন্তু নামনাম ৪টি ড্রিলিং জাম্বো দিলেও সেগুলো দিয়ে ১ দিনও কাজ করা সম্ভব হয়নি।
বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, অভ্যন্তরীণ বাজারে বছরে ৬ হাজার কোটি টাকার পাথরের চাহিদা থাকায় খনি উত্তোলনকারী প্রতিষ্ঠানের বরাবরই আর্থিকভাবে লাভবান হওয়ার সম্ভাবনা ছিল। কিন্তু ব্যাপক অনিয়ম-দুর্নীতির কারণে রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠানটি ২০১৭ সাল পর্যন্ত সীমাহীন অব্যবস্থাপনা এবং লোকসানি প্রতিষ্ঠান হিসাবে পরিণত হয়।
২০০৭ সালে বাণিজ্যিক কার্যক্রম শুরু করার পর থেকে ২০১৮ সালের জুন পর্যন্ত ৫৯৩ কোটি টাকার লোকসান হয় মধ্যপাড়া গ্রানাইট মাইনিং কোম্পানি লিমিটেডের। আর ২০০৭ থেকে ২০১২ সাল পর্যন্ত খনি থেকে ২০ লাখ টন পাথর উত্তোলন করা হলেও ১৩২ কোটি টাকার লোকসান হয়। ২০১৬-১৭ অর্থবছরে ৫৯০ কোটি টাকার পুঞ্জীভূত লোকসান ছিল। এর সঙ্গে স্থায়ী সম্পদ পুনর্মূল্যায়ন করা হয়। ফলে ওই বছর অপারেশনাল লোকসান হয় ৫৭ কোটি ৮২ লাখ টাকা। পাথর বিক্রির হিসাব সমন্ব^য় করে নিট লোকসানের পরিমাণ দেখানো হয়েছে ৪৭২ কোটি টাকা। দাপ্তরিক নথিপত্র অনুযায়ী গত দুই বছরে প্রতিষ্ঠানটি যথাক্রমে সাত কোটি এবং ২২ কোটি টাকার মুনাফা অর্জন করে। কিন্তু সংশ্লিষ্টদের মতে দেশের বাজারে প্রতিষ্ঠানটির বিপুল সম্ভাবনার তুলনায় মুনাফার এ পরিমাণ নিতান্ত তুচ্ছ। এখন পর্যন্ত দেশের গ্রানাইট বাজারের মাত্র ৬ শতাংশ দখলে নিতে পেরেছে এমজিএমসিএল।