ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৪,
সরকার অনুমোদিত নিবন্ধন নম্বর ১৯১
Reg:C-125478/2015

ডাক্তার পরিচয়ে সাত রাজ্যে ১৪ বিয়ে! 

আন্তর্জাতিক ডেস্ক


প্রকাশ: ১৬ ফেব্রুয়ারী, ২০২২ ১০:৪৫ পূর্বাহ্ন | দেখা হয়েছে ৪১৪ বার


ডাক্তার পরিচয়ে সাত রাজ্যে ১৪ বিয়ে! 

অবশেষে পুলিশের জালে ‘কীর্তিমান’ অভিযুক্তের প্রথম শিকার ১৯৮২ সালে। ওই বছরে এক মহিলাকে বিয়ে করেন তিনি। দ্বিতীয় বিয়ে করেন ২০০২ সালে।

কে ছিল না তার শিকারের তালিকায়! আইনজীবী, চিকিৎসক, নার্স, আধাসেনায় কর্মরত মহিলা, এমনকি বেশ কয়েক জন উচ্চশিক্ষিত মহিলাও। ৪৮ বছরে দিল্লি, পঞ্জাব, অসম, ঝাড়খণ্ড এবং ওড়িশা-সহ সাত রাজ্যে ১৪টি বিয়ে করে অবশেষে পুলিশের জালে ধরা পড়লেন বছর ষাটের প্রৌঢ়া বিধুপ্রকাশ সোয়েন। সোমবার তাকে ভুবনেশ্বর থেকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

অভিযুক্ত ওড়িশার কেন্দ্রাপড়ার পাতকুড়া থানার বাসিন্দা। বিবাহ-সম্পর্কিত ওয়েরবসাইটগুলিতে নিজেকে চিকিৎসক হিসেবে পরিচয় দিয়ে মহিলাদের সাথে আলাপ জমাতেন। শিকার হিসেবে বেছে নিতেন মূলত মাঝবয়সি অবিবাহিত মহিলা, ডিভোর্সিদের। এভাবে একে একে তার শিকারের ফাঁদে ফেলেন মহিলা চিকিৎসক, আধাসেনায় কর্মরত মহিলা, আইনজীবী এমনকি উচ্চশিক্ষিত মহিলাদেরও।

অভিযুক্তের প্রথম শিকার ১৯৮২ সালে। ওই বছরে এক মহিলাকে বিয়ে করেন তিনি। 

দ্বিতীয় বিয়ে করেন ২০০২ সালে। ভুবনেশ্বরের ডেপুটি পুলিশ কমিশনার ঊমাশঙ্কর দাশ জানিয়েছেন, প্রথম এবং দ্বিতীয় পক্ষের স্ত্রীর মোট পাঁচ সন্তান। ২০০২ থেকে ২০২০-র মধ্যে বিবাহ-সম্পর্কিত ওয়েবসাইটে গিয়ে মহিলাদের সাথে আলাপ জমিয়ে তাদের বিশ্বাস অর্জন করার পর বিয়ে করতেন। এবং ঘটনাচক্রে, যত জনকে তিনি বিয়ে করছেন, কেউই তার আগের বিয়ে সম্পর্কে ঘুণাক্ষরেও টের পাননি।

ডেপুটি পুলিশ কমিশনার জানিয়েছেন, বিয়ে করাই অভিযুক্তের মূল উদ্দেশ্য ছিল না। তার মূল উদ্দেশ্য ছিল চাকরিজীবী মহিলাদের বিয়ে করে তাদের টাকাপয়সা আত্মসাৎ করা। আর প্রতিটি ক্ষেত্রেই তিনি বিয়ের পর স্ত্রীদের টাকা হাতিয়ে পালাতে সক্ষম হয়েছেন।

কিন্তু শেষ রক্ষা হল না। পুলিশ জানিয়েছে, গত জুলাইয়ে এক শিক্ষিকা ভুবনেশ্বরে অভিযোগ দায়ের করেন। তার অভিযোগ ছিল, এক ব্যক্তি তাকে ২০১৮-য় দিল্লিতে বিয়ে করে ভুবনেশ্বরে নিয়ে আসেন। ওই ব্যক্তি বেশ কয়েকটি বিয়ে করেছেন এমনও অভিযোগ তুলেছিলেন তিনি। শিক্ষিকার অভিযোগ পেয়েই তদন্তে নামে পুলিশ। সোমবারই অভিযুক্ত ব্যক্তিকে ভুবনেশ্বর থেকে গ্রেফতার করেছে তারা।

অভিযুক্তের কাছ থেকে ১১টি এটিএম কার্ড, চারটি আধার কার্ড এবং বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ নথি উদ্ধার করেছে পুলিশ। 

ডেপুটি পুলিশ কমিশনার জানিয়েছেন, মহিলাদের ফাঁসিয়ে বিয়ে করে টাকা হাতানো ছাড়াও আরো প্রতারণা কাজে জড়িত ছিলেন অভিযুক্ত। এর আগে যুবকদের চাকরি দেয়ার নামে টাকা নিয়ে প্রতারণা করার অভিযোগে হায়দরাবাদে গ্রেফতার হয়েছিলেন তিনি।

সূত্র : আনন্দবাজার


   আরও সংবাদ