আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ: ৩০ জানুয়ারী, ২০২২ ০৮:৩৮ পূর্বাহ্ন | দেখা হয়েছে ৪৩৪ বার
অনলাইন গেমে আসক্তির জেরে আত্মহত্যা ও খুনের ঘটনা নতুন নয়। তবে পাবজি খেলতে বাধা দেওয়ায় পরিবারের সবাইকে গুলি করে হত্যার নজির বোধহয় নেই। পাকিস্তানের এক কিশোর (১৪) পরিবারের সবাইকে গুলি করে হত্যা করেছে। পাকিস্তানের সংবাদ মাধ্যম ডন এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে।
পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশে এই ঘটনা ঘটে বলে পুলিশ জানায়।
ডনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কয়েকদিন আগে স্বাস্থ্যকর্মী নাহিদ মোবারক (৪৫), তার ছেলে তৈমুর (২২), ১৭ এবং ১১ বছরের দুই মেয়ের মৃতদেহ উদ্ধার হয়। বাড়ির মধ্যেই চারটি রক্তাক্ত দেহ পড়েছিল। তবে একই বাড়িতে থাকা ছোটছেলে অক্ষত ছিল। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করতেই উঠে আসে চাঞ্চল্যকর তথ্য।
পুলিশের কাছে প্রথমে ছেলেটি জানায়, নিজের ঘরে সে ঘুমিয়ে ছিল। সকালে উঠে বাড়ির সবাইকে মৃত অবস্থায় দেখতে পায়।
কিন্তু কিশোরের কথাবার্তায় অসঙ্গতি খুঁজে পায় পুলিশ। পরে পুলিশের জেরার মুখে মা ও ভাইবোনদের গুলি করে হত্যার কথা স্বীকার করে সে।
পুলিশকে ওই কিশোর জানায়, অনলাইনে পাবজি খেলায় আসক্ত ছিল সে। এই নিয়ে মা প্রায়ই তাকে বকাবকি করতেন। ওই দিনও মা তাকে এ নিয়ে ভীষণ বকাবকি করেন। ক্ষুব্ধ হয়ে প্রথমে মা ও পরে পরিবারের বাকিদের গুলি করে হত্যা করে সে।
ডন জানায়, ঘটনার পরের দিন সকালে নিজেই প্রতিবেশীদের সবার মৃত্যুর কথা জানায় ওই কিশোর। প্রতিবেশীরাই পুলিশে খবর দেয়।
এ ব্যাপারে পুলিশ এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, পাবজি খেলায় আসক্ত ওই কিশোর স্বীকার করেছে যে গেমের প্রভাবে তার মা এবং ভাইবোনদের হত্যা করেছে। দিনের দীর্ঘ সময় অনলাইন গেম খেলার কারণে তার কিছু মানসিক সমস্যা সৃষ্টি হয়েছিল বলে বিবৃতিতে জানিয়েছে পুলিশ।
পুলিশ জানায়, নাহিদ একজন তালাকপ্রাপ্তা ছিলেন। তিনি প্রায়ই ছেলেটিকে পড়াশোনায় মনোযোগ না দেওয়ার জন্য এবং তার বেশিরভাগ সময় পাবজি খেলায় ব্যস্ত থাকার জন্য বকাবকি করতেন।
পরিবারের সুরক্ষার জন্য ওই লাইসেন্স করা পিস্তলটি নিজের কাছে রেখেছিলেন নাহিদ। ওই কিশোর জানত পিস্তলটি কোথায় রাখা হয়। সবাইকে গুলি করে হত্যা করার পর পিস্তলটি ড্রেনে ফেলে দেয় ওই কিশোর। পিস্তলটি এখনো উদ্ধার করা হয়নি বলে বিবৃতিতে জানিয়েছে পুলিশ।