আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ: ১০ ফেব্রুয়ারী, ২০২২ ২৩:২৩ অপরাহ্ন | দেখা হয়েছে ৪৩৫ বার
চীন ও পাকিস্তানের অর্থনৈতিক করিডোর সিপিইসিতে আফগানিস্তানকে শামিল করার বিষয়ে আলোচনা চলছে। পাকিস্তানের গণমাধ্যমগুলো বলছে, উন্নয়নের মহাসড়ক হিসেবে বিবেচিত সিপিইসিকে সম্প্রসারণ করে তা আফগানিস্তান পর্যন্ত বর্ধিত করার বিষয়ে আগ্রহ প্রকাশ করেছে চীন ও পাকিস্তান। বৃহস্পতিবার এমন সংবাদ প্রকাশ করেছে তোলো নিউজ।
পাকিস্তানি সংবাদপত্র দ্যা ডেইলি টাইমসের প্রতিবেদন অনুসারে, সম্প্রতি চীনের রাজধানী বেইজিংয়ে গিয়ে দেশটির প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সাথে সাক্ষাৎ করেছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর এ চীন সফরে সময় আফগানিস্তানকে সিপিইসিতে অন্তর্ভুক্ত করার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।
এ বিষয়ে দ্যা চেম্বার অফ কমার্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট বলেছে, উন্নয়নের মহাসড়ক হিসেবে বিবেচিত সিপিইসিতে আফগানিস্তানকে অন্তর্ভুক্ত করা হলে আঞ্চলিক ব্যবসা ও বাণিজ্য বৃদ্ধি পাবে।
আফগানিস্তানের বাণিজ্য ও শিল্প অধিদফতরের প্রধান মোহাম্মদ ইউনুস মোমান্দ বলেছেন, আমি মনে করি যে সিপিইসি বা অন্য যেকোনো প্রকল্পের মাধ্যমে যদি সমগ্র অঞ্চল ও আফগানিস্তান লাভবান হয় তবে দেশটি এতে অংশ নেবে। কারণ, এ বিষয়টার সাথে আফগানিস্তানের (অর্থনৈতিক) স্বার্থ জড়িত।
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান ও চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং তাদের আলোচনা বৈঠকের পর একটি যৌথ বিবৃতি দিয়েছেন। আফগানিস্তানকে সিপিইসিতে অন্তর্ভুক্ত করার বিষয়ে ওই যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়েছে, আঞ্চলিক বাণিজ্যের জন্য গোয়াদর বন্দরের গুরুত্ব নিয়ে তারা আলোচনা করেছেন। অর্থাৎ, দু’দেশের শীর্ষ নেতারা সিপিইসিকে সম্প্রসারণ করে তা আফগানিস্তান পর্যন্ত বর্ধিত করার বিষয়ে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন।
এ বিষয়ে অর্থনীতিবিদ আবদুল নাসির রিশতিয়া বলেন, আফগানিস্তানকে সিপিইসিতে অন্তর্ভুক্ত করা হলে দেশটিতে বিপুল বিনিয়োগ করবে বিদেশী রাষ্ট্রগুলো। এর মাধ্যমে এ অঞ্চলে আফগানিস্তানের বাণিজ্যিক সক্ষমতা বাড়বে। এরপর আমরা আরো বিনিয়োগের দেখা পাব।
সিপিইসিতে আফগানিস্তানের অন্তর্ভুক্তি নিয়ে দেশটির ব্যবসায়ীরাও উচ্ছ্বাসিত। আফগান ব্যবসায়ী জালমাই আজিমি বলেছেন, সিপিইসি করিডোর চীন ও পাকিস্তানের জন্য (অর্থনৈতিকভাবে) খুবই গুরুত্বপূর্ণ। যদি আফগানিস্তানকে সিপিইসিতে অন্তর্ভুক্ত করা হয় তাহলে দেশটি অনেক লাভবান হবে।
সূত্র : তোলো নিউজ