ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১৩ ফেব্রুয়ারী, ২০২২ ১০:৩৮ পূর্বাহ্ন | দেখা হয়েছে ৩৫৯ বার
সম্ভাব্য রুশ সামরিক আগ্রাসনের বিরুদ্ধে ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভের রাজপথে বিক্ষোভ করেছেন হাজারও মানুষ।
শনিবার তীব্র শীত উপেক্ষা করে কয়েক হাজার বিক্ষোভকারী ইউক্রেনের জাতীয় পতাকা হাতে রাজপথে নেমে আসেন। খবর আরব নিউজের।
এ সময় তারা যুদ্ধবিরোধী ব্যানার-প্ল্যাকার্ড হাতে ইউক্রেনের জাতীয় সংগীত গান। রাশিয়ার বিরুদ্ধে স্লোগান দেন।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি দেশবাসীর উদ্দেশে রুশ আগ্রাসনের হুমকির মুখে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।
তার এ আহ্বানের পরিপ্রেক্ষিতে শনিবার সকালে রাজপথে নেমে সম্ভাব্য আগ্রাসনের বিরুদ্ধে জাতীয় ঐক্যের প্রমাণ দেন ইউক্রেনবাসী।
এ সময় কিয়েভের রাজপথে আন্দোলনকারীরা বলেন, আমরা শান্তি চাই, আমরা ইউক্রেনকে ভালোবাসি। এ পরিস্থিতিতে আতঙ্কিত না হয়ে আমাদের ঐক্যবদ্ধ হয়ে স্বাধীনতার জন্য লড়াই চালিয়ে যেতে হবে।
কিয়েভের সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউয়ে বিক্ষোভকারীরা ‘যুদ্ধ একমাত্র উপায় নয়’, ‘রাশিয়া বর্ণবাদী’ প্রভৃতি লেখা ব্যানার ও প্ল্যাকার্ড নিয়ে মিছিল করেন।
২০১৪ সালের মার্চে রুশ সেনারা ইউক্রেনের অংশ ক্রিমিয়ার নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেন। এর পর থেকে সেখানে মস্কো-সমর্থিত বিচ্ছিন্নতাবাদীদের সঙ্গে ইউক্রেনের সেনাদের লড়াই চলছে।
এ লড়াইয়ে অন্তত ১৪ হাজার মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন। এখন পুরো ইউক্রেনে রুশ সেনা অভিযানের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র ও পশ্চিমা দেশগুলো বলছে, ইউক্রেন সীমান্তে লক্ষাধিক সেনা মোতায়েন করেছে রাশিয়া। যে কোনো সময় ইউক্রেনে সামরিক অভিযান চালাতে পারে দেশটি।
এ জন্য পাল্টা পদক্ষেপ হিসেবে পূর্ব ইউরোপে সেনা সমাবেশ ঘটিয়েছে পশ্চিমা সামরিক জোট ন্যাটো। তবে রাশিয়া বরাবরই পশ্চিমাদের তোলা এ অভিযোগ অস্বীকার করছে।
ইউক্রেনে সম্ভাব্য রুশ সামরিক আগ্রাসন নিয়ে চলমান উত্তেজনার মধ্যেই শনিবার রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে ফোনে কথা বলেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।
এ সময় পুতিনকে সতর্ক করে বাইডেন বলেন, সামরিক আগ্রাসনের কারণে ইউক্রেনে বড় ধরনের মানবিক সংকট দেখা দিতে পারে। আর হামলা চালালে যুক্তরাষ্ট্র ও দেশটির মিত্ররা দ্রুত এর কড়া জবাব দেবে। রাশিয়াকে এ জন্য চড়া মূল্য দিতে হবে।